ঢাকা ০৬:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

‘জিয়া-এরশাদ-খালেদা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করত না’ : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০১:৪৬:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া এরা কেউই বাংলাদেশের স্বাধীনতায় এবং সাধারণ মানুষের উন্নতিতে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল রোববার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর সেই স্বপ্ন অপূর্ণ রয়ে যায়।
তিনি বলেন, “যারা পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসে তারা তো অনেক বড় বড় কথা বলেই এসেছিল। জাতির পিতার প্রতি অনেক কুৎসা রটনা করেছিল এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সব চেতনাগুলো নষ্ট করেছিল। তারা তো দেশের উন্নয়নে কাজ করেনি। কারণ তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসই করত না।
“জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া এরা কেউই বাংলাদেশের স্বাধীনতায়ও বিশ্বাস করে না, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের উন্নতিতেও বিশ্বাস করে না। তাই যদি করত তাহলে ১২ বছরের মধ্যে আমরা যেটা করতে পেরেছি, ২১ বছরে তারা তা করতে পারত, করেনি। কারণ তারা করবে না।”
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা একটা স্বপ্ন নিয়েই এই দেশকে গড়তে চেয়েছিলেন। তার স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে লক্ষ্যই ছিল বাংলাদেশটা উন্নত, সমৃদ্ধ হবে এবং বিশ্বের বুকে মর্যাদার সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর মাত্র সাড়ে ৩ বছর তিনি সময় পেয়েছিলেন। হাতে সময় ছিল না, সময়ই দেয়নি।
“কিন্তু এই সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে একটা স্বল্পোন্নত রাষ্ট্র হিসেবে তিনি প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরে যারা অবৈভভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে এবং মার্শাল ল জারি করে ক্ষমতা দখল করে, একের পর এক ছিল ক্ষমতা দখলের পালা। ২১টা বছর এদেশের মানুষের জীবন থেকে হারিয়ে যায়।”
তিনি বলেন, “২১টা বছর এদেশের মানুষের জীবনের কোনো উন্নয়নের দিকে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা তাকায়নি। ক্ষমতা তাদের কাছে ভোগের বস্তু ছিল, লুটপাটের জায়গা ছিল। নিজেদের আগের গোছানোর ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ যে অবহেলিত সেই অবহেলিত থেকে যায়। বাংলাদেশ যতটুকু জাতির পিতা করে গিয়েছিলেন তার থেকেও পেছনে নিয়ে যাওয়া হয়।”
দেশের উন্নয়নে জাতির পিতার নেওয়া নানা পদক্ষেপ এবং আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণের কথাও জানান সরকার প্রধান। কক্সবাজার বিমানবন্দর প্রান্ত থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। বিমান বাহিনী প্রধান শেখ আব্দুল হান্নানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘জিয়া-এরশাদ-খালেদা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করত না’ : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৪৬:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া এরা কেউই বাংলাদেশের স্বাধীনতায় এবং সাধারণ মানুষের উন্নতিতে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল রোববার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর সেই স্বপ্ন অপূর্ণ রয়ে যায়।
তিনি বলেন, “যারা পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসে তারা তো অনেক বড় বড় কথা বলেই এসেছিল। জাতির পিতার প্রতি অনেক কুৎসা রটনা করেছিল এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সব চেতনাগুলো নষ্ট করেছিল। তারা তো দেশের উন্নয়নে কাজ করেনি। কারণ তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসই করত না।
“জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া এরা কেউই বাংলাদেশের স্বাধীনতায়ও বিশ্বাস করে না, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের উন্নতিতেও বিশ্বাস করে না। তাই যদি করত তাহলে ১২ বছরের মধ্যে আমরা যেটা করতে পেরেছি, ২১ বছরে তারা তা করতে পারত, করেনি। কারণ তারা করবে না।”
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা একটা স্বপ্ন নিয়েই এই দেশকে গড়তে চেয়েছিলেন। তার স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে লক্ষ্যই ছিল বাংলাদেশটা উন্নত, সমৃদ্ধ হবে এবং বিশ্বের বুকে মর্যাদার সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর মাত্র সাড়ে ৩ বছর তিনি সময় পেয়েছিলেন। হাতে সময় ছিল না, সময়ই দেয়নি।
“কিন্তু এই সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে একটা স্বল্পোন্নত রাষ্ট্র হিসেবে তিনি প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরে যারা অবৈভভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে এবং মার্শাল ল জারি করে ক্ষমতা দখল করে, একের পর এক ছিল ক্ষমতা দখলের পালা। ২১টা বছর এদেশের মানুষের জীবন থেকে হারিয়ে যায়।”
তিনি বলেন, “২১টা বছর এদেশের মানুষের জীবনের কোনো উন্নয়নের দিকে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা তাকায়নি। ক্ষমতা তাদের কাছে ভোগের বস্তু ছিল, লুটপাটের জায়গা ছিল। নিজেদের আগের গোছানোর ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ যে অবহেলিত সেই অবহেলিত থেকে যায়। বাংলাদেশ যতটুকু জাতির পিতা করে গিয়েছিলেন তার থেকেও পেছনে নিয়ে যাওয়া হয়।”
দেশের উন্নয়নে জাতির পিতার নেওয়া নানা পদক্ষেপ এবং আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণের কথাও জানান সরকার প্রধান। কক্সবাজার বিমানবন্দর প্রান্ত থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। বিমান বাহিনী প্রধান শেখ আব্দুল হান্নানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।