নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজান মাসের শেষ শুক্রবার (২৮ মার্চ) ‘জুমাতুল বিদা’ উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে মুসলিম উম্মাহর সমৃদ্ধি, ঐক্য ও মুক্তি কামনা করে প্রার্থনা এবং মুসল্লিদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) জুমার নামাজের পর খতিব মুফতি আবদুল মালেক এ মোনাজাত পরিচালনা করেন।
এ সময় হাজার হাজার মুসল্লির আমিন আমিন ধ্বনিতে পুরো মসজিদ মুখর হয়ে ওঠে। মোনাজাতে আল্লাহর কাছে দেশ ও জাতির কল্যাণ, সাফল্য এবং শান্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়। একইসঙ্গে দেশের শাসক, জনগণ, এবং মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তির জন্য দোয়া করা হয়।
জুমাতুল বিদার নামাজে অংশ নিতে বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ব্যাপক সমাগম দেখা যায়।
রমজান মাসের শেষ শুক্রবার অথবা শেষ জুমাবারের দিন জুমাতুল বিদা হিসেবে মুসলিম বিশ্বে পরিচিত। এই দিনটিকে ইসলামে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, রমজান মাসের সর্বোত্তম বা উৎকৃষ্ট দিবস হলো জুম্মাতুল বিদা (শেষ জুম্মা)। তাই মুসলিম উম্মাহর কাছে এ দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম।
মুফতি আবদুল মালেক মোনাজাতে বলেন, এই পবিত্র দিনে আল্লাহর কাছে আমরা প্রার্থনা করছি, যেন আমাদের দেশ ও জাতি উন্নতির শিখরে পৌঁছায়, জনগণের জীবনমান উন্নত হয় এবং সব প্রকার অশান্তি, যুদ্ধ, দারিদ্র্য ও বৈষম্য থেকে মুক্তি মেলে।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহর কাছে আমাদের গোনাহ মাফ করার পাশাপাশি দেশবাসীর জন্য কল্যাণ কামনা করছি। একইসঙ্গে মোনাজাতে রমজান মাসে মুসলিম উম্মাহর জন্য রহমত, মাগফিরাত ও মুক্তির জন্য দোয়া করা হয়। মোনাজাতে স্থান পায় নির্যাতিত গাজাবাসীর মুক্তির প্রার্থনাও।
অন্যদিকে মুসল্লিরাও আল্লাহর প্রতি গভীর আস্থার সঙ্গে এই মোনাজাতে অংশ নেন। তারাও দেশ ও জাতির জন্য দোয়া করেন। অনেককেই কান্না করতেও দেখা গেছে।
এর আগে, জুমার নামাজ ঘিরে বায়তুল মোকাররম এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়। পল্টন মোড় থেকে শুরু করে উত্তর গেট পর্যন্ত কয়েকটি পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দায়িত্ব পালন করেন ডিএমপির ডিবি পুলিশ এবং এলিট ফোর্স র্যাব।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ