ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

জুলাই-আগস্টে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার আইসিসিতে চায় অ্যামনেস্টি

  • আপডেট সময় : ০৯:১২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

অ্যামনেস্টি লোগো

প্রত্যাশা ডেস্ক: বাংলাদেশে ২০২৪ সালে ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিটি ঘটনার বিচার রোম সনদের ১৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বুধবার (৯ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই আহ্বান জানায় সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া শাখা। বিবিসির ওই প্রতিবেদনে একটি ফাঁস হওয়া অডিও বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, আন্দোলন দমনে গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সাউথ এশিয়া ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের বিক্ষোভে প্রাণঘাতী দমন-পীড়নের নির্দেশ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছিলেন বলে কথিত অডিও-প্রমাণ বিশ্লেষণের পর নতুন তথ্য সামনে এনেছে বিবিসি। এই তথ্যের ভিত্তিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আবারও কর্তৃপক্ষের প্রতি সহিংসতার জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে, ওই বিক্ষোভ চলাকালীন প্রায় ১ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হতে পারেন। যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবহৃত প্রাণঘাতী ধাতব ছররা ভর্তি সামরিক রাইফেল ও শটগানের গুলিতে নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনী সাধারণত এগুলো ব্যবহার করে। এছাড়া হাজারো মানুষ গুরুতর জখম হয়েছেন, যার প্রভাব আজীবন রয়ে যেতে পারে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। সরাসরি সহিংসতাকারী কিংবা নির্দেশদাতা হোন না কেন, দোষীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এবং মৃত্যুদণ্ডবিহীন বিচার প্রক্রিয়া চালাতে হবে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনের প্রস্তাব অনুসারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন রোম সংবিধির ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) রেফার করে, সেই পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জোরালো আহ্বান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জাতিসংঘের প্রতিবেদনে করা সুপারিশ অনুযায়ী, রোম সনদের ১৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে বাংলাদেশে ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত ঘটনাগুলোকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মিটফোর্ড হাসপাতাল ‘শাটডাউন’ ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

জুলাই-আগস্টে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার আইসিসিতে চায় অ্যামনেস্টি

আপডেট সময় : ০৯:১২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: বাংলাদেশে ২০২৪ সালে ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিটি ঘটনার বিচার রোম সনদের ১৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বুধবার (৯ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই আহ্বান জানায় সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া শাখা। বিবিসির ওই প্রতিবেদনে একটি ফাঁস হওয়া অডিও বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, আন্দোলন দমনে গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সাউথ এশিয়া ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের বিক্ষোভে প্রাণঘাতী দমন-পীড়নের নির্দেশ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছিলেন বলে কথিত অডিও-প্রমাণ বিশ্লেষণের পর নতুন তথ্য সামনে এনেছে বিবিসি। এই তথ্যের ভিত্তিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আবারও কর্তৃপক্ষের প্রতি সহিংসতার জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে, ওই বিক্ষোভ চলাকালীন প্রায় ১ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হতে পারেন। যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবহৃত প্রাণঘাতী ধাতব ছররা ভর্তি সামরিক রাইফেল ও শটগানের গুলিতে নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনী সাধারণত এগুলো ব্যবহার করে। এছাড়া হাজারো মানুষ গুরুতর জখম হয়েছেন, যার প্রভাব আজীবন রয়ে যেতে পারে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। সরাসরি সহিংসতাকারী কিংবা নির্দেশদাতা হোন না কেন, দোষীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এবং মৃত্যুদণ্ডবিহীন বিচার প্রক্রিয়া চালাতে হবে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনের প্রস্তাব অনুসারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন রোম সংবিধির ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) রেফার করে, সেই পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জোরালো আহ্বান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জাতিসংঘের প্রতিবেদনে করা সুপারিশ অনুযায়ী, রোম সনদের ১৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে বাংলাদেশে ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত ঘটনাগুলোকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে।