ময়মনসিংহ সংবাদদাতা: শত্রুতাবশত জিহ্বা কেটে দেওয়া ময়মনসিংহের ত্রিশালের অন্তঃসত্ত্বা গাভিটি এখন আশঙ্কামুক্ত। খাচ্ছে স্বাভাবিক খাবার। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন গাভির মালিক।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ত্রিশাল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, জিহ্বা কেটে দেওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা দিয়ে রক্তপাত বন্ধ করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিক, ভিটামিন, কৃমিনাশকসহ প্রয়োজনীয় অন্য ওষুধ দেওয়া হয়। বর্তমানে গাভিটি আশঙ্কামুক্ত। গর্ভের বাছুরটিকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।
গাভিটির মালিক হরমুজ আলী উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের নামাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘গাভিটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। জিহ্বা কাটার পর কষ্টে ছটফট করছিল। গাভিটির চোখ দিয়ে অঝোরে পানি বের হচ্ছিল। পশু চিকিৎসকের সহায়তায় ওষুধ খাইয়ে গাভিটিকে সুস্থ করা হয়েছে। এখন খড়সহ অন্যান্য খাবার স্বাভাবিকভাবে খেতে পারছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার কোনো শত্রু নেই। তবে এখন মনে হচ্ছে, আমার বড় ধরনের শত্রু রয়েছে। যারা গাভিটির জিহ্বা কেটেছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক। যে বা যারা বোবা প্রাণীটির জিহ্বা কেটেছে, তারা মানুষরূপী অমানুষ।’
উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের নামাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজ মিয়া বলেন, ‘কোনো চোরচক্র এ কাজ করেছে বলে মনে হয় না। শত্রুতাবশত এমন কাজ করতে পারে। তবে অমানবিক ও নৃশংস এ ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনসুর আহমেদ বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় পুলিশ একটি জিডি করেছে। অমানবিক এ ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
গত ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যার পর হঠাৎ গোয়ালঘর থেকে গরুর চিৎকার শুনে দৌড়ে যান গরুর মালিক হরমুজ আলী। গিয়ে দেখেন, একটি গাভির মুখ রক্তে ভেজা, জিহ্বা নেই। পাশে একটি বালতিতে জিহ্বা ফেলে রাখা হয়েছে।
পরে হরমুজ আলীর ডাক-চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসেন। এই খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এসি/আপ্র/২৮/১০/২০২৫




















