ঢাকা ০৭:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

জিনগত সমস্যার ৬০টি নতুন রোগ শনাক্ত

  • আপডেট সময় : ১২:০৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা গুরুতর বিকাশজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকা হাজারো শিশুর রোগ অবশেষে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁরা গবেষণায় জিনগত সমস্যার ৬০টি নতুন রোগ শনাক্ত করেছেন। শিশুদের জিনগত সমস্যার সমাধানে শিশু ও তাদের মা-বাবার ডিএনএ বিশ্লেষণ করা হয়। তাতে হাজারো ধরনের জিনগত সমস্যা বেরিয়ে আসে। এই গবেষণার মাধ্যমে গবেষকেরা বলছেন, জিনগত সমস্যাগুলো শনাক্তের ফলে আরও ভালো চিকিৎসা ও বাবা-মায়ের পক্ষে আরও সন্তান নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হবে।
গবেষকেরা এক দশকের এ গবেষণায় সাড়ে ১৩ হাজার পরিবারের অজ্ঞাত জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করেন। এর মধ্যে সাড়ে ৫ হাজার জনকে চিকিৎসা দিতে সক্ষম হয়েছেন। গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’ সাময়িকীতে। তাতে বলা হয়েছে, গবেষকদের খুঁজে পাওয়া ডিজঅর্ডারের মধ্যে ৬০টি নতুন। এর মধ্য অধিকাংশই আবার উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত নয়। এগুলো গর্ভধারণের সময় স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৃষ্টি হয়। এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ক্যারোলিন রাইট বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা নতুন জিনগত পরিস্থিতি খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছি। এতে গবেষণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও তা সুফল বয়ে আনবে।’
যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে গত ১০ বছর ধরে পরিচালিত এ গবেষণার নাম ‘ডিসাইফারিং ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার’। এ গবেষণায় সহযোগিতা করেছে ডিএনএ বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান স্যানগার ইনস্টিটিউট, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস)। গবেষকেরা ‘টার্নপেনি-ফ্রাই সিনড্রোম’ নামের একটি রোগ শনাক্ত করেছেন। এটি ডিএনএর মধ্যে জিনগত নির্দেশের ভুলের কারণে হয়ে থাকে। এ রোগে শিশুর কোনো বিষয় শেখার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া শিশুর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রেও সমস্যা সৃষ্টি হয়। শিশুর কপাল বড় হয় ও চুল বিক্ষিপ্তভাবে গজায়। জেসিকা ফিসারের ছেলে মুংগো এ গবেষণার অংশ ছিল। তার ক্ষেত্রে এ ‘টার্নপেনি-ফ্রাই সিনড্রোম’ দেখা যায়। এই মুহূর্তে বিশ্বে মাত্র দুটি শিশুর এ রোগনির্ণয় হয়েছে। তার মধ্যে একটি মুংগো ও আরেকটি শিশু অস্ট্রেলিয়ার। দুই শিশুর মধ্যে এতটাই মিল দেখা যায় যে তাদের একই মা-বাবার সন্তান বলে মনে হয়েছে জেসিকার কাছে। এরপর থেকে জেসিকা অনলাইনে সহায়তাকারী একটি গ্রুপ গড়ে তুলেছেন। এ গ্রুপের বিরল জেনেটিক রোগে আক্রান্ত শিশুর ৩৬টি পরিবার যুক্ত হয়েছে। জেসিকা বলেন, সন্তানের জিনগত অস্বাভাবিকতা আছে, এটা শোনা কষ্টের। তবে এই রোগের কারণে এই পরিবারগুলো এক হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জিনগত সমস্যার ৬০টি নতুন রোগ শনাক্ত

আপডেট সময় : ১২:০৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা গুরুতর বিকাশজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকা হাজারো শিশুর রোগ অবশেষে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁরা গবেষণায় জিনগত সমস্যার ৬০টি নতুন রোগ শনাক্ত করেছেন। শিশুদের জিনগত সমস্যার সমাধানে শিশু ও তাদের মা-বাবার ডিএনএ বিশ্লেষণ করা হয়। তাতে হাজারো ধরনের জিনগত সমস্যা বেরিয়ে আসে। এই গবেষণার মাধ্যমে গবেষকেরা বলছেন, জিনগত সমস্যাগুলো শনাক্তের ফলে আরও ভালো চিকিৎসা ও বাবা-মায়ের পক্ষে আরও সন্তান নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হবে।
গবেষকেরা এক দশকের এ গবেষণায় সাড়ে ১৩ হাজার পরিবারের অজ্ঞাত জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করেন। এর মধ্যে সাড়ে ৫ হাজার জনকে চিকিৎসা দিতে সক্ষম হয়েছেন। গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’ সাময়িকীতে। তাতে বলা হয়েছে, গবেষকদের খুঁজে পাওয়া ডিজঅর্ডারের মধ্যে ৬০টি নতুন। এর মধ্য অধিকাংশই আবার উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত নয়। এগুলো গর্ভধারণের সময় স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৃষ্টি হয়। এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ক্যারোলিন রাইট বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা নতুন জিনগত পরিস্থিতি খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছি। এতে গবেষণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও তা সুফল বয়ে আনবে।’
যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে গত ১০ বছর ধরে পরিচালিত এ গবেষণার নাম ‘ডিসাইফারিং ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার’। এ গবেষণায় সহযোগিতা করেছে ডিএনএ বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান স্যানগার ইনস্টিটিউট, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস)। গবেষকেরা ‘টার্নপেনি-ফ্রাই সিনড্রোম’ নামের একটি রোগ শনাক্ত করেছেন। এটি ডিএনএর মধ্যে জিনগত নির্দেশের ভুলের কারণে হয়ে থাকে। এ রোগে শিশুর কোনো বিষয় শেখার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া শিশুর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রেও সমস্যা সৃষ্টি হয়। শিশুর কপাল বড় হয় ও চুল বিক্ষিপ্তভাবে গজায়। জেসিকা ফিসারের ছেলে মুংগো এ গবেষণার অংশ ছিল। তার ক্ষেত্রে এ ‘টার্নপেনি-ফ্রাই সিনড্রোম’ দেখা যায়। এই মুহূর্তে বিশ্বে মাত্র দুটি শিশুর এ রোগনির্ণয় হয়েছে। তার মধ্যে একটি মুংগো ও আরেকটি শিশু অস্ট্রেলিয়ার। দুই শিশুর মধ্যে এতটাই মিল দেখা যায় যে তাদের একই মা-বাবার সন্তান বলে মনে হয়েছে জেসিকার কাছে। এরপর থেকে জেসিকা অনলাইনে সহায়তাকারী একটি গ্রুপ গড়ে তুলেছেন। এ গ্রুপের বিরল জেনেটিক রোগে আক্রান্ত শিশুর ৩৬টি পরিবার যুক্ত হয়েছে। জেসিকা বলেন, সন্তানের জিনগত অস্বাভাবিকতা আছে, এটা শোনা কষ্টের। তবে এই রোগের কারণে এই পরিবারগুলো এক হয়েছে।