বিনোদন ডেস্ক : দেশের মৃতপ্রায় ও ক্ষতিগ্রস্থ নদীগুলো বাঁচাতে দেশব্যাপী আয়োজিত হচ্ছে জনসচেতনতামূলক ‘নদীরক্স’ কনসার্ট। সে ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কনসার্টটি আয়োজিত হয়। এতে তারুণ্যের উচ্ছ্বসিত অংশগ্রহণে মুগ্ধ আয়োজক শারমিন সুলতানা সুমি। তিনি জানান,কনসার্টটিতে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগম হয়। যাতে অংশ নিয়েছেন প্রায় বিশ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। শুধু তাই নয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের প্রবেশপথে নদীর জীবন-চিত্র আঁকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কনসার্টের উদ্যোগের পাশে দাঁড়িয়ে এ শিল্পকর্মটি উপহার দেয় তারা। এ কনসার্টে গান পরিবেশন করেন-দেশের শীর্ষস্থানীয় পাঁচ ব্যান্ড চিরকুট, অ্যাশেজ, বাংলা ফাইভ, এফ মাইনর ও স্মুচেস। এ উদ্যোগে সমর্থন ব্যাক্ত করেন শিক্ষার্থীরা।
সুমি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অভূতপূর্ব সাড়া পাবো তা ভাবতে পারিনি। এতো বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীর সমাবেশ আমাদের মুগ্ধ করেছে। এ আবেগ শুধু গানের জন্য ছিল না, ছিল নদীর জন্যও এটিই সবচেয়ে অভিভূত করেছে। মুক্তমঞ্চের প্রবেশপথে তাদের আঁকা নদীটা দেখলেই তা বোঝা যায়। নদী রক্স কনসার্টের সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশে অবস্থিত সুইজারল্যান্ড দূতাবাস, সুইডেন দূতাবাস ও ইউএনডিপি। জাবির প্রতœতত্ব বিভাগের স্নাকোত্তর শিক্ষার্থী সৌমিক বাগচী বলেন, আমরা আসলে এমন একটা নদী আঁকতে চেয়েছি, যে নদীটা সম্পূর্ণ দেখা যাবে। সেই তার উৎসমুখ থেকে তার মানুষের কাছে আসা পর্যন্ত-পুরো তার জীবন প্রবাহ। আমাদের আঁকা নদীটা দেখলে দেখবেন, মানুষের কাছাকাছি আসতে আসতে নীল জলের নদীটা কালো হয়ে যাচ্ছে, অর্থাৎ মানুষের সংস্পর্শে এসে সে তার জীবন হারাচ্ছে-যা আমাদের নদীমাতৃক বর্তমান বাংলাদেশের বাস্তবচিত্র। সৌমিক জানান, এ চিত্রকর্মটি আঁকতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা ছাড়াও অংশ নেয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সদস্যরা। শিক্ষার্থীদের মতে, শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নয়, দেশের আনাচে কানাচে কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত কোন নদীগুলোর তীরে এ কনসার্ট আয়োজিত হলে আয়োজনটি আরো সফল হবে।
জাবির ‘নদীরক্স’ কনসার্টে নামলো তারুণ্যের ঢল
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ