ঢাকা ০৭:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

জার্মান গোয়েন্দা বিমানে চীনের লেজার হামলা

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক: লোহিত সাগরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সামরিক অভিযানে অংশ নেওয়া একটি জার্মান গোয়েন্দা বিমানকে লক্ষ্যবস্তু করে লেজার ব্যবহার করেছে চীন। এমন অভিযোগ ওঠার পর চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এই ঘটনা এমন একসময় ঘটল, যখন ইইউতে চীনের প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা খাতে প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। চীনের এমন আচরণকে ইউরোপে উত্তেজনা বৃদ্ধির একটি ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনা সামরিক বাহিনী লোহিত সাগরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এএসপিআইডিইএস অভিযানে অংশ নেওয়া একটি জার্মান গোয়েন্দা বিমানকে লক্ষ্য করে লেজার ব্যবহার করেছে। এক্স-এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘জার্মান কর্মীদের ঝুঁকির মুখে ফেলা এবং অভিযানে বাধা সৃষ্টি করা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।’ এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে বার্লিনে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে।

জার্মান ম্যাগাজিন স্পিগেল জানিয়েছে, জড়িত বিমানটি ছিল একটি ভাড়াকৃত জার্মান গোয়েন্দা বিমান। জুলাইয়ের শুরুতে এটি ইয়েমেন উপকূলে একটি চীনা যুদ্ধজাহাজের (ফ্রিগেট) কাছে গেলে ঘটনাটি ঘটে।

জার্মান সূত্রগুলো স্পিগেলকে জানায়, সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী এমন পরিস্থিতিতে চীনা ফ্রিগেটের ক্রুদের আগে থেকে জরুরি যোগাযোগ চ্যানেলের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারা তা না করে সরাসরি বিমানটির দিকে লেজার ব্যবহার করেছে, যা আন্তর্জাতিক সামরিক আচরণের বিপরীত।

ঘটনার পরও চীনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এএসপিআইডিইএস মিশন মূলত লোহিত সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রুটকে হুথি বিদ্রোহীদের হামলা থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য গঠিত হয়েছে। হুথিরা গাজায় ‘ইসরায়েল’-এর যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে। আর সেই প্রেক্ষিতেই এই মিশন পরিচালিত হচ্ছে।

বর্তমানে প্রায় ৭০০ জার্মান সামরিক কর্মী এই মিশনে অংশ নিয়েছেন। জার্মান সংসদ চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে এই মিশনে জার্মানির অংশগ্রহণ ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জার্মান গোয়েন্দা বিমানে চীনের লেজার হামলা

আপডেট সময় : ০৮:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক: লোহিত সাগরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সামরিক অভিযানে অংশ নেওয়া একটি জার্মান গোয়েন্দা বিমানকে লক্ষ্যবস্তু করে লেজার ব্যবহার করেছে চীন। এমন অভিযোগ ওঠার পর চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এই ঘটনা এমন একসময় ঘটল, যখন ইইউতে চীনের প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা খাতে প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। চীনের এমন আচরণকে ইউরোপে উত্তেজনা বৃদ্ধির একটি ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনা সামরিক বাহিনী লোহিত সাগরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এএসপিআইডিইএস অভিযানে অংশ নেওয়া একটি জার্মান গোয়েন্দা বিমানকে লক্ষ্য করে লেজার ব্যবহার করেছে। এক্স-এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘জার্মান কর্মীদের ঝুঁকির মুখে ফেলা এবং অভিযানে বাধা সৃষ্টি করা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।’ এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে বার্লিনে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে।

জার্মান ম্যাগাজিন স্পিগেল জানিয়েছে, জড়িত বিমানটি ছিল একটি ভাড়াকৃত জার্মান গোয়েন্দা বিমান। জুলাইয়ের শুরুতে এটি ইয়েমেন উপকূলে একটি চীনা যুদ্ধজাহাজের (ফ্রিগেট) কাছে গেলে ঘটনাটি ঘটে।

জার্মান সূত্রগুলো স্পিগেলকে জানায়, সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী এমন পরিস্থিতিতে চীনা ফ্রিগেটের ক্রুদের আগে থেকে জরুরি যোগাযোগ চ্যানেলের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারা তা না করে সরাসরি বিমানটির দিকে লেজার ব্যবহার করেছে, যা আন্তর্জাতিক সামরিক আচরণের বিপরীত।

ঘটনার পরও চীনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এএসপিআইডিইএস মিশন মূলত লোহিত সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রুটকে হুথি বিদ্রোহীদের হামলা থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য গঠিত হয়েছে। হুথিরা গাজায় ‘ইসরায়েল’-এর যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে। আর সেই প্রেক্ষিতেই এই মিশন পরিচালিত হচ্ছে।

বর্তমানে প্রায় ৭০০ জার্মান সামরিক কর্মী এই মিশনে অংশ নিয়েছেন। জার্মান সংসদ চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে এই মিশনে জার্মানির অংশগ্রহণ ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ