ঢাকা ০২:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

জিডির এক ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ

  • আপডেট সময় : ০৮:২৮:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী

নিজস্ব প্রতিবেদক: থানায় কোনো জিডি হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসেম্বর মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি বলেন, থানায় জিডি করার এক ঘণ্টার মধ্যে ‘রেসপন্স’ করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। জিডি তদন্তে বিলম্ব করা যাবে না।

রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে এই সভা হয়। সেখানে পুলিশ সদস্যদের সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, “চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও খুন বন্ধ করতে আমাদের শতভাগ চেষ্টা থাকতে হবে।

সভার পর পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠানে ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

তিনি বলেন, দায়িত্ববোধ ও আগ্রহ থেকে সবাইকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। সম্মিলিতভাবে কাজ করলে পুলিশের প্রতি মানুষের পূর্ণ আস্থা ফিরে আসবে।

মামলা তদন্তে অগ্রগতি আরও বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে বাহারুল আলম বলেন, চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। চুরির পর এসব ফোন কোথায় বিক্রি করা হয়, সেসব জায়গা চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম খুন-ছিনতাই ও চাঁদাবাজি বন্ধে বাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে বলেছেন।

আইজিপি বাহারুল আলম

তার কথায়, আমাদের সততা দিয়ে কাজ করতে হবে ও ন্যায়ের পথে থাকতে হবে। চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও খুন বন্ধ করতে আমাদের শতভাগ চেষ্টা করতে হবে। সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে চাঁদাবাজি ও মাদকসহ সকল অপরাধ দমন করতে হবে।

অপরাধ দমনে ‘সর্বোচ্চ’ দিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে যদি কোনো প্রতিকূলতা থাকে, সেটি মোকাবেলা করে আমাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সভায় পুলিশের যুগ্মকমিশনার (অপরাধ) ফারুক হোসেন ডিসেম্বরের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

এরপর ডিসেম্বরে ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তায় ‘উত্তম কাজের স্বীকৃতি’ হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার।

ডিসেম্বরে ক্রাইম বিভাগের মধ্যে উত্তরা বিভাগ, গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে লালবাগ বিভাগ, ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগ ও উত্তরা পশ্চিম থানা পুরস্কার পায়।

উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার সাদ্দাম হোসাইন, উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমানবন্দর থানার এসআই জহিরুল ইসলাম ও বনানী থানার এসআই কাজী জাহিদুর রহমান আবির নিজ নিজ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জিডির এক ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ

আপডেট সময় : ০৮:২৮:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: থানায় কোনো জিডি হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসেম্বর মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি বলেন, থানায় জিডি করার এক ঘণ্টার মধ্যে ‘রেসপন্স’ করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। জিডি তদন্তে বিলম্ব করা যাবে না।

রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে এই সভা হয়। সেখানে পুলিশ সদস্যদের সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, “চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও খুন বন্ধ করতে আমাদের শতভাগ চেষ্টা থাকতে হবে।

সভার পর পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠানে ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

তিনি বলেন, দায়িত্ববোধ ও আগ্রহ থেকে সবাইকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। সম্মিলিতভাবে কাজ করলে পুলিশের প্রতি মানুষের পূর্ণ আস্থা ফিরে আসবে।

মামলা তদন্তে অগ্রগতি আরও বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে বাহারুল আলম বলেন, চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। চুরির পর এসব ফোন কোথায় বিক্রি করা হয়, সেসব জায়গা চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম খুন-ছিনতাই ও চাঁদাবাজি বন্ধে বাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে বলেছেন।

আইজিপি বাহারুল আলম

তার কথায়, আমাদের সততা দিয়ে কাজ করতে হবে ও ন্যায়ের পথে থাকতে হবে। চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও খুন বন্ধ করতে আমাদের শতভাগ চেষ্টা করতে হবে। সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে চাঁদাবাজি ও মাদকসহ সকল অপরাধ দমন করতে হবে।

অপরাধ দমনে ‘সর্বোচ্চ’ দিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে যদি কোনো প্রতিকূলতা থাকে, সেটি মোকাবেলা করে আমাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সভায় পুলিশের যুগ্মকমিশনার (অপরাধ) ফারুক হোসেন ডিসেম্বরের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

এরপর ডিসেম্বরে ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তায় ‘উত্তম কাজের স্বীকৃতি’ হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার।

ডিসেম্বরে ক্রাইম বিভাগের মধ্যে উত্তরা বিভাগ, গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে লালবাগ বিভাগ, ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগ ও উত্তরা পশ্চিম থানা পুরস্কার পায়।

উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার সাদ্দাম হোসাইন, উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমানবন্দর থানার এসআই জহিরুল ইসলাম ও বনানী থানার এসআই কাজী জাহিদুর রহমান আবির নিজ নিজ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান।