ঢাকা ০৫:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

জিহ্বার নিচে ব্লেড, রাত হলেই ভয়ংকর

  • আপডেট সময় : ০১:৩৯:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাই চক্রের ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুর, মতিঝিল, মুগদা এবং তেজগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র‌্যাব বলছে, রাজধানীর বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, অলিগলিতে ওঁৎ পেতে থাকত ওই চক্রের সদস্যরা। সুযোগ পেলেই পথচারী, রিকশা-সিএনজি যাত্রীদের ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নিত। অনেক সময় জিহ্বার নিচে ব্লেড রেখে তারা সাধারণ মানুষের আশপাশে অবস্থান করত। সুযোগ বুঝে সাধারণ মানুষকে আহত করে মূল্যবান জিনিস নিয়ে সটকে পড়া্ি তাদের কৌশল। আশপাশের মানুষ কিছুই বুঝতে পারে না তাতে।
গতকাল কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এসব কথা জানান। র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, এই চক্রের সদস্যরা সহজ-সরল যাত্রীদের টার্গেট করে কখনো দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে, কখন বিষাক্ত চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করে। বিষাক্ত পানীয় সেবন বা বিষাক্ত স্প্রের মাধ্যমেও পথচারী ও যাত্রীদের শিকার বানাত। ঘ্রাণ নেওয়ার পর যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে অপরাধীরা সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে ভিড়ের মধ্যে মিশে যেত জানিয়ে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, এমন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত জনশূন্য রাস্তা, লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠত। তাদের ছিনতাইয়ে কেউ বাধা দিলে প্রাণঘাতী আঘাত করতেও দ্বিধা বোধ করে না তারা।
র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ রেলগেট, দৈনিক বাংলা মোড়, পীরজঙ্গি মাজার ক্রসিং, কমলাপুর বটতলা, মতিঝিল কালভার্ট রোড, হাতিরঝিল, শাহবাগ, রাজউক ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, পল্টন মোড়, গোলাপ শাহ মাজার ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, আব্দুল গণি রোড, মানিকনগর স্টেডিয়ামের সামনে, নন্দীপাড়া ব্রিজ, বাসাবো ক্রসিং এলাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোররাত পর্যন্ত ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বেশি দেখা যায়। এসব অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে র‌্যাবের সাঁড়াশি অভিযান চলতে থাকবে বলে জানায় সূত্র।
গত শুক্রবার রাতে সংঘবদ্ধ অজ্ঞান ও ছিনতাই চক্রের যে ৩৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন মিজানুর রহমান, সোহেল, মাসুদ রানা, সাব্বির, মো. আবু বকর সিদ্দিক, শাকিল, নাঈম মোল্লা, মো. সালমান, মো. জালাল হোসেন, মো. শাওন, শহিদুল ইসলাম, রফিক, আজিজুর, মো. সৈকত মন্ডল, মো. আরিফ গাজী, মো. জনি, মো. রুবেল, মো. আফজল, দ্বীন ইসলাম, মো. তুহিন, মো. রবিউল আউয়াল হৃদয়, মো. আরমান, মো. সানোয়ার হোসেন, মো. রুবেল, মো. সোহেল, মো. শান্ত, মো. আজাদ, মো. আকাশ, মো. নাইম খান, মো. আপন মিয়া, মো. নাজমুল হোসেন, মো. মাসুম মিয়া, মো. শান্ত, মো. সোহেল মাতব্বর, মো. হৃদয়, মো. সোহরাব এবং মো. ইয়াছিন ব্যাপারী। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় ১২টি মোবাইল ফোন, তিনটি সুইচ গিয়ার চাকু, তিনটি এন্টি কাটার, ১২টি ব্লেড, ছয়টি চাকু, তিনটি ক্ষুর, বিষাক্ত মলমের কৌটা ও স্প্রে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জিহ্বার নিচে ব্লেড, রাত হলেই ভয়ংকর

আপডেট সময় : ০১:৩৯:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাই চক্রের ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুর, মতিঝিল, মুগদা এবং তেজগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র‌্যাব বলছে, রাজধানীর বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, অলিগলিতে ওঁৎ পেতে থাকত ওই চক্রের সদস্যরা। সুযোগ পেলেই পথচারী, রিকশা-সিএনজি যাত্রীদের ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নিত। অনেক সময় জিহ্বার নিচে ব্লেড রেখে তারা সাধারণ মানুষের আশপাশে অবস্থান করত। সুযোগ বুঝে সাধারণ মানুষকে আহত করে মূল্যবান জিনিস নিয়ে সটকে পড়া্ি তাদের কৌশল। আশপাশের মানুষ কিছুই বুঝতে পারে না তাতে।
গতকাল কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এসব কথা জানান। র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, এই চক্রের সদস্যরা সহজ-সরল যাত্রীদের টার্গেট করে কখনো দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে, কখন বিষাক্ত চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করে। বিষাক্ত পানীয় সেবন বা বিষাক্ত স্প্রের মাধ্যমেও পথচারী ও যাত্রীদের শিকার বানাত। ঘ্রাণ নেওয়ার পর যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে অপরাধীরা সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে ভিড়ের মধ্যে মিশে যেত জানিয়ে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, এমন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত জনশূন্য রাস্তা, লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠত। তাদের ছিনতাইয়ে কেউ বাধা দিলে প্রাণঘাতী আঘাত করতেও দ্বিধা বোধ করে না তারা।
র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ রেলগেট, দৈনিক বাংলা মোড়, পীরজঙ্গি মাজার ক্রসিং, কমলাপুর বটতলা, মতিঝিল কালভার্ট রোড, হাতিরঝিল, শাহবাগ, রাজউক ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, পল্টন মোড়, গোলাপ শাহ মাজার ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, আব্দুল গণি রোড, মানিকনগর স্টেডিয়ামের সামনে, নন্দীপাড়া ব্রিজ, বাসাবো ক্রসিং এলাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোররাত পর্যন্ত ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বেশি দেখা যায়। এসব অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে র‌্যাবের সাঁড়াশি অভিযান চলতে থাকবে বলে জানায় সূত্র।
গত শুক্রবার রাতে সংঘবদ্ধ অজ্ঞান ও ছিনতাই চক্রের যে ৩৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন মিজানুর রহমান, সোহেল, মাসুদ রানা, সাব্বির, মো. আবু বকর সিদ্দিক, শাকিল, নাঈম মোল্লা, মো. সালমান, মো. জালাল হোসেন, মো. শাওন, শহিদুল ইসলাম, রফিক, আজিজুর, মো. সৈকত মন্ডল, মো. আরিফ গাজী, মো. জনি, মো. রুবেল, মো. আফজল, দ্বীন ইসলাম, মো. তুহিন, মো. রবিউল আউয়াল হৃদয়, মো. আরমান, মো. সানোয়ার হোসেন, মো. রুবেল, মো. সোহেল, মো. শান্ত, মো. আজাদ, মো. আকাশ, মো. নাইম খান, মো. আপন মিয়া, মো. নাজমুল হোসেন, মো. মাসুম মিয়া, মো. শান্ত, মো. সোহেল মাতব্বর, মো. হৃদয়, মো. সোহরাব এবং মো. ইয়াছিন ব্যাপারী। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় ১২টি মোবাইল ফোন, তিনটি সুইচ গিয়ার চাকু, তিনটি এন্টি কাটার, ১২টি ব্লেড, ছয়টি চাকু, তিনটি ক্ষুর, বিষাক্ত মলমের কৌটা ও স্প্রে।