ঢাকা ১১:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে মূলত পাঁচ অভিযোগ

জুলাই হত্যার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা

  • আপডেট সময় : ০৩:৫৬:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় মেট্রোরেল ও বিটিভিসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুরের পর পরিদর্শন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ এনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

শেখ হাসিনার পাশাপাশি তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং অভ্যুত্থানের সময় আইজিপির দায়িত্বে থাকা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আসামি করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।

তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে সোমবার (১২ মে) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে ট্রাইব্যুনালে সংবাদ সম্মেলন করে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের প্রতিবেদনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাইব্যুনালের সদস্যবৃন্দ- ছবি সংগৃহীত

তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শুরু করার ৬ মাস ২৮ দিনের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালীন সময়ে দেশব্যাপী যে মানবতাবিরোধী অপরাধ, হত্যাকাণ্ড, গুলি করে আহত করা, লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মত যে সমস্ত অমানবিক কর্মকাণ্ড হয়েছিল, এই সমস্ত কর্মকাণ্ডগুলো তদন্ত করে প্রধান মাস্টারমাইন্ড এবং হুকুমদাতা হিসেবে সুপিরিয়র কমান্ডার হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেছেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে মূলত পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে জানিয়ে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, প্রথম অভিযোগ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে উসকানি ও প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

১৪ জুলাই প্রেস কনফারেন্সে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা, রাজাকারের নাতিপুতি বলেছিলেন। বলার মধ্য দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগ ও সহযোগী বাহিনী অক্সিলারি ফোর্স হিসেবে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, হত্যা করে, আহত করে এবং অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ করে।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বলছে, বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায়
নিজেদের লোক দিয়ে আগুন লাগিয়ে
তার দায় আন্দোলনকারীদের
ওপর চাপানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল,
সেই টেলিফোনিক নির্দেশ তদন্ত সংস্থার
হস্তগত হয়েছে।

দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, জুলাইয়ের সেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটানো হয়েছিল শেখ হাসিনার ‘সরাসরি নির্দেশে’। শেখ হাসিনার এরকম অনেক টেলিফোনিক কনভারসেশন জব্দ করেছে তদন্ত সংস্থা। তিনি রাষ্ট্রীয় সকল বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন হেলিকপ্টার, ড্রোন, এপিসিসহ মারণাস্ত্র ব্যবহার করে নিরস্ত্র, নিরীহ আন্দোলনকারী সিভিলিয়ান পপুলেশন, যারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে রত ছিল, তাদের সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন বা নির্মূল কারার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এক্ষেত্রে হত্যার নির্দেশ, গুলি করে আহত করার নির্দেশ, সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।

তাজুল ইসলাম বলেন, বাকি তিনটি অভিযোগ নির্দিষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। তবে সেসব অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য তিনি সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করতে চাননি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তদন্ত সংস্থার জমা দেওয়া সব তথ্যপ্রমাণ ও আলামত চিফ প্রসিকিউটর আইন অনুযায়ী বিশ্লেষণ করবেন। তার যদি মনে হয় যে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাহলে তিনি সেগুলোর ভিত্তিতে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করবেন। তারপর বিচারের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, জুলাইয়ের আন্দোলন দমাতে প্রায় দেড় হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে, ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে গুলি করে আহত করা হয়েছে, নারীদের ওপর সহিংসতা হয়েছে, ‘টার্গেট’ করে শিশুদের হত্যা করা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পর লাশ ও জীবিত মানুষকে একত্রিত করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, আহতদের হাসপাতালে নিতে, চিকিৎসা দিতে, এমনকি পোস্টমর্টেমেও বাধা দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয় তদন্ত প্রতিবেদনে এসেছে।
আন্দোলনকারীদের ওপর দায় চাপানোর জন্য বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় নিজেদের লোক দিয়ে আগুন লাগিয়ে তার দায় চাপানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছিল, তার টেলিফোনিক নির্দেশ তদন্ত সংস্থার হস্তগত হয়েছে।

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় মেট্রোরেল ও বিটিভিসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুরের পর পরিদর্শন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -ফাইল ছবি

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, মোটাদাগে এ মামলাকে তারা গণহত্যা বলছেন না, আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে মিল রেখে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ বলছেন। একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা এবং তার সহযোগীদের বিচারের উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

অভিযোগ দাখিলের পর প্রসিকিউশনের আবেদনে গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দেশ ছাড়ার পর থেকেই ভারতে অবস্থান করছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে মূলত পাঁচ অভিযোগ

জুলাই হত্যার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ০৩:৫৬:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ এনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

শেখ হাসিনার পাশাপাশি তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং অভ্যুত্থানের সময় আইজিপির দায়িত্বে থাকা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আসামি করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।

তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে সোমবার (১২ মে) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে ট্রাইব্যুনালে সংবাদ সম্মেলন করে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের প্রতিবেদনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাইব্যুনালের সদস্যবৃন্দ- ছবি সংগৃহীত

তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শুরু করার ৬ মাস ২৮ দিনের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালীন সময়ে দেশব্যাপী যে মানবতাবিরোধী অপরাধ, হত্যাকাণ্ড, গুলি করে আহত করা, লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মত যে সমস্ত অমানবিক কর্মকাণ্ড হয়েছিল, এই সমস্ত কর্মকাণ্ডগুলো তদন্ত করে প্রধান মাস্টারমাইন্ড এবং হুকুমদাতা হিসেবে সুপিরিয়র কমান্ডার হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেছেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে মূলত পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে জানিয়ে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, প্রথম অভিযোগ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে উসকানি ও প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

১৪ জুলাই প্রেস কনফারেন্সে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা, রাজাকারের নাতিপুতি বলেছিলেন। বলার মধ্য দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগ ও সহযোগী বাহিনী অক্সিলারি ফোর্স হিসেবে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, হত্যা করে, আহত করে এবং অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ করে।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বলছে, বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায়
নিজেদের লোক দিয়ে আগুন লাগিয়ে
তার দায় আন্দোলনকারীদের
ওপর চাপানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল,
সেই টেলিফোনিক নির্দেশ তদন্ত সংস্থার
হস্তগত হয়েছে।

দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, জুলাইয়ের সেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটানো হয়েছিল শেখ হাসিনার ‘সরাসরি নির্দেশে’। শেখ হাসিনার এরকম অনেক টেলিফোনিক কনভারসেশন জব্দ করেছে তদন্ত সংস্থা। তিনি রাষ্ট্রীয় সকল বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন হেলিকপ্টার, ড্রোন, এপিসিসহ মারণাস্ত্র ব্যবহার করে নিরস্ত্র, নিরীহ আন্দোলনকারী সিভিলিয়ান পপুলেশন, যারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে রত ছিল, তাদের সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন বা নির্মূল কারার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এক্ষেত্রে হত্যার নির্দেশ, গুলি করে আহত করার নির্দেশ, সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।

তাজুল ইসলাম বলেন, বাকি তিনটি অভিযোগ নির্দিষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। তবে সেসব অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য তিনি সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করতে চাননি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তদন্ত সংস্থার জমা দেওয়া সব তথ্যপ্রমাণ ও আলামত চিফ প্রসিকিউটর আইন অনুযায়ী বিশ্লেষণ করবেন। তার যদি মনে হয় যে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাহলে তিনি সেগুলোর ভিত্তিতে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করবেন। তারপর বিচারের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, জুলাইয়ের আন্দোলন দমাতে প্রায় দেড় হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে, ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে গুলি করে আহত করা হয়েছে, নারীদের ওপর সহিংসতা হয়েছে, ‘টার্গেট’ করে শিশুদের হত্যা করা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পর লাশ ও জীবিত মানুষকে একত্রিত করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, আহতদের হাসপাতালে নিতে, চিকিৎসা দিতে, এমনকি পোস্টমর্টেমেও বাধা দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয় তদন্ত প্রতিবেদনে এসেছে।
আন্দোলনকারীদের ওপর দায় চাপানোর জন্য বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় নিজেদের লোক দিয়ে আগুন লাগিয়ে তার দায় চাপানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছিল, তার টেলিফোনিক নির্দেশ তদন্ত সংস্থার হস্তগত হয়েছে।

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় মেট্রোরেল ও বিটিভিসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুরের পর পরিদর্শন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -ফাইল ছবি

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, মোটাদাগে এ মামলাকে তারা গণহত্যা বলছেন না, আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে মিল রেখে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ বলছেন। একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা এবং তার সহযোগীদের বিচারের উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

অভিযোগ দাখিলের পর প্রসিকিউশনের আবেদনে গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দেশ ছাড়ার পর থেকেই ভারতে অবস্থান করছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।