নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম ও নুরুন নাহার।
গতকাল রোববার সকালে তারা দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন কমিশনে এসে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম সাবেক প্রতিমন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির বর্তমান কো-চেয়ারম্যান এবং মিসেস নুরুন্নাহার বেগম, জাতীয় পার্টির ঠাকুরগাঁও জেলার সভাপতি- এই দুজনই আমাদের দলের পরীক্ষিত, নিবেদিত পুরনো কর্মী ও নেতা। তাদের আমরা নারী আসনে মনোনয়ন দিয়েছি।’ বিএনপির সমালোচনা করে চুন্নু কলেন, “সংসদে অনেকেই বিরোধী দলে ছিলেন। কিন্তু দিনের পর দিন বর্জন করেছেন। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর বর্জন করেছেন, পাঁচ বছরে ১০ দিন সংসদে এসেছেন। “ওইরকম সংখ্যা দিয়ে লাভ কী? যদি জনগণের পক্ষে কথা বলতে পারি, তাহলে সংখ্যাটা বড় কথা না। কম সংখ্যা দিয়েও কাঁপানো যায়।” সালমা ইসলাম একাদশ সংসদেও জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত আসনের এমপি ছিলেন। একাদশের মতো দ্বাদশ সংসদেও ঢাকা-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান তিনি।
সংরক্ষিত আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “দেশবাসী তো দেখেছে কীভাবে হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করব, জনগণের পাশে থাকব। জনগণের পাশে থাকতে হবে। সমালোচনা করতে হবে।”
৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-২ আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট করে পরাজিত হন নুরুন নাহার। তিনি বলেন, “অনেক আগে থেকেই রাজনীতিতে আছি। সংসদে ঢুকে জনগণের কথা যেন বলতে পারি, জনগণ এটাই চায়।” এবার সংরক্ষিত আসনে ভোট হবে ১৪ মার্চ। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রোববার বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় রয়েছে। দ্বাদশ সংসদে আসন অনুপাতে এবার সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগ ৪৮টি ও জাপা দুটি আসন পাবে। রোববার বিকালে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। ১৪ মার্চ ভোটের দিন রাখা হলেও মনোনয়নের বাইরে কারো প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না থাকায় ভোটের আর প্রয়োজন পড়ে না। ৫০ আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি যাদের মনোনয়ন দেবে, বাছাইয়ে বৈধ হলে ২৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার দিনই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
জাপার সালমা ইসলাম ও নুরুন নাহারের মনোনয়নপত্র জমা
জনপ্রিয় সংবাদ