ঢাকা ১২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
জানিয়েছেন চীনের রাষ্ট্রদূত

জুলাই-আগস্টে আহতদের চিকিৎসা সরঞ্জাম দেবে চীন

  • আপডেট সময় : ০৮:৪২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ. ই ইয়াও ওয়েন

নিজস্ব প্রতিবেদক: চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ. ই ইয়াও ওয়েন জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্টে আহতদের চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার দেশ। একইসঙ্গে ঢাকায় একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের প্রকল্পও নিয়েছে চীন।

গত রোববার (২৬ জানুয়ারি) গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুরে চীন ও জামায়াত ইসলামির উদ্যোগে আয়োজিত খাদ্যসামগ্রী ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন সরকারের পক্ষ থেকে গাজীপুরের জনগণের জন্য কিছু শীতের কম্বল ও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে এসেছি। শীতকালীন তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় অনেকের জীবন মাত্রা দুরুহ হয়ে পড়েছে। এই কম্বল শীত নিবারণে সহায়ক হবে।

ই ইয়াও ওয়েন বলেন, জামায়াতের আমিরকে ধন্যবাদ জানাই, বাংলাদেশের মানুষকে সহায়তা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি এই ওয়ামি স্কুল পরির্দশন করে খুশি হয়েছি। এই স্কুলে অনেক এতিম শিক্ষাথী জামায়াত ইসলামির মাধ্যমে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই এতিম শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। আমরা এই প্রতিষ্ঠানে চীনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেব। আমরা চীন রাষ্ট্রে ভবিষতে এতিম ও শিক্ষকদের আমন্ত্রণ জানাব আমাদের চীনের জীবনযাত্রা দেখার জন্য। চীন বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করে থাকে। চীনে কোটির উপরে মুসলমান রয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন বাংলাদেশ কুটনীতিক সম্পর্ক ভালো রয়েছে। দুই দেশে আরও বন্ধন মজবুত করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। যার বার্তা বাংলাদেশের জনগণের কাছে পৌঁছে দিবো। তিনি আগামীতে চীনের বর্ষপূতিতে বাংলাদেশের জনগণকে আমন্ত্রণ জানিয়ে কম্বলসহ খাদ্যসামগ্রী সহায়তা করতে পেরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য জামায়াতের ইসলামির আমির ড শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করার পর থেকে চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বাংলাদেশের যতগুলো বড় প্রকল্প রয়েছে, তার অধিকাংশগুলোতে চীনের সহায়তা রয়েছে। বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতুতে চীনের আর্থিক এবং কারিগরি সহায়তা পার্টনারশিপ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। যা বাংলাদেশের দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সাড়ে ৫ কোটি মানুষের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে।

 

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জানিয়েছেন চীনের রাষ্ট্রদূত

জুলাই-আগস্টে আহতদের চিকিৎসা সরঞ্জাম দেবে চীন

আপডেট সময় : ০৮:৪২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ. ই ইয়াও ওয়েন জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্টে আহতদের চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার দেশ। একইসঙ্গে ঢাকায় একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের প্রকল্পও নিয়েছে চীন।

গত রোববার (২৬ জানুয়ারি) গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুরে চীন ও জামায়াত ইসলামির উদ্যোগে আয়োজিত খাদ্যসামগ্রী ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন সরকারের পক্ষ থেকে গাজীপুরের জনগণের জন্য কিছু শীতের কম্বল ও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে এসেছি। শীতকালীন তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় অনেকের জীবন মাত্রা দুরুহ হয়ে পড়েছে। এই কম্বল শীত নিবারণে সহায়ক হবে।

ই ইয়াও ওয়েন বলেন, জামায়াতের আমিরকে ধন্যবাদ জানাই, বাংলাদেশের মানুষকে সহায়তা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি এই ওয়ামি স্কুল পরির্দশন করে খুশি হয়েছি। এই স্কুলে অনেক এতিম শিক্ষাথী জামায়াত ইসলামির মাধ্যমে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই এতিম শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। আমরা এই প্রতিষ্ঠানে চীনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেব। আমরা চীন রাষ্ট্রে ভবিষতে এতিম ও শিক্ষকদের আমন্ত্রণ জানাব আমাদের চীনের জীবনযাত্রা দেখার জন্য। চীন বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করে থাকে। চীনে কোটির উপরে মুসলমান রয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন বাংলাদেশ কুটনীতিক সম্পর্ক ভালো রয়েছে। দুই দেশে আরও বন্ধন মজবুত করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। যার বার্তা বাংলাদেশের জনগণের কাছে পৌঁছে দিবো। তিনি আগামীতে চীনের বর্ষপূতিতে বাংলাদেশের জনগণকে আমন্ত্রণ জানিয়ে কম্বলসহ খাদ্যসামগ্রী সহায়তা করতে পেরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য জামায়াতের ইসলামির আমির ড শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করার পর থেকে চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বাংলাদেশের যতগুলো বড় প্রকল্প রয়েছে, তার অধিকাংশগুলোতে চীনের সহায়তা রয়েছে। বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতুতে চীনের আর্থিক এবং কারিগরি সহায়তা পার্টনারশিপ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। যা বাংলাদেশের দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সাড়ে ৫ কোটি মানুষের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে।