ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

জুনে চালু হবে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট

  • আপডেট সময় : ০১:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

খুলনা প্রতিনিধি : বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে আগামী জুনে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে। এটি চালু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া কয়লা সংকটে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রথম ইউনিটও সামনের সপ্তাহে পুনরায় চালু হবে। গতকাল শনিবার সকালে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনের পর তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির (বিআইএফপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদ আকরাম উল্লাহ, প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডেসহ ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সকাল ১০টায় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আসেন। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন স্থাপন ঘুরে দেখেন তিনি। এ সময় কেন্দ্রের কর্মকর্তারা হাইকমিশনারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। আধুনিক সব মেশিন পত্র দেখে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন প্রণয় ভার্মা।
২০১০ সালে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড-এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাঃ) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) নামে কোম্পানি গঠিত হয়। এই কোম্পানির অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান শুরু হয় । রমাপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী কৈ-গর্দ্দাশকাঠি মৌজায় ১ হাজার ৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ করে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই শুরু হয় জমি ভরাট ও সড়ক নির্মাণের কাজ। প্রায় ৯ বছর বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষে গত বছর বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যায় প্রতিষ্ঠানটি। গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় এবং জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। কিন্তু এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে গত ১৪ জানুয়ারি কয়লা সংকটে বন্ধ হয়ে যায় রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বজ্রপাতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

জুনে চালু হবে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট

আপডেট সময় : ০১:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

খুলনা প্রতিনিধি : বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে আগামী জুনে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে। এটি চালু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া কয়লা সংকটে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রথম ইউনিটও সামনের সপ্তাহে পুনরায় চালু হবে। গতকাল শনিবার সকালে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনের পর তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির (বিআইএফপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদ আকরাম উল্লাহ, প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডেসহ ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সকাল ১০টায় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আসেন। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন স্থাপন ঘুরে দেখেন তিনি। এ সময় কেন্দ্রের কর্মকর্তারা হাইকমিশনারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। আধুনিক সব মেশিন পত্র দেখে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন প্রণয় ভার্মা।
২০১০ সালে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড-এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাঃ) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) নামে কোম্পানি গঠিত হয়। এই কোম্পানির অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান শুরু হয় । রমাপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী কৈ-গর্দ্দাশকাঠি মৌজায় ১ হাজার ৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ করে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই শুরু হয় জমি ভরাট ও সড়ক নির্মাণের কাজ। প্রায় ৯ বছর বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষে গত বছর বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যায় প্রতিষ্ঠানটি। গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় এবং জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। কিন্তু এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে গত ১৪ জানুয়ারি কয়লা সংকটে বন্ধ হয়ে যায় রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন।