ঢাকা ১২:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে সরকার: হাইকোর্ট

  • আপডেট সময় : ০৪:২১:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: জীবনরক্ষাকারী ওষুধের মূল্য নির্ধারণে সরকারই চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ—এ কথা স্পষ্ট করে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। সোমবার (২৪ নভেম্বর) প্রকাশিত এ রায়ে আদালত বলেন, এসব গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা কোনোভাবেই উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকতে পারে না।

জীবনরক্ষাকারী ওষুধের মূল্য নির্ধারণ বিষয়ে সরকারের ক্ষমতা সীমিত করে ১৯৯৪ সালে জারি করা সার্কুলারকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে জীবন রক্ষাকারী সব ওষুধের মূল্য সরকারকে নির্ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রকাশ করেছেন। এর আগে গত ২৫ আগস্ট ঘোষিত রায়টি আজ প্রকাশ করা হয়েছে।

সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আদালতে বলেন, ওষুধ যেহেতু জীবন রক্ষার অপরিহার্য উপাদান, মূল্য বৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রণহীনতা সরাসরি নাগরিকের বেঁচে থাকার অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই সরকারের ক্ষমতা সীমিত করার ওই সার্কুলার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

এর আগে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ওই সার্কুলারকে চ্যালেঞ্জ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০১৮ সালে জনস্বার্থে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। রুল জারির পর দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল নিষ্পত্তি করে এ নির্দেশনা দেন।

রায়ে আদালত বলেন, ১৯৮২ সালের ওষুধ (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, যা বর্তমানে ওষুধ ও কসমেটিক্স আইন, ২০২৩–এ প্রতিস্থাপিত হয়েছে, তার বিধান অনুযায়ী ওষুধের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ সরকারের এখতিয়ার। সেই নির্দেশনা লঙ্ঘন করে ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৪–এর সার্কুলারে সরকার ১১৭টি ওষুধ ছাড়া বাকি সব ওষুধের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের হাতে দিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেয়— তা আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

রিটের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আদালতে বলেন, ওষুধ যেহেতু জীবন রক্ষার অপরিহার্য উপাদান, মূল্য বৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রণহীনতা সরাসরি নাগরিকের বেঁচে থাকার অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই সরকারের ক্ষমতা সীমিত করার ওই সার্কুলার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

এসি/আপ্র/২৪/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে সরকার: হাইকোর্ট

আপডেট সময় : ০৪:২১:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: জীবনরক্ষাকারী ওষুধের মূল্য নির্ধারণে সরকারই চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ—এ কথা স্পষ্ট করে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। সোমবার (২৪ নভেম্বর) প্রকাশিত এ রায়ে আদালত বলেন, এসব গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা কোনোভাবেই উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকতে পারে না।

জীবনরক্ষাকারী ওষুধের মূল্য নির্ধারণ বিষয়ে সরকারের ক্ষমতা সীমিত করে ১৯৯৪ সালে জারি করা সার্কুলারকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে জীবন রক্ষাকারী সব ওষুধের মূল্য সরকারকে নির্ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রকাশ করেছেন। এর আগে গত ২৫ আগস্ট ঘোষিত রায়টি আজ প্রকাশ করা হয়েছে।

সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আদালতে বলেন, ওষুধ যেহেতু জীবন রক্ষার অপরিহার্য উপাদান, মূল্য বৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রণহীনতা সরাসরি নাগরিকের বেঁচে থাকার অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই সরকারের ক্ষমতা সীমিত করার ওই সার্কুলার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

এর আগে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ওই সার্কুলারকে চ্যালেঞ্জ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০১৮ সালে জনস্বার্থে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। রুল জারির পর দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল নিষ্পত্তি করে এ নির্দেশনা দেন।

রায়ে আদালত বলেন, ১৯৮২ সালের ওষুধ (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, যা বর্তমানে ওষুধ ও কসমেটিক্স আইন, ২০২৩–এ প্রতিস্থাপিত হয়েছে, তার বিধান অনুযায়ী ওষুধের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ সরকারের এখতিয়ার। সেই নির্দেশনা লঙ্ঘন করে ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৪–এর সার্কুলারে সরকার ১১৭টি ওষুধ ছাড়া বাকি সব ওষুধের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের হাতে দিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেয়— তা আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

রিটের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আদালতে বলেন, ওষুধ যেহেতু জীবন রক্ষার অপরিহার্য উপাদান, মূল্য বৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রণহীনতা সরাসরি নাগরিকের বেঁচে থাকার অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই সরকারের ক্ষমতা সীমিত করার ওই সার্কুলার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

এসি/আপ্র/২৪/১১/২০২৫