ঢাকা ১২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

জীবনের অভিশাপ অলসতা

  • আপডেট সময় : ১১:৩৯:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: অলসতাকে বলা যায় জীবনের একটি অভিশাপ। উন্নতির পথে অন্যতম অন্তরায়। এছাড়া অলস ব্যক্তি অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করেন। তা তাকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়। তাই উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য চাই অলসতা ঝেড়ে কর্মচঞ্চল জীবন। তাই অলসতা দূর করা ছাড়া উপায় নেই। এ জন্য কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই সমাধান হয়ে যাবে।
অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন। এতে আপনার শরীর ও মন সতেজ থাকবে। ঘুম থেকে উঠেই প্রচুর পানি সহকারে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনি নিমেষেই স্বস্তিবোধ করবেন। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করুন। প্রতিদিন অন্তত ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা। খাদ্য তালিকা পরিচ্ছন্ন রাখুন। প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি, ফলমূল ও আঁশজাতীয় খাবার খান। পারতপক্ষে তৈলাক্ত ও ভারী খাবার থেকে দূরে থাকুন। নিজ বাড়ি ও কর্মক্ষেত্র সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। এতে আপনি প্রচুর কর্মোদ্যম বোধ করবেন। প্রতিটি দিনের শুরু করুন ইতিবাচক প্রেরণা দিয়ে। নিজেকে নিজে বলুন, আমি পারবোই। অনুপ্রেরণামূলক সুর কিংবা গান শুনুন। এটি আপনাকে ফুরফুরে মেজাজে থাকতে সাহায্য করবে। আশপাশের একঘেয়ে পরিবেশ একটু বদলে ফেলুন। সবুজ গাছগাছালি, প্রিয় কোনো চিত্রকর্ম কিংবা কোনো শোপিস সাজিয়ে মোহনীয় করে তুলতে পারেন নিজস্ব জায়গা।
ইতিবাচক মানুষের সঙ্গে মিশতে চেষ্টা করুন সব সময়। এমন মানুষের সঙ্গে মিশুন যিনি আপনাকে সব সময় অনুপ্রেরণা, সাহস ও ভালোবাসা সঞ্চার করবেন। যে কোনো বিষয় খুব সহজভাবে ভাববেন। মনে রাখবেন, একটি সহজ বিষয় ও সহজ সমাধানই আপনাকে সাফল্যের পথে ধাবিত করে। কর্মতালিকা প্রণয়ন করুন। কোন কাজটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেটি নির্ণয় করার চেষ্টা করুন। এবার সে অনুযায়ী কাজ করুন। সহজ কাজটি দিয়ে কাজ করা শুরু করুন। কঠিন ও জটিল বিষয়গুলো সময় নিয়ে ধীরে-সুস্থে করুন। বড় কোনো কাজ বা লক্ষ্য ছোট ছোট কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে নিয়ে কাজ করুন। কাজটি সহজ হয়ে ধরা দেবে আপনার কাছে। সময়ের মূল্য দিন। অবসর সময়টাও এমন কোনো কাজ করে কাটান যে কাজটি আপনাকে বেশ অনুপ্রেরণা দেবে। সেটি হতে পারে বই পড়া, লেখালিখি করা কিংবা ছবি আঁকা। প্রতিটি কাজের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা ঠিক করুন। এক কাজের সময়ে অন্য কাজ করে কখনো ওই সময়টি নষ্ট করবেন না। প্রতিটি মুহূর্তই মূল্যবান।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জীবনের অভিশাপ অলসতা

আপডেট সময় : ১১:৩৯:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক: অলসতাকে বলা যায় জীবনের একটি অভিশাপ। উন্নতির পথে অন্যতম অন্তরায়। এছাড়া অলস ব্যক্তি অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করেন। তা তাকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়। তাই উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য চাই অলসতা ঝেড়ে কর্মচঞ্চল জীবন। তাই অলসতা দূর করা ছাড়া উপায় নেই। এ জন্য কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই সমাধান হয়ে যাবে।
অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন। এতে আপনার শরীর ও মন সতেজ থাকবে। ঘুম থেকে উঠেই প্রচুর পানি সহকারে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনি নিমেষেই স্বস্তিবোধ করবেন। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করুন। প্রতিদিন অন্তত ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা। খাদ্য তালিকা পরিচ্ছন্ন রাখুন। প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি, ফলমূল ও আঁশজাতীয় খাবার খান। পারতপক্ষে তৈলাক্ত ও ভারী খাবার থেকে দূরে থাকুন। নিজ বাড়ি ও কর্মক্ষেত্র সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। এতে আপনি প্রচুর কর্মোদ্যম বোধ করবেন। প্রতিটি দিনের শুরু করুন ইতিবাচক প্রেরণা দিয়ে। নিজেকে নিজে বলুন, আমি পারবোই। অনুপ্রেরণামূলক সুর কিংবা গান শুনুন। এটি আপনাকে ফুরফুরে মেজাজে থাকতে সাহায্য করবে। আশপাশের একঘেয়ে পরিবেশ একটু বদলে ফেলুন। সবুজ গাছগাছালি, প্রিয় কোনো চিত্রকর্ম কিংবা কোনো শোপিস সাজিয়ে মোহনীয় করে তুলতে পারেন নিজস্ব জায়গা।
ইতিবাচক মানুষের সঙ্গে মিশতে চেষ্টা করুন সব সময়। এমন মানুষের সঙ্গে মিশুন যিনি আপনাকে সব সময় অনুপ্রেরণা, সাহস ও ভালোবাসা সঞ্চার করবেন। যে কোনো বিষয় খুব সহজভাবে ভাববেন। মনে রাখবেন, একটি সহজ বিষয় ও সহজ সমাধানই আপনাকে সাফল্যের পথে ধাবিত করে। কর্মতালিকা প্রণয়ন করুন। কোন কাজটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেটি নির্ণয় করার চেষ্টা করুন। এবার সে অনুযায়ী কাজ করুন। সহজ কাজটি দিয়ে কাজ করা শুরু করুন। কঠিন ও জটিল বিষয়গুলো সময় নিয়ে ধীরে-সুস্থে করুন। বড় কোনো কাজ বা লক্ষ্য ছোট ছোট কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে নিয়ে কাজ করুন। কাজটি সহজ হয়ে ধরা দেবে আপনার কাছে। সময়ের মূল্য দিন। অবসর সময়টাও এমন কোনো কাজ করে কাটান যে কাজটি আপনাকে বেশ অনুপ্রেরণা দেবে। সেটি হতে পারে বই পড়া, লেখালিখি করা কিংবা ছবি আঁকা। প্রতিটি কাজের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা ঠিক করুন। এক কাজের সময়ে অন্য কাজ করে কখনো ওই সময়টি নষ্ট করবেন না। প্রতিটি মুহূর্তই মূল্যবান।