ঢাকা ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

জিরাপানি কেন খাবেন, বানাবেন কী করে?

  • আপডেট সময় : ০১:১২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১
  • ১২৭ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : জিরাপানির অনেক গুণ। তবে এ তালিকায় সবার আগে আসবে হজমের কথা- কোরবানির ঈদের পর যা অনেকেরই মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়ায়। জিরাপানি খেলে আরও কী উপকার পাবেন, নজর বুলিয়ে নিন ঝটপট-
হজমে চমৎকার : কোরবানির ঈদে একটু বেশি মাংস খাওয়া হয় বলে হজমে গোলমাল দেখা দেয় অনেকের। দেখা দেয় গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যাও। জিরাপানিতে আছে শক্তিশালী অ্যান্টি-গ্যাস উপাদান। এটি পান করলে বাজে ঢেঁকুর থেকে শুরু করে পেট ফাঁপাও কমে আসবে। আবার একটু ভারী কিছু খেলেই যাদের পেটটা চেঁচিয়ে ওঠে তাদের জন্যও বেশ কাজে আসবে জিরাপানি।
জ্বালাপোড়া কমায় : জিরাপানিতে পাওয়া যাবে থাইমোকুইনান। যা আমাদের লিভারের জন্য উপকারী। রাসায়নিকটি এতটাই কাজের যে এটা দিয়ে হজমসংক্রান্ত ওষুধও বানানো হয়। প্রাকৃতিক উৎস তথা জিরাপানির মাধ্যমে সরাসরি এটা গ্রহণ করলে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হয় না।
অ্যান্টি-ক্যান্সার : অনেকেই বলেন রেড-মিট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তো এখন যেহেতু রেড-মিট একটু আধটু খাওয়াই হচ্ছে, তাই ঝুঁকি কমাতে নিয়ম করে জিরাপানিও খান। জিরাপানি শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী মুক্ত র‌্যাডিকেল ধ্বংস করে। এটি আবার যকৃতের স্বাভাবিক দূষণরোধের ক্ষমতাও বাড়ায়। হজম সংক্রান্ত এনজাইমের নিঃসরণ বাড়ায় জিরাপানি। এতে খাবারের পুষ্টিগুণ শরীরের পুরোপুরি কাজে আসে।

ওজন কমায় : কোরবানির ঈদ এলেই ওজন বেড়ে যায়? সমাধান আছে জিরাপানিতে। এক গবেষণায় দেখা গেছে ৭৮ জন মুটিয়ে যাওয়া মানুষকে রোজ ৩ বেলা করে মোট ২ মাস জিরাপানি পান করতে দেওয়া হয়েছিল। তাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে যাওয়াটা ছিল লক্ষ্যণীয়।
ইনসুলিনের ক্ষমতায় বাড়ায় : যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের অনেকেই ঈদের সময় এটা ওটা খেয়ে বাড়িয়ে ফেলেন সুগার। এতে ইনসুলিন তৈরিতে চাপ পড়ে অগ্ন্যাশয়ে। জিরাপানি এক্ষেত্রে ইনসুলিনের কর্মদক্ষতা বাড়িয়ে সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
পানিশূন্যতা দূর করবে : ভ্যাপসা গরমে শরীরে পানির চাহিদা একটু বাড়তি থাকে। আবার শরীর ঘামায়ও বেশি। এ অবস্থায় জিরাপানির সঙ্গে সামান্য মধু ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে খেলে শরীর চাঙ্গা থাকবে। ভারসাম্য বজায় থাকবে ইলেকট্রোলাইটেও। ব্যায়াম করার আগেই পান করুন জিরাপানি। এতে গরমে মাথাঘোরা ভাবও কমবে।
রক্তচাপ কমায় : ভারী ভারী খাবার ও বেশি আমিষ গ্রহণে বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপ। এ অবস্থায় জিরাপানিতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম করবে বেশ উপকার। হৃৎস্পন্দন রাখবে স্বাভাবিক।
খেয়াল রাখুন: জিরাপানি সুগারের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে দ্রুত। তাই গর্ভাবস্থায় বা ডায়াবেটিক রোগীরা এটি একবারে বেশি করে পান করতে যাবেন না।
যেভাবে বানাবেন জিরাপানি : জিরা আর পানিতেই হয়ে যায় জি রাপানি। তবে মুখরোচক পানীয় আকারে তৈরিতে এতে যোগ করা হয় বাড়তি কিছু উ্পাদান। এর মধ্যে অন্যতম হলো তেঁতুল।
৪ গ্লাস জিরাপানি তৈরিতে দরকার হবে দেড় টেবিল চমচ তেঁতুল ও পরিমাণমতো আখের গুড় কিংবা চিনি। তবে ডায়াবেটিক হলে চিনি এড়িয়ে চলাই ভালো। পরিমাণমতো লবণও যোগ করতে পারেন।
৪ কাপ পানিতে টেলে নেওয়া জিরার গুঁড়ো দিতে হবে ১ চা চামচ। বিট লবণ দিন আধা চা চামচ। এক চিমটি সাদা গোলমরিচের গুঁড়া মেশান।
আখের গুড় পানিতে মিশিয়ে সেটা ছেঁকে নিলে ভালো। এরপর সব ভালোভাবে মিশিয়ে পান করুন। চাইলে বরফকুচিও মেশাতে পারেন। তবে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পান করলেই উপকার বেশি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জিরাপানি কেন খাবেন, বানাবেন কী করে?

আপডেট সময় : ০১:১২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১

লাইফস্টাইল ডেস্ক : জিরাপানির অনেক গুণ। তবে এ তালিকায় সবার আগে আসবে হজমের কথা- কোরবানির ঈদের পর যা অনেকেরই মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়ায়। জিরাপানি খেলে আরও কী উপকার পাবেন, নজর বুলিয়ে নিন ঝটপট-
হজমে চমৎকার : কোরবানির ঈদে একটু বেশি মাংস খাওয়া হয় বলে হজমে গোলমাল দেখা দেয় অনেকের। দেখা দেয় গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যাও। জিরাপানিতে আছে শক্তিশালী অ্যান্টি-গ্যাস উপাদান। এটি পান করলে বাজে ঢেঁকুর থেকে শুরু করে পেট ফাঁপাও কমে আসবে। আবার একটু ভারী কিছু খেলেই যাদের পেটটা চেঁচিয়ে ওঠে তাদের জন্যও বেশ কাজে আসবে জিরাপানি।
জ্বালাপোড়া কমায় : জিরাপানিতে পাওয়া যাবে থাইমোকুইনান। যা আমাদের লিভারের জন্য উপকারী। রাসায়নিকটি এতটাই কাজের যে এটা দিয়ে হজমসংক্রান্ত ওষুধও বানানো হয়। প্রাকৃতিক উৎস তথা জিরাপানির মাধ্যমে সরাসরি এটা গ্রহণ করলে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হয় না।
অ্যান্টি-ক্যান্সার : অনেকেই বলেন রেড-মিট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তো এখন যেহেতু রেড-মিট একটু আধটু খাওয়াই হচ্ছে, তাই ঝুঁকি কমাতে নিয়ম করে জিরাপানিও খান। জিরাপানি শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী মুক্ত র‌্যাডিকেল ধ্বংস করে। এটি আবার যকৃতের স্বাভাবিক দূষণরোধের ক্ষমতাও বাড়ায়। হজম সংক্রান্ত এনজাইমের নিঃসরণ বাড়ায় জিরাপানি। এতে খাবারের পুষ্টিগুণ শরীরের পুরোপুরি কাজে আসে।

ওজন কমায় : কোরবানির ঈদ এলেই ওজন বেড়ে যায়? সমাধান আছে জিরাপানিতে। এক গবেষণায় দেখা গেছে ৭৮ জন মুটিয়ে যাওয়া মানুষকে রোজ ৩ বেলা করে মোট ২ মাস জিরাপানি পান করতে দেওয়া হয়েছিল। তাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে যাওয়াটা ছিল লক্ষ্যণীয়।
ইনসুলিনের ক্ষমতায় বাড়ায় : যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের অনেকেই ঈদের সময় এটা ওটা খেয়ে বাড়িয়ে ফেলেন সুগার। এতে ইনসুলিন তৈরিতে চাপ পড়ে অগ্ন্যাশয়ে। জিরাপানি এক্ষেত্রে ইনসুলিনের কর্মদক্ষতা বাড়িয়ে সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
পানিশূন্যতা দূর করবে : ভ্যাপসা গরমে শরীরে পানির চাহিদা একটু বাড়তি থাকে। আবার শরীর ঘামায়ও বেশি। এ অবস্থায় জিরাপানির সঙ্গে সামান্য মধু ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে খেলে শরীর চাঙ্গা থাকবে। ভারসাম্য বজায় থাকবে ইলেকট্রোলাইটেও। ব্যায়াম করার আগেই পান করুন জিরাপানি। এতে গরমে মাথাঘোরা ভাবও কমবে।
রক্তচাপ কমায় : ভারী ভারী খাবার ও বেশি আমিষ গ্রহণে বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপ। এ অবস্থায় জিরাপানিতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম করবে বেশ উপকার। হৃৎস্পন্দন রাখবে স্বাভাবিক।
খেয়াল রাখুন: জিরাপানি সুগারের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে দ্রুত। তাই গর্ভাবস্থায় বা ডায়াবেটিক রোগীরা এটি একবারে বেশি করে পান করতে যাবেন না।
যেভাবে বানাবেন জিরাপানি : জিরা আর পানিতেই হয়ে যায় জি রাপানি। তবে মুখরোচক পানীয় আকারে তৈরিতে এতে যোগ করা হয় বাড়তি কিছু উ্পাদান। এর মধ্যে অন্যতম হলো তেঁতুল।
৪ গ্লাস জিরাপানি তৈরিতে দরকার হবে দেড় টেবিল চমচ তেঁতুল ও পরিমাণমতো আখের গুড় কিংবা চিনি। তবে ডায়াবেটিক হলে চিনি এড়িয়ে চলাই ভালো। পরিমাণমতো লবণও যোগ করতে পারেন।
৪ কাপ পানিতে টেলে নেওয়া জিরার গুঁড়ো দিতে হবে ১ চা চামচ। বিট লবণ দিন আধা চা চামচ। এক চিমটি সাদা গোলমরিচের গুঁড়া মেশান।
আখের গুড় পানিতে মিশিয়ে সেটা ছেঁকে নিলে ভালো। এরপর সব ভালোভাবে মিশিয়ে পান করুন। চাইলে বরফকুচিও মেশাতে পারেন। তবে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পান করলেই উপকার বেশি।