ক্রীড়া ডেস্ক: শ্রীলঙ্কা সফরের শুরুটা গলে টেস্ট ড্র দিয়ে হলেও পরের টেস্টে বড় ব্যবধানে হারতে হয় বাংলাদেশকে। এরপর ওয়ানডে সিরিজেও ২-১ ব্যবধানে পরাজিত হয় টাইগাররা। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারের পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে দল। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের দুই ম্যাচে দাপুটে জয় তুলে নিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। এই প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেশ ও বিদেশ মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল টাইগাররা।
এই ঐতিহাসিক জয় শহীদদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন অধিনায়ক লিটন দাস। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন- এখন যেহেতু জুলাই মাস, সেহেতু শহীদদের উদ্দেশ্যে এ সিরিজটা আমরা উৎসর্গ করতে চাই।’
সিরিজ সেরা হয়েছেন লিটন নিজেই। তবে ব্যক্তিগত পুরস্কারের চেয়ে দলের জয়কেই গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। তার ভাষায়- প্রথমত যেকোনো সিরিজ জয়ই ভালো অনুভূতি অধিনায়কের জন্য। আমি মনে করি, আপনারাও অনেক খুশি। বাংলাদেশি সমর্থক যারা ক্রিকেট লাভার, তারাও অনেক খুশি যে আমরা শ্রীলঙ্কার মাঠে এসে সিরিজ জিততে পেরেছি।
আগেও অধিনায়ক হিসেবে সফল ছিলেন লিটন। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে স্বাগতিকদের ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে চমক দেখায় বাংলাদেশ। তিনি জানান, দুই সিরিজই আমার কাছে অনেক বড়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা, দুই দলই টি-টোয়েন্টিতে শক্ত প্রতিপক্ষ। দুইটাকেই সমান গুরুত্ব দিচ্ছি।
টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় দিয়ে লঙ্কা সফর শেষ করে ১৭ জুলাই সকালে দেশে ফিরেছে টাইগাররা। তবে বিশ্রামের সুযোগ নেই। আগামী ২০ জুলাই শুরু হচ্ছে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। গত মে মাসে পাকিস্তানের মাটিতে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার ঘরের মাঠে সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ লিটনদের সামনে।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ