ঢাকা ০২:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

জিমে ব্যায়াম করার সময় যে ভুলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে

  • আপডেট সময় : ১০:৪৯:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : জিমে গিয়ে ব্যায়াম করার সময় অনেকেরই হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি এমন ঘটনা বেশ কয়েকটিই ঘটেছে, তার মধ্যে ভারতের কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তবের হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা অন্যতম। ট্রেডমিলে হাঁটার সময় হার্ট অ্যাটাক হয় তার। এমনকি সম্প্রতি ভারতের এক নারীও জিমে গিয়ে ব্যায়াম করতেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে জানা যায় তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। জিমে ব্যায়াম করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঘটনা এখন প্রায়শই কোথাও না কোথাও ঘটছে। তবে জিম বা ব্য়ায়াম করার সময় কেন হার্ট অ্যাটাক হয়?
এ বিষয়ে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কারও ব্লাড প্রেশার, কোলেস্টেরলের মাত্রা ইত্যাদি ঠিক থাকলেই যে হৃদযন্ত্র সুস্থ আছে তা নাও হতে পারে। জিনগত কারণেও হার্টের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকে। এর সঙ্গে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে অনেক সুস্থ ব্যক্তিরাও কিন্তু হার্ট অ্যাটাক করেন।
কাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি? এক্সারসাইজ ফিজিওলজিস্ট মাইকেল জয়নারের মতে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই বেশি বয়সের লোকেদের নিয়মিত চেকআপে রাখতে হবে। চিকিৎসকরা বলছেন, কমবয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কম। আর বয়স বেশি হলে এক্সারসাইজ করার সময় হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বেশি ঘটে। আবার অল্পবয়সীদের মধ্যে যাদের হৃদযন্ত্রে সমস্যা আছে তাদেরও হতে পারে হার্ট অ্যাটাক।
হার্ট অ্যাটাক এড়াবেন কীভাবে? আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসের হার্ট ইনস্টিটিউটের সহযোগী পরিচালক সুমিত চৌগের মতে, অনেকেই মাসল তৈরির জন্য জিমে গিয়ে ভারোত্তোলন করেন। প্রথমদিকেই অতিরিক্ত ওজন তোলা হার্টের উপর চাপ বাড়ায়। তাই প্রথমে কয়েক মাস সাধারণ এক্সারসাইজ করুন। তারপর ধীরে ধীরে ওয়েট লিফটিং করার অভ্যাস গড়ুন। মুম্বাইয়ের য়াকহার্ট হাসপাতালের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. কৌশল ছত্রপতি পরামর্শ দেন, প্রথমত আপনি যদি ভারী ব্যায়াম করতে অভ্যস্ত না হন তাহলে কঠোর ব্যায়াম করবেন না। ধীরে ধীরে ব্যায়ামের সময় ও গতি বাড়ান। দিনে ৩-৫ কিলোমিটার দ্রুত হাঁটার মাধ্যমে শুরু করুন। ধীরে ধীরে আপনার স্ট্যামিনা গড়ে তুলুন। দ্বিতীয়ত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অবহেলা করবেন না। সবারই উচিত ব্লাস প্রেশার, এলডিএল, কোলেস্টেরল, এইচবিএ১সি এর মাত্রা কত তা জানা। আর কেউই বুকের ব্যথাকে অবহেলা করবেন না। এক্ষেত্রে ইসিজি করুন ও কার্ডিওলজির পরামর্শ নিন। প্রাথমিক চিকিৎসায় হার্ট অ্যাটাকেও জীবন বাঁচে।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ কী? বিশেষজ্ঞদের মতে, এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি মানুষ হার্ট অ্যাটাকের অন্তত এক সপ্তাহ আগে থেকে থেকে বিভিন্ন উপসর্গ টের পান, তবে তা সাধারণ ভেবে বেশিরভাগই অবহেলা করেন। যেমন- শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, অতিরিক্ত ক্লান্তি ইত্যাদি। এমন লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস/হেলথলাইন

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জিমে ব্যায়াম করার সময় যে ভুলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে

আপডেট সময় : ১০:৪৯:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২

লাইফস্টাইল ডেস্ক : জিমে গিয়ে ব্যায়াম করার সময় অনেকেরই হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি এমন ঘটনা বেশ কয়েকটিই ঘটেছে, তার মধ্যে ভারতের কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তবের হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা অন্যতম। ট্রেডমিলে হাঁটার সময় হার্ট অ্যাটাক হয় তার। এমনকি সম্প্রতি ভারতের এক নারীও জিমে গিয়ে ব্যায়াম করতেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে জানা যায় তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। জিমে ব্যায়াম করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঘটনা এখন প্রায়শই কোথাও না কোথাও ঘটছে। তবে জিম বা ব্য়ায়াম করার সময় কেন হার্ট অ্যাটাক হয়?
এ বিষয়ে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কারও ব্লাড প্রেশার, কোলেস্টেরলের মাত্রা ইত্যাদি ঠিক থাকলেই যে হৃদযন্ত্র সুস্থ আছে তা নাও হতে পারে। জিনগত কারণেও হার্টের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকে। এর সঙ্গে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে অনেক সুস্থ ব্যক্তিরাও কিন্তু হার্ট অ্যাটাক করেন।
কাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি? এক্সারসাইজ ফিজিওলজিস্ট মাইকেল জয়নারের মতে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই বেশি বয়সের লোকেদের নিয়মিত চেকআপে রাখতে হবে। চিকিৎসকরা বলছেন, কমবয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কম। আর বয়স বেশি হলে এক্সারসাইজ করার সময় হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বেশি ঘটে। আবার অল্পবয়সীদের মধ্যে যাদের হৃদযন্ত্রে সমস্যা আছে তাদেরও হতে পারে হার্ট অ্যাটাক।
হার্ট অ্যাটাক এড়াবেন কীভাবে? আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসের হার্ট ইনস্টিটিউটের সহযোগী পরিচালক সুমিত চৌগের মতে, অনেকেই মাসল তৈরির জন্য জিমে গিয়ে ভারোত্তোলন করেন। প্রথমদিকেই অতিরিক্ত ওজন তোলা হার্টের উপর চাপ বাড়ায়। তাই প্রথমে কয়েক মাস সাধারণ এক্সারসাইজ করুন। তারপর ধীরে ধীরে ওয়েট লিফটিং করার অভ্যাস গড়ুন। মুম্বাইয়ের য়াকহার্ট হাসপাতালের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. কৌশল ছত্রপতি পরামর্শ দেন, প্রথমত আপনি যদি ভারী ব্যায়াম করতে অভ্যস্ত না হন তাহলে কঠোর ব্যায়াম করবেন না। ধীরে ধীরে ব্যায়ামের সময় ও গতি বাড়ান। দিনে ৩-৫ কিলোমিটার দ্রুত হাঁটার মাধ্যমে শুরু করুন। ধীরে ধীরে আপনার স্ট্যামিনা গড়ে তুলুন। দ্বিতীয়ত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অবহেলা করবেন না। সবারই উচিত ব্লাস প্রেশার, এলডিএল, কোলেস্টেরল, এইচবিএ১সি এর মাত্রা কত তা জানা। আর কেউই বুকের ব্যথাকে অবহেলা করবেন না। এক্ষেত্রে ইসিজি করুন ও কার্ডিওলজির পরামর্শ নিন। প্রাথমিক চিকিৎসায় হার্ট অ্যাটাকেও জীবন বাঁচে।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ কী? বিশেষজ্ঞদের মতে, এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি মানুষ হার্ট অ্যাটাকের অন্তত এক সপ্তাহ আগে থেকে থেকে বিভিন্ন উপসর্গ টের পান, তবে তা সাধারণ ভেবে বেশিরভাগই অবহেলা করেন। যেমন- শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, অতিরিক্ত ক্লান্তি ইত্যাদি। এমন লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস/হেলথলাইন