বিদেশের খবর ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের এক যৌথ বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ হয়েছে চীন। গতকাল সোমবার তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ওই বিবৃতিতে বেইজিংকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেছে টোকিও। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এই বিবৃতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুয়ো জিয়াকুন বলেছেন, যৌথ বিবৃতিতে যেমন বেইজিংয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে তেমনি তাদের বক্তব্য চীনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের শামিল।
এসব বিবৃতি কেবল আঞ্চলিক অস্থিরতা বৃদ্ধি করে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকের পর হোয়াইট হাউজ থেকে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে দুই নেতা দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগরে বেইজিংয়ের সামরিক তৎপরতার বিরোধিতা করেন। বিবৃতিতে তাইওয়ানের বিষয়ে বলা হয়, তাইওয়ান প্রণালির শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা জরুরি। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে তাইওয়ানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পক্ষে মত দেন তারা। এ বিষয়ে জিয়াকুন বলেছেন, বেইজিংয়ের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বন্ধ করে এক চীন নীতি অনুসরণ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। বেইজিংয়ের এক চীন নীতি মূলত তাইওয়ান সংক্রান্ত। গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ানকে স্বাধীন দেশ হিসেবে মানতে রাজি না বেইজিং। নিজের দেশ মনে করে খেয়ালখুশি মতো এবং অবশ্যই ক্ষমতা প্রদর্শনের উদ্দেশে তাইওয়ান প্রণালির আশপাশ দিয়ে মাঝেমধ্যেই সামরিক মহড়া পরিচালনা করে থাকে তারা। অবশ্য তাদের এই দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধিতা করেছে তাইওয়ানের সরকার। তাদের দাবি, কেবল দেশের জনগণেরই অধিকার আছে তাদের ভাগ্য ও শাসন পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণের। তাই যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের যৌথ বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছে তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেশটির প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে বলেছেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানসহ বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক আরও দৃঢ় করব।