ঢাকা ১২:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

জেনিভা ক্যাম্পে শাহ আলম হত্যা, গ্রেফতার দেখানো হল ২৬ জনকে

  • আপডেট সময় : ০৯:২৪:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: মোহাম্মদপুরের জেনিভা ক্যাম্পে মাদক কারবারীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে কিশোর শাহ আলম নিহতের ঘটনায় করা মামলায় ২৬ আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়েছে আদালত।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জুয়েল রানা এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আসামিরা হলেন-নাসির হোসেন নাশু, ফাইয়াজ হোসেন, মো. রাসেল, মো. হিরা, মো. আল আমিন, মো. জামিল, মো. ফয়সাল হোসেন, মো. গোলাম রসুল, মো. মোস্তাক, মো. সাইদ হোসেন, মো. শুভ, মো. রাকিব, মো. সেলিম, মো. শাওন, মো. মাসুদ রানা, মো. আকাশ, মো. ইসতিয়াক, মো. রাশেদ, মো. রাসেল, মো. রাজ, মো. রাজিব, মো. বশির, মো. পাপ্পু, শাহ আলম, মো. আজাদ হোসেন ও ফয়সাল হোসেন। গেল ১২ আগস্টে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. মাজহারুল ইসলাম আসামিদের শাহ আলম হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর ২৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। শাহ আলম মারা যাওয়ার দুইদিন পর গত ১৩ আগস্টে তার বাবা মো. রুবেল বাদী হয়ে মোহাম্মদ পুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১১ আগস্ট সকার থেকে মোহাম্মদপুরের জেনিভা ক্যাম্পে এলাকায় মাদক কারবারীদের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে আসছিল। ওইদিন দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে আসামিরা লাঠি ও দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ওই সময় ককটেলও ফাটানো হয়। এ সময় ভুক্তভোগী ১৬ বছর বয়সী শাহ আলম বছিলা থেকে তার নানির সঙ্গে দেখা করার জন্য জিনেভা ক্যাম্প এলাকায় যায়। সেখানে যাওয়ার পর দুপুর ৩টার দিকে তাকে চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়। পরে শাহ আলমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় শাহ আলমের বাবা যে মামলা করেন তাতে ৩১ জনের নাম আসামির তালিকায় দেওয়া হয়েছে, এছাড়া অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকেও আসামি করা হয়।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জেনিভা ক্যাম্পে শাহ আলম হত্যা, গ্রেফতার দেখানো হল ২৬ জনকে

আপডেট সময় : ০৯:২৪:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: মোহাম্মদপুরের জেনিভা ক্যাম্পে মাদক কারবারীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে কিশোর শাহ আলম নিহতের ঘটনায় করা মামলায় ২৬ আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়েছে আদালত।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জুয়েল রানা এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আসামিরা হলেন-নাসির হোসেন নাশু, ফাইয়াজ হোসেন, মো. রাসেল, মো. হিরা, মো. আল আমিন, মো. জামিল, মো. ফয়সাল হোসেন, মো. গোলাম রসুল, মো. মোস্তাক, মো. সাইদ হোসেন, মো. শুভ, মো. রাকিব, মো. সেলিম, মো. শাওন, মো. মাসুদ রানা, মো. আকাশ, মো. ইসতিয়াক, মো. রাশেদ, মো. রাসেল, মো. রাজ, মো. রাজিব, মো. বশির, মো. পাপ্পু, শাহ আলম, মো. আজাদ হোসেন ও ফয়সাল হোসেন। গেল ১২ আগস্টে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. মাজহারুল ইসলাম আসামিদের শাহ আলম হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর ২৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। শাহ আলম মারা যাওয়ার দুইদিন পর গত ১৩ আগস্টে তার বাবা মো. রুবেল বাদী হয়ে মোহাম্মদ পুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১১ আগস্ট সকার থেকে মোহাম্মদপুরের জেনিভা ক্যাম্পে এলাকায় মাদক কারবারীদের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে আসছিল। ওইদিন দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে আসামিরা লাঠি ও দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ওই সময় ককটেলও ফাটানো হয়। এ সময় ভুক্তভোগী ১৬ বছর বয়সী শাহ আলম বছিলা থেকে তার নানির সঙ্গে দেখা করার জন্য জিনেভা ক্যাম্প এলাকায় যায়। সেখানে যাওয়ার পর দুপুর ৩টার দিকে তাকে চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়। পরে শাহ আলমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় শাহ আলমের বাবা যে মামলা করেন তাতে ৩১ জনের নাম আসামির তালিকায় দেওয়া হয়েছে, এছাড়া অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকেও আসামি করা হয়।