আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান ফিলিস্তিনের পবিত্র নগরী জেরুজালেমে নতুন প্রশাসন নিয়োগের প্রস্তাবনা দিয়েছেন। গত সোমবার (১৭ মে) তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এরদোয়ান এই প্রস্তাবনা দেন। খবর বার্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সির।
এ সময় এরদোগান বলেন, নতুন প্রশাসনকে আমরা কূটনীতিক ও সামরিক উভয়ভাবেই সহায়তা করতে প্রস্তুত। এই মুহূর্তে আমরা বিশ্বাস করি জেরুজালেমে আলাদা ব্যবস্থা করার দরকার আছে। জেরুজালেমে স্থায়ী শান্তি ও প্রশান্তি অর্জনের জন্য, যেখানে মুসলমান, ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের অপরিহার্য ধর্মীয় প্রতীক রয়েছে। শান্তির জন্যে প্রত্যেককে অবশ্যই ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে জেরুজালেমকে তিন ধর্মের প্রতিনিধিদের কমিশন গঠন করে পরিচালিত করতে হবে। এছাড়া এই প্রাচীন শহরে স্থায়ী শান্তি অর্জন করা সহজে সম্ভব হবে না।
তিনি আরও বলেন, মুসলমানদের পবিত্রতম মসজিদে হামলাকারী এবং নিরপরাধ নারী-শিশুসহ ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের ওপর বোমা হামলাকারী ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল এ প্রাচীন নগরীর কর্তৃত্ব করতে পারে না। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, অসহায় ফিলিস্তিনিদের কোনো যুদ্ধবিমান নেই, ইসরায়েল কেন গাজায় যুদ্ধবিমান দিয়ে আবাসিক এলাকায় হামলা চালাচ্ছে। কিছু মানুষ রয়েছে যার ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি শিশুদের নিহতের খবরে আতঙ্কিত হন না। অথচ এই যুদ্ধে ইসরায়েলি শিশুরা ভয়ে আছে- এই ভাবনায় আতঙ্কিত।
এছাড়া এরদোয়ান ইসরায়েলের পতাকা উত্তোলনের ঘটনায় অস্ট্রিয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এরদোগান বলেন, অস্ট্রিয়ার আচরণ দেখে মনে হচ্ছে— তারা ফিলিস্তিনে অসহায় মুসলিমদের ওপর ইসরায়েলের গণহত্যার অপেক্ষায় আছে।
জেরুজালেম নিয়ে এরদোয়ানের নতুন প্রস্তাবনা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ