ঢাকা ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

জুয়েলারি শিল্পের সমস্যা সমাধানে ঐক্য প্রয়োজন: বাজুস সভাপতি

  • আপডেট সময় : ০২:৩৫:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর বলেছেন, ‘জুয়েলারি শিল্পের সমস্যা সমাধানে সারাদেশের সকল মালিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। দেশের সকল জুয়েলারি ব্যবসায়ী বাজুসের সদস্য হলে, এই খাতে শৃঙ্খলা আসবে। পাশাপাশি বাজুসের তথ্যবহুল একটি পরিসংখ্যান ভা-ার গড়ে তোলার ওপর তাগিদ দিয়েছেন এই ব্যবসায়ী নেতা।’
গত সোমবার রাতে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বাজুস কার্যনির্বাহী কমিটির দ্বিতীয় সভায় এসব কথা বলেন সংগঠনের নব-নির্বাচিত সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর। এই সভায় বাজুসের নব-নির্বাচিত সভাপতিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বসুন্ধরা সিটি দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও বাজুসের সহসভাপতি এম. এ. হান্নান আজদ।
বাজুস সভাপতি বলেন, ‘বাজুসকে আর্ন্তজাতিকভাবে পরিচিত ও সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও গতিশীল করার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের এই পথ চলা। বাজুসের সেবার পরিধি ও কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সকল জেলায় বাজুসের আধুনিক ব্যবস্থাপনার অফিস স্থাপন প্রয়োজন। এছাড়া সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে বাজুস সচিবালয় ঢেলে সাজানোর কথা জানিয়েছেন বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি লিমিটেড ও আরিশা জুয়েলার্স লিমিটেডের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক।’
বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, ‘আমরা শিল্পটাকে আগামীতে উন্নত করার চেষ্টা করবো। আমি এ পর্যন্ত দেখেছি যে, জুয়েলারি শিল্পে শুধু আমদানিই করা হয়। এখনো আমরা রপ্তানির ক্ষেত্রে বিকাশ ঘটাতে পারিনি। দেশে জুয়েলারি শিল্পের আরও প্রসার ও রফতানি ক্ষেত্রে বিকাশ ঘটাতে হবে। মূলত আমার লক্ষ্যটা থাকবে জুয়েলারি শিল্পের প্রসার। এক্ষেত্রে ভ্যাট ও কর সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করবো জুয়েলারি শিল্পের প্রসারের জন্য। জুয়েলারি শিল্পে আমরা রফতানিকারক দেশে পরিণত হতে চাই বলেও মত দেন দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তা পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাজুস কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায় ও এনামুল হক খান দোলন, বাজুস সহ-সভাপতি গুলজার আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, এম. এ. হান্নান আজদ, বাদল চন্দ্র রায় ও ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার আগরওয়ালা, সহ-সম্পাদক মাসুদুর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ উত্তম বণিক। এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন বাজুস সহ-সম্পাদক সমিত ঘোষ অপু, বিধান মালাকার, মো. জয়নাল আবেদীন খোকন, মো. লিটন হাওলাদার, নারায়ান চন্দ্র দে, মো. তাজুল ইসলাম লাভলু ও এনামুল হক ভুঞা লিটন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জুয়েলারি শিল্পের সমস্যা সমাধানে ঐক্য প্রয়োজন: বাজুস সভাপতি

আপডেট সময় : ০২:৩৫:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২১

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর বলেছেন, ‘জুয়েলারি শিল্পের সমস্যা সমাধানে সারাদেশের সকল মালিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। দেশের সকল জুয়েলারি ব্যবসায়ী বাজুসের সদস্য হলে, এই খাতে শৃঙ্খলা আসবে। পাশাপাশি বাজুসের তথ্যবহুল একটি পরিসংখ্যান ভা-ার গড়ে তোলার ওপর তাগিদ দিয়েছেন এই ব্যবসায়ী নেতা।’
গত সোমবার রাতে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বাজুস কার্যনির্বাহী কমিটির দ্বিতীয় সভায় এসব কথা বলেন সংগঠনের নব-নির্বাচিত সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর। এই সভায় বাজুসের নব-নির্বাচিত সভাপতিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বসুন্ধরা সিটি দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও বাজুসের সহসভাপতি এম. এ. হান্নান আজদ।
বাজুস সভাপতি বলেন, ‘বাজুসকে আর্ন্তজাতিকভাবে পরিচিত ও সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও গতিশীল করার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের এই পথ চলা। বাজুসের সেবার পরিধি ও কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সকল জেলায় বাজুসের আধুনিক ব্যবস্থাপনার অফিস স্থাপন প্রয়োজন। এছাড়া সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে বাজুস সচিবালয় ঢেলে সাজানোর কথা জানিয়েছেন বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি লিমিটেড ও আরিশা জুয়েলার্স লিমিটেডের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক।’
বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, ‘আমরা শিল্পটাকে আগামীতে উন্নত করার চেষ্টা করবো। আমি এ পর্যন্ত দেখেছি যে, জুয়েলারি শিল্পে শুধু আমদানিই করা হয়। এখনো আমরা রপ্তানির ক্ষেত্রে বিকাশ ঘটাতে পারিনি। দেশে জুয়েলারি শিল্পের আরও প্রসার ও রফতানি ক্ষেত্রে বিকাশ ঘটাতে হবে। মূলত আমার লক্ষ্যটা থাকবে জুয়েলারি শিল্পের প্রসার। এক্ষেত্রে ভ্যাট ও কর সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করবো জুয়েলারি শিল্পের প্রসারের জন্য। জুয়েলারি শিল্পে আমরা রফতানিকারক দেশে পরিণত হতে চাই বলেও মত দেন দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তা পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাজুস কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায় ও এনামুল হক খান দোলন, বাজুস সহ-সভাপতি গুলজার আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, এম. এ. হান্নান আজদ, বাদল চন্দ্র রায় ও ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার আগরওয়ালা, সহ-সম্পাদক মাসুদুর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ উত্তম বণিক। এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন বাজুস সহ-সম্পাদক সমিত ঘোষ অপু, বিধান মালাকার, মো. জয়নাল আবেদীন খোকন, মো. লিটন হাওলাদার, নারায়ান চন্দ্র দে, মো. তাজুল ইসলাম লাভলু ও এনামুল হক ভুঞা লিটন।