ঢাকা ১০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

জায়া, জননী, ভগ্নির জীবন সমাচার

  • আপডেট সময় : ০৯:৫৮:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

ফারজানা কাশেমী : জন্মই যেন আজন্ম পাপ। কন্যা শিশুর আগমনে কিছুটা অনাহুত পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় আমাদের প্রথাগত ব্যবস্থা। কিছুটা অনীহা, অপারগতা পরিলক্ষিত হয় কন্যা শিশুকে গ্রহণে। কন্যা শিশুর জন্মক্ষণে সাদর সম্ভাষণ, আবেগে উৎফুল্ল ও খুশির ফোয়ারা বয়ে আসা ঝর্না কিছুটা ব্যতিক্রম চিত্র বটে। তবুও প্রকৃতির খেয়ালে জন্ম নেওয়া কন্যা শিশু আলোকিত করে এই ঘুণে ধরা প্রচলিত ধ্যান ধারণাকে। বিমোহিত করে তার পরিম-ল এক আলোকিত মুগ্ধতায় ও উদ্ভাসে। সকল বাধা, ঝঞ্ঝা, দুর্ভেদ ছেদ করে এই কন্যা শিশু জীবন ধারণ করে ও সম্মুখপানে অগ্রসর হয়। প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে এগিয়ে চলতে শিখে সমাজের যেকোন স্তরে বেড়ে উঠা কন্যা শিশু। এ যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। জীবন তরীর বহমান ধারা বহন করে, শত চড়াই উৎরাই পাড়ি দিয়ে এগিয়ে চলা এই কন্যা শিশু প্রস্ফুটিত হয় জায়া, জননী, ভগ্নিরূপে। এ যেন সুক্ষ্ম তলোয়ার-এর উপর অগ্নিরথের এক উজ্জ্বলিত যাত্রী। পা পিছলে হারিয়ে না যাওয়া এক অভিযাত্রী। অথবা আকাশের বিশালত্ব-এর মাঝে এক সামান্য তারকারাজি। ত্যাগ, তিতিক্ষা, অজস্র কণ্টক ধুলোময় পথ পেরিয়ে জীবন ধারণ করা জায়া, জননী, ভগ্নিকে প্রতি মূহুর্তে নিজেকে জবাবদিহিতার সম্মুখীন করতে হয়। জায়া, জননী ও ভগ্নির চারিত্রিক সনদ প্রদর্শনে যেন সে সদা বাধ্য।
এই সমাজের যেকোন স্তরের জায়া, জননী, ভগ্নির ব্যক্তিগত চরিত্র সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হবার সাপেক্ষে এক বস্তুবাচক বিষয়। ত্রুটি, বিচ্যুতি, ঘৃণা, ক্ষোভের এক পরিমার্জিত রূপে আবর্তিত হয় জায়া, জননী ও ভগ্নি। চুলচেরা বিশ্লেষণে তার সামগ্রিক কেন্দ্রবিন্দু চরিত্র। তাই চরিত্রায়ন, চরিত্রদোষ, চরিত্রবান সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। জায়া, জননী ও ভগ্নির লঘু বা গুরু যে কোন দোষ বিচারের মানদ-ে চরিত্র অতীব প্রাসঙ্গিক। কিছুটা নৈতিক চরিত্র স্থলন যেন মূখ্য বিষয়। অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারণা যেন কার্যকর ধাপের অগ্রগতি। জায়া, জননী ও ভগ্নির ব্যক্তিগত মূহুর্ত অনভিপ্রেত ও বিশ্বাসহীনভাবে প্রকাশেও দোষী ব্যক্তি সে স্বয়ং। আতœপক্ষ সর্মথনে বা দোষ স্বীকারে নিযুক্ত হতে হয় জায়া, জননী বা ভগ্নিকে। নির্বিকার সমাজের জরুরি প্রয়োজন কালিমা মোচনরুপ সৎ চারিত্রিক সনদ প্রদর্শন। আবার যখন কোন জায়া, জননী বা ভগ্নি কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার হয়, তার সাময়িক মুক্তিতে প্রশস্তিকর বাক্যের অবতারণা হয় না। সেখানেও তার চরিত্র হননের এক চেষ্টা। জঘন্যতম ভাব প্রকাশেও বিচ্যুত হয় না চরিত্রনাশ-এর চেষ্টাকরণ। এই ভগ্ন, অসাড়, ঘুনেধরা বিধি ব্যবস্থায় মৌলিক বিষয় নারীর চরিত্র আচ্ছাদন। অনেকটা হাস্যরস, বিনোদনের আলোচিত দিক জায়া, জননী বা ভগ্নি র চরিত্র। দিনান্তে এই অচলাবস্থা লজ্জিত করে নিজেকে, নিজের অস্তিত্বকে এবং এই পৃথিবীতে আর্বিভাবকে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইইউ ও মেক্সিকোর ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

জায়া, জননী, ভগ্নির জীবন সমাচার

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২

ফারজানা কাশেমী : জন্মই যেন আজন্ম পাপ। কন্যা শিশুর আগমনে কিছুটা অনাহুত পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় আমাদের প্রথাগত ব্যবস্থা। কিছুটা অনীহা, অপারগতা পরিলক্ষিত হয় কন্যা শিশুকে গ্রহণে। কন্যা শিশুর জন্মক্ষণে সাদর সম্ভাষণ, আবেগে উৎফুল্ল ও খুশির ফোয়ারা বয়ে আসা ঝর্না কিছুটা ব্যতিক্রম চিত্র বটে। তবুও প্রকৃতির খেয়ালে জন্ম নেওয়া কন্যা শিশু আলোকিত করে এই ঘুণে ধরা প্রচলিত ধ্যান ধারণাকে। বিমোহিত করে তার পরিম-ল এক আলোকিত মুগ্ধতায় ও উদ্ভাসে। সকল বাধা, ঝঞ্ঝা, দুর্ভেদ ছেদ করে এই কন্যা শিশু জীবন ধারণ করে ও সম্মুখপানে অগ্রসর হয়। প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে এগিয়ে চলতে শিখে সমাজের যেকোন স্তরে বেড়ে উঠা কন্যা শিশু। এ যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। জীবন তরীর বহমান ধারা বহন করে, শত চড়াই উৎরাই পাড়ি দিয়ে এগিয়ে চলা এই কন্যা শিশু প্রস্ফুটিত হয় জায়া, জননী, ভগ্নিরূপে। এ যেন সুক্ষ্ম তলোয়ার-এর উপর অগ্নিরথের এক উজ্জ্বলিত যাত্রী। পা পিছলে হারিয়ে না যাওয়া এক অভিযাত্রী। অথবা আকাশের বিশালত্ব-এর মাঝে এক সামান্য তারকারাজি। ত্যাগ, তিতিক্ষা, অজস্র কণ্টক ধুলোময় পথ পেরিয়ে জীবন ধারণ করা জায়া, জননী, ভগ্নিকে প্রতি মূহুর্তে নিজেকে জবাবদিহিতার সম্মুখীন করতে হয়। জায়া, জননী ও ভগ্নির চারিত্রিক সনদ প্রদর্শনে যেন সে সদা বাধ্য।
এই সমাজের যেকোন স্তরের জায়া, জননী, ভগ্নির ব্যক্তিগত চরিত্র সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হবার সাপেক্ষে এক বস্তুবাচক বিষয়। ত্রুটি, বিচ্যুতি, ঘৃণা, ক্ষোভের এক পরিমার্জিত রূপে আবর্তিত হয় জায়া, জননী ও ভগ্নি। চুলচেরা বিশ্লেষণে তার সামগ্রিক কেন্দ্রবিন্দু চরিত্র। তাই চরিত্রায়ন, চরিত্রদোষ, চরিত্রবান সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। জায়া, জননী ও ভগ্নির লঘু বা গুরু যে কোন দোষ বিচারের মানদ-ে চরিত্র অতীব প্রাসঙ্গিক। কিছুটা নৈতিক চরিত্র স্থলন যেন মূখ্য বিষয়। অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারণা যেন কার্যকর ধাপের অগ্রগতি। জায়া, জননী ও ভগ্নির ব্যক্তিগত মূহুর্ত অনভিপ্রেত ও বিশ্বাসহীনভাবে প্রকাশেও দোষী ব্যক্তি সে স্বয়ং। আতœপক্ষ সর্মথনে বা দোষ স্বীকারে নিযুক্ত হতে হয় জায়া, জননী বা ভগ্নিকে। নির্বিকার সমাজের জরুরি প্রয়োজন কালিমা মোচনরুপ সৎ চারিত্রিক সনদ প্রদর্শন। আবার যখন কোন জায়া, জননী বা ভগ্নি কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার হয়, তার সাময়িক মুক্তিতে প্রশস্তিকর বাক্যের অবতারণা হয় না। সেখানেও তার চরিত্র হননের এক চেষ্টা। জঘন্যতম ভাব প্রকাশেও বিচ্যুত হয় না চরিত্রনাশ-এর চেষ্টাকরণ। এই ভগ্ন, অসাড়, ঘুনেধরা বিধি ব্যবস্থায় মৌলিক বিষয় নারীর চরিত্র আচ্ছাদন। অনেকটা হাস্যরস, বিনোদনের আলোচিত দিক জায়া, জননী বা ভগ্নি র চরিত্র। দিনান্তে এই অচলাবস্থা লজ্জিত করে নিজেকে, নিজের অস্তিত্বকে এবং এই পৃথিবীতে আর্বিভাবকে।