ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

  • আপডেট সময় : ১০:৫২:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নৃশংস হামলার ঘটনায় প্রশাসনের নীরব ভূমিকার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে চার দফা দাবি জানিয়েছে ‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষমসমাজ’। গত শনিবার (৩ আগস্ট) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে ‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষমসমাজ’র ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন শিক্ষকরা। এ সময় তারা চার দফা দাবি পেশ করেন।
দাবিগুলো হলো- ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে এবং হলকে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী মুক্ত করতে হবে। উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদ্বয়, ট্রেজারার ও প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে। ১৫ জুলাই রাতে বহিরাগত সন্ত্রাসী ও ছাত্রলীগ যারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নৃশংসভাবে আঘাত করেছে তাদের বিচার করতে হবে। অনতিবিলম্বে আরিফ সোহেল ও সাব্বির রহমান লিয়নসহ অন্যায্য ভাবে গ্রেফতার সবাইকে মুক্তি দিয়ে সব শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনিছা পারভীন জলি বলেন, আমরা এর আগেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছি। এবারও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির পক্ষে দাঁড়িয়েছি। গত ১৫ জুলাই রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নৃশংস হামলার ঘটনায় প্রশাসনের নীরব ভূমিকার প্রতিবাদে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রাইহান রাইন বলেন, আমরা এ সরকারকে আর বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করি না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই ছাত্রদের ওপর তার পেটুয়া বাহিনী, পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছেন, আবার নিজেই বলছেন ছাত্রদেরকে ধরবেন না। মামলার এজাহারে বলা হচ্ছে পুলিশ গুলি করেনি, অন্য কেউ গুলি করেছে, অথচ আমরা স্পষ্ট দেখেছি, কারা গুলি করেছে। আমরা আর এসব বিশ্বাস করি না। হল বন্ধ করে দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু সেখানেও তাদেরকে তাড়া করা হচ্ছে, হয়রানি করা হচ্ছে। তাই আমরা অবিলম্বে হল খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

আপডেট সময় : ১০:৫২:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নৃশংস হামলার ঘটনায় প্রশাসনের নীরব ভূমিকার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে চার দফা দাবি জানিয়েছে ‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষমসমাজ’। গত শনিবার (৩ আগস্ট) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে ‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষমসমাজ’র ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন শিক্ষকরা। এ সময় তারা চার দফা দাবি পেশ করেন।
দাবিগুলো হলো- ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে এবং হলকে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী মুক্ত করতে হবে। উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদ্বয়, ট্রেজারার ও প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে। ১৫ জুলাই রাতে বহিরাগত সন্ত্রাসী ও ছাত্রলীগ যারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নৃশংসভাবে আঘাত করেছে তাদের বিচার করতে হবে। অনতিবিলম্বে আরিফ সোহেল ও সাব্বির রহমান লিয়নসহ অন্যায্য ভাবে গ্রেফতার সবাইকে মুক্তি দিয়ে সব শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনিছা পারভীন জলি বলেন, আমরা এর আগেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছি। এবারও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির পক্ষে দাঁড়িয়েছি। গত ১৫ জুলাই রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নৃশংস হামলার ঘটনায় প্রশাসনের নীরব ভূমিকার প্রতিবাদে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রাইহান রাইন বলেন, আমরা এ সরকারকে আর বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করি না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই ছাত্রদের ওপর তার পেটুয়া বাহিনী, পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছেন, আবার নিজেই বলছেন ছাত্রদেরকে ধরবেন না। মামলার এজাহারে বলা হচ্ছে পুলিশ গুলি করেনি, অন্য কেউ গুলি করেছে, অথচ আমরা স্পষ্ট দেখেছি, কারা গুলি করেছে। আমরা আর এসব বিশ্বাস করি না। হল বন্ধ করে দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু সেখানেও তাদেরকে তাড়া করা হচ্ছে, হয়রানি করা হচ্ছে। তাই আমরা অবিলম্বে হল খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।