ঢাকা ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

জুলাইয়ের সেরা জয়াসুরিয়া-ল্যাম্ব

  • আপডেট সময় : ১২:১৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরুতে চমক জাগানিয়া পারফরম্যান্স উপহার দেওয়ার দারুণ এক স্বীকৃতি পেলেন প্রবাথ জয়াসুরিয়া। ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’-এর সম্মাননা উঠল শ্রীলঙ্কার এই স্পিনারের হাতে। জুলাই মাসের সেরার লড়াইয়ে তিনি পেছনে ফেললেন ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টো ও ফ্রান্সের গুস্তাভ মেকিয়ানকে। গত মাসের সেরা নারী ও পুরুষ ক্রিকেটারের নাম সোমবার ঘোষণা করে আইসিসি। মেয়েদের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন ইংল্যান্ডের এমা ল্যাম্ব। সেরার লড়াইয়ে তিনি হারান স্বদেশি ন্যাট সিভার ও ভারতের রেনুকা সিংকে। গত মাসে টেস্ট ক্রিকেটে পা রেখেই আলো ঝলমলে পারফরম্যান্সে নিজেকে মেলে ধরেন জয়াসুরিয়া। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে অভিষেক হয় তার। ৩০ বছর বয়সে টেস্ট ক্যাপ পেয়ে দুই ইনিংসে নেন ৬টি করে উইকেট। গড়েন অভিষেকে কোনো বাঁহাতি স্পিনারের সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে নেন ৫ উইকেট। ১৪৫ বছরের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম তিন ইনিংসের প্রতিটিতেই অন্তত পাঁচ উইকেট নেওয়ার অনন্য কীর্তি গড়েন তিনি। ওই ম্যাচে তার প্রাপ্তি ছিল ৯টি। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট জয়ে তিনি নেন ৮ উইকেট। দুটি সিরিজই সমতায় শেষ করে শ্রীলঙ্কা। গত মাসে তিন টেস্টে ২০.৩৭ গড়ে জয়াসুরিয়ার মোট উইকেট ২৯টি। মাস সেরার স্বীকৃতি পেয়ে উচ্ছ্বসিত জয়াসুরিয়া ধন্যবাদ দিলেন ভক্ত, সতীর্থ, পরিবার, বন্ধুদের। “এই স্বীকৃতি পেয়ে আমি আনন্দিত। আইসিসির মাস সেরা পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে আমাকে ভোট দেওয়ায় ভক্তদের ধন্যবাদ। অবশ্যই এটা আমার জন্য অবিশ্বাস্য মাস ছিল। আমার টেস্ট অভিষেক হলো এবং অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সমতা আনতে অবদান রাখার সুযোগ পেলাম।”
“আমার এই পথচলায় সহযোগিতা করায় ভক্ত, সতীর্থ, কোচ, পরিবার ও বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাই। জীবনের এই মুহূর্তে যে অভিজ্ঞতা হচ্ছে, তাতে আমি রোমাঞ্চিত।” নারী ক্রিকেটে সেরা হওয়া ল্যাম্ব গত মাসে ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ করায় বড় অবদান রাখেন। প্রথম ম্যাচে তিনি করেন সেঞ্চুরি, ১০২। পরের দুই ম্যাচে খেলেন ৬৭ ও ৬৫ রানের ইনিংস। ৭৮ গড়ে ২৩৪ রান করে সিরিজের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন তিনিই। এছাড়া শেষ ম্যাচে হাত ঘুরিয়ে উইকেটও নেন ৩টি। দারুণ এই পারফরম্যান্সে প্রথমবারের মতো মাস সেরার স্বীকৃতি পেলেন তিনি। গত বছর থেকে আইসিসি মাস সেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করে। আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে। সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া অংশীদারিত্ব আরো গভীর করার অঙ্গীকার

জুলাইয়ের সেরা জয়াসুরিয়া-ল্যাম্ব

আপডেট সময় : ১২:১৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরুতে চমক জাগানিয়া পারফরম্যান্স উপহার দেওয়ার দারুণ এক স্বীকৃতি পেলেন প্রবাথ জয়াসুরিয়া। ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’-এর সম্মাননা উঠল শ্রীলঙ্কার এই স্পিনারের হাতে। জুলাই মাসের সেরার লড়াইয়ে তিনি পেছনে ফেললেন ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টো ও ফ্রান্সের গুস্তাভ মেকিয়ানকে। গত মাসের সেরা নারী ও পুরুষ ক্রিকেটারের নাম সোমবার ঘোষণা করে আইসিসি। মেয়েদের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন ইংল্যান্ডের এমা ল্যাম্ব। সেরার লড়াইয়ে তিনি হারান স্বদেশি ন্যাট সিভার ও ভারতের রেনুকা সিংকে। গত মাসে টেস্ট ক্রিকেটে পা রেখেই আলো ঝলমলে পারফরম্যান্সে নিজেকে মেলে ধরেন জয়াসুরিয়া। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে অভিষেক হয় তার। ৩০ বছর বয়সে টেস্ট ক্যাপ পেয়ে দুই ইনিংসে নেন ৬টি করে উইকেট। গড়েন অভিষেকে কোনো বাঁহাতি স্পিনারের সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে নেন ৫ উইকেট। ১৪৫ বছরের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম তিন ইনিংসের প্রতিটিতেই অন্তত পাঁচ উইকেট নেওয়ার অনন্য কীর্তি গড়েন তিনি। ওই ম্যাচে তার প্রাপ্তি ছিল ৯টি। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট জয়ে তিনি নেন ৮ উইকেট। দুটি সিরিজই সমতায় শেষ করে শ্রীলঙ্কা। গত মাসে তিন টেস্টে ২০.৩৭ গড়ে জয়াসুরিয়ার মোট উইকেট ২৯টি। মাস সেরার স্বীকৃতি পেয়ে উচ্ছ্বসিত জয়াসুরিয়া ধন্যবাদ দিলেন ভক্ত, সতীর্থ, পরিবার, বন্ধুদের। “এই স্বীকৃতি পেয়ে আমি আনন্দিত। আইসিসির মাস সেরা পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে আমাকে ভোট দেওয়ায় ভক্তদের ধন্যবাদ। অবশ্যই এটা আমার জন্য অবিশ্বাস্য মাস ছিল। আমার টেস্ট অভিষেক হলো এবং অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সমতা আনতে অবদান রাখার সুযোগ পেলাম।”
“আমার এই পথচলায় সহযোগিতা করায় ভক্ত, সতীর্থ, কোচ, পরিবার ও বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাই। জীবনের এই মুহূর্তে যে অভিজ্ঞতা হচ্ছে, তাতে আমি রোমাঞ্চিত।” নারী ক্রিকেটে সেরা হওয়া ল্যাম্ব গত মাসে ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ করায় বড় অবদান রাখেন। প্রথম ম্যাচে তিনি করেন সেঞ্চুরি, ১০২। পরের দুই ম্যাচে খেলেন ৬৭ ও ৬৫ রানের ইনিংস। ৭৮ গড়ে ২৩৪ রান করে সিরিজের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন তিনিই। এছাড়া শেষ ম্যাচে হাত ঘুরিয়ে উইকেটও নেন ৩টি। দারুণ এই পারফরম্যান্সে প্রথমবারের মতো মাস সেরার স্বীকৃতি পেলেন তিনি। গত বছর থেকে আইসিসি মাস সেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করে। আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে। সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।