বিদেশের খবর ডেস্ক: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের লক্ষ্যে তার বিরুদ্ধে একটি বড় ধরনের অপপ্রচার চালানোর ষড়যন্ত্র করছে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রুশ গোয়েন্দা সংস্থার ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এসভিআর) শাখা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর তাসের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একটি ছদ্ম-গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে ইউক্রেনের শাসন ক্ষমতার প্রধানকে সরাতে চায় ন্যাটো। জোটটি মনে করে, ইউক্রেনে এই নির্বাচন আগামী শরতের আগে অনুষ্ঠিত হবে। এতে আরো বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণার আগে জেলেনস্কির বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি বিশাল অপপ্রচারের পরিকল্পনা করছে ন্যাটো সদর দপ্তর।
রুশ গোয়েন্দা সংস্থার ধারণা, ন্যাটোর পরিকল্পনাটি হতে পারে জনসাধারণের কাছে সরকারের গোপন তথ্য প্রকাশ করা। প্রেসিডেন্ট এবং তার ঘনিষ্ঠ মহল যুদ্ধাস্ত্র কেনার জন্য নির্ধারিত তহবিল থেকে ১.৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি আত্মসাৎ করেছে, এমন তথ্য প্রকাশ হতে পারে।
এসভিআর বলছে, ন্যাটোর পরিকল্পনাটিতে এমন একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে; যেখানে ১ লাখ ৩০ হাজার নিহত ইউক্রেনীয় সৈন্যের জন্য অর্থ প্রদান করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। এসব সেনা আনুষ্ঠানিকভাবে কর্তব্যরত কর্মী হিসেবে তালিকাভুক্ত; যাদের জেলেনস্কি এবং তার সহযোগীরা বিদেশে পাঠিয়েছেন। এছাড়া তারা আফ্রিকান দেশগুলোর বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছে বিপুল পরিমাণে পশ্চিমা অনুদানপ্রাপ্ত অস্ত্র এবং যানবাহন বিক্রিতে ইউক্রেনীয় সর্বোচ্চ কমান্ডার-ইন-চিফ-এর জড়িত থাকার বিষয়টিও প্রকাশ করার পরিকল্পনা করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ন্যাটো বুঝতে পেরেছে- জেলেনস্কির সময় শেষ হয়ে গেছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক, এই উপলব্ধি লাখ লাখ ইউক্রেনীয় নাগরিকের জীবনের মূল্য দিয়ে এসেছে।
রুশ গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, যে কোনো মূল্যে ইউক্রেনকে রাশিয়াবিরোধী শক্তঘাঁটি হিসেবে দেখতে চায় ন্যাটোর নেতৃত্ব প্রদানকারী দেশগুলো। তাদের লক্ষ্য হলো মীমাংসার শুরুতে যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে সংলাপের দিকে পরিচালিত করে সংঘাত থামানো।
ন্যাটোর এই পরিকল্পনায় সবচেয়ে বড় বাধা হলেন ইউক্রেনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি, এ বিষয়ে একমত হয়েছে ওয়াশিংটন এবং ব্রাসেলস। জেলেনস্কিকে ইতোমধ্যে বন্ধ দরজার আড়ালে পশ্চিমা বিশ্বে মৃত বলে ধরা হচ্ছে।
এসভিআর বলছে, ব্রাসেলস নিশ্চিত যে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী খুব শিগগিরই রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ক্রমবর্ধমান হামলা নিয়ন্ত্রণ করার আর সক্ষমতা থাকবে না। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরই কিয়েভকে পশ্চিমাদের সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়ে অনিশ্চয়তা ক্রমেই বাড়ছে।