ঢাকা ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

জালিয়াতি করে বেশি দামে ওয়াকিটকি ক্রয়, তদন্তে ডিএনসিসি

  • আপডেট সময় : ০৯:৩১:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) জালিয়াতি করে অযোগ্য ঠিকাদার থেকে বেশি দামে ওয়াকিটকি ক্রয় করেছে এমন অভিযোগে সার্বিক বিষয় তদন্ত করবে সংস্থাটি। সে লক্ষ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলে জন্য ইতোমধ্যে ৩ কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি কমিটিও গঠন করে দিয়েছে সংস্থাটি।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্র এ তথ্য দিয়েছে বলে একটি সংবাদসংস্থা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। এর আগে ডিএনসিসির সচিব মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান একটি অফিস আদেশ জারি করে এই কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। অফিস আদেশে সচিব মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান উল্লেখ করেন, ওয়াকিটকি ক্রয়ের বিষয়ে বাজার দর যাচাই করে দাম বাড়িয়ে অযোগ্য ঠিকাদারের কাছে থেকে ওয়াকিটকি কোনার অভিযোগ ও টেন্ডার প্রক্রিয়ার সার্বিক বিষয় তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে প্রতিবেদন আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ডিএনসিসির নিরীক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে ডিএনসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মাহবুবা আকতারকে।

এছাড়া কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে ডিএনসিসির প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা বরকত হায়াতকে। এর আগে গত ১৭ আগস্ট ওয়াকিটকি ক্রয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) অভিযান চালিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ওয়াকিটকি ক্রয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। সেই অভিযোগ পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও একটি দেশীয় কোম্পানিকে কাজ দেওয়া হয়েছে, যেখানে ওই কোম্পানি একটি অন্যদেশের প্রতিষ্ঠানের সনদ ব্যবহার করেছে।

এনফোর্সমেন্ট টিম এ প্রসঙ্গে প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে এবং গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএনসিসির ক্রয়কৃত ওয়াকিটকির দাম অন্যান্য সরকারি সংস্থার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জালিয়াতি করে বেশি দামে ওয়াকিটকি ক্রয়, তদন্তে ডিএনসিসি

আপডেট সময় : ০৯:৩১:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) জালিয়াতি করে অযোগ্য ঠিকাদার থেকে বেশি দামে ওয়াকিটকি ক্রয় করেছে এমন অভিযোগে সার্বিক বিষয় তদন্ত করবে সংস্থাটি। সে লক্ষ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলে জন্য ইতোমধ্যে ৩ কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি কমিটিও গঠন করে দিয়েছে সংস্থাটি।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্র এ তথ্য দিয়েছে বলে একটি সংবাদসংস্থা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। এর আগে ডিএনসিসির সচিব মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান একটি অফিস আদেশ জারি করে এই কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। অফিস আদেশে সচিব মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান উল্লেখ করেন, ওয়াকিটকি ক্রয়ের বিষয়ে বাজার দর যাচাই করে দাম বাড়িয়ে অযোগ্য ঠিকাদারের কাছে থেকে ওয়াকিটকি কোনার অভিযোগ ও টেন্ডার প্রক্রিয়ার সার্বিক বিষয় তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে প্রতিবেদন আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ডিএনসিসির নিরীক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে ডিএনসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মাহবুবা আকতারকে।

এছাড়া কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে ডিএনসিসির প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা বরকত হায়াতকে। এর আগে গত ১৭ আগস্ট ওয়াকিটকি ক্রয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) অভিযান চালিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ওয়াকিটকি ক্রয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। সেই অভিযোগ পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও একটি দেশীয় কোম্পানিকে কাজ দেওয়া হয়েছে, যেখানে ওই কোম্পানি একটি অন্যদেশের প্রতিষ্ঠানের সনদ ব্যবহার করেছে।

এনফোর্সমেন্ট টিম এ প্রসঙ্গে প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে এবং গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএনসিসির ক্রয়কৃত ওয়াকিটকির দাম অন্যান্য সরকারি সংস্থার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি।