নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু খুনের সঙ্গে জাড়িত বলে মন্তব্য করেছেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘একাত্তরের পর থেকে ঘটনাগুলো খেয়াল করলে দেখা যাবে, জিয়াই বঙ্গবন্ধুর খুনি।’
গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ) আয়োজিত ‘রক্তাক্ত আগস্ট ও মায়ের কান্না’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রেজাউল করিম বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে কেউ যখন অফিসার হিসেবে র্যাংক পায়, তখন তাদের একটা শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়, জীবন দিয়ে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রপতিকে রক্ষা করবে। কিন্তু, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কথা অফিসাররা যখন তাকে (জিয়াউর রহমান) জানাতে এলেন, তিনি বললেন গো-অ্যাহেড।’
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৯ দিন পর জিয়া উপপ্রধান থেকে সেনাপ্রধান হয়ে গেলেন। তিনিই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ব্যাংককে পালাতে সহায়তা করেছিলেন। সেখানে তাদের ক্যাশ ডলার পাঠিয়েছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ১২টি হাইকমিশনে বিভিন্ন পদে চাকরি দিয়েছিলেন তিনি।’ বাংলাদেশে দুটি বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে ১৯৭১ সালে। দ্বিতীয়বার সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে ৭৫ সালে। যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।’
আলোচনা সভায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি (অব.) শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘জিয়া ছিল পাকিস্তানপ্রেমী। খুনি জিয়া বুঝতে পেরেছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার খুনিদের না বাঁচালে তারাও ধরা পড়বে। তাই সে খুনিদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করেছিল। জিয়া কোনোদিনই মুক্তিযোদ্ধা ছিল না।’ বোয়াফের সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক স্বদেশ রায়, বীরপ্রতীক কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, সাবেক সংসদ নবী নেওয়াহ খাঁন প্রমুখ।
জিয়াই বঙ্গবন্ধুর খুনি: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ