ঢাকা ১০:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

জাপানে সুপার টাইফুন, ৩০ লাখ লোক নিরাপদ আশ্রয়ে

  • আপডেট সময় : ০২:২৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

জাপান টাইমস : জাপানের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী টাইফুন নানমাডল আঘাত হানার আশঙ্কায় ইতোমধ্যে হাজার হাজার লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আরও প্রায় ৩০ লাখ লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে কর্তৃপক্ষ অনুরোধ জানিয়েছে। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে জাপানি সংবাদমাধ্যম জাপান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি বিবেচনায় জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) প্রচন্ড ঝড় এবং উচ্চ ঢেউয়ের এমন সতর্কতা জারি করেছে ‘যা আগে কখনও হয়নি’। এ ধরনের বিশেষ সতর্কতা জারির ঘটনা সাধারণত কয়েক দশকে একবার ঘটে। এদিকে রোববার সকাল নাগাদ কাগোশিমা ও পাশ্ববর্তী মিয়াজাকি এলাকার প্রায় ২৬ হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া ঝড়ের আশংকায় আঞ্চলিক ট্রেন, ফ্লাইট ও ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জেএমএ বলছে, এ এলাকায় ঝড়ের তা-বে নজিরবিহীন বিপদ তৈরি হতে পারে। শনিবার একে খুব বিপজ্জনক টাইফুন হিসেবে উল্লেখ করেন জেএমএ’র আবহাওয়া পূর্বাভাস ইউনিটের প্রধান রায়তা করোরা। ফায়ার এন্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি বলছে, প্রায় ২৯ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রোববার সকাল নাগাদ আট হাজার ৫০০ লোক স্থানীয় আশ্রয় কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছে বলে কাগোশিমার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এনএইচকে বলছে, বুলেটসহ আঞ্চলিক ট্রেন চলাচল বন্ধ এবং অন্তত ৫১০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আবহওয়া দপ্তর লোকজনকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেছে, বৃষ্টি প্রবল থেকে প্রবলতর এবং বাতাস আরও শক্তিশালী হচ্ছে। বৃষ্টি এতোটাই প্রবল হচ্ছে যে আশেপাশের কোনো কিছুই দেখা যাচ্ছে না। ঝড়টি রোববার সন্ধ্যা নাগাদ কিউশুতে আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরপর এটি উত্তরপূর্ব দিকে গিয়ে বুধবার সকাল নাগাদ জাপানের মূল ভূখন্ড পাড়ি দেবে বলে আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে। রয়টার্স বলছে, ইউএস নৌবাহিনীর যৌথ টাইফুন সতর্কীকরণ কেন্দ্র নানমাডলকে সুপার টাইফুন হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। এটি জাপানে চলতি মৌসুমের ১৪ তম টাইফুন। জেএমএ বলেছে, টাইফুন আছড়ে পড়ার সাথে সাথে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে করে নদী উপচে পড়া এবং ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে বলেও সতর্কতা জারি করেছে সংস্থাটি। জেএমএ’র পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রোববার দক্ষিণ কিউশুতে ৫০০ মিমি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এমনকি টাইফুনের প্রভাবে ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার (ঘণ্টায় ১৫৫ মাইল) বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় টোকাই অঞ্চলে ৩০০ মিমি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। রয়টার্স বলছে, বিদ্যমান আবহাওয়ার কারণে রেলওয়ে অপারেটররা এই অঞ্চলে ট্রেন বাতিল করেছে। এছাড়া কনভেনিয়েন্স স্টোর চেইন সেভেন-ইলেভেন জাপান সাময়িকভাবে প্রায় ৯৫০ টি স্টোর বন্ধ করে দিয়েছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জাপানে সুপার টাইফুন, ৩০ লাখ লোক নিরাপদ আশ্রয়ে

আপডেট সময় : ০২:২৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

জাপান টাইমস : জাপানের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী টাইফুন নানমাডল আঘাত হানার আশঙ্কায় ইতোমধ্যে হাজার হাজার লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আরও প্রায় ৩০ লাখ লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে কর্তৃপক্ষ অনুরোধ জানিয়েছে। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে জাপানি সংবাদমাধ্যম জাপান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি বিবেচনায় জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) প্রচন্ড ঝড় এবং উচ্চ ঢেউয়ের এমন সতর্কতা জারি করেছে ‘যা আগে কখনও হয়নি’। এ ধরনের বিশেষ সতর্কতা জারির ঘটনা সাধারণত কয়েক দশকে একবার ঘটে। এদিকে রোববার সকাল নাগাদ কাগোশিমা ও পাশ্ববর্তী মিয়াজাকি এলাকার প্রায় ২৬ হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া ঝড়ের আশংকায় আঞ্চলিক ট্রেন, ফ্লাইট ও ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জেএমএ বলছে, এ এলাকায় ঝড়ের তা-বে নজিরবিহীন বিপদ তৈরি হতে পারে। শনিবার একে খুব বিপজ্জনক টাইফুন হিসেবে উল্লেখ করেন জেএমএ’র আবহাওয়া পূর্বাভাস ইউনিটের প্রধান রায়তা করোরা। ফায়ার এন্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি বলছে, প্রায় ২৯ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রোববার সকাল নাগাদ আট হাজার ৫০০ লোক স্থানীয় আশ্রয় কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছে বলে কাগোশিমার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এনএইচকে বলছে, বুলেটসহ আঞ্চলিক ট্রেন চলাচল বন্ধ এবং অন্তত ৫১০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আবহওয়া দপ্তর লোকজনকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেছে, বৃষ্টি প্রবল থেকে প্রবলতর এবং বাতাস আরও শক্তিশালী হচ্ছে। বৃষ্টি এতোটাই প্রবল হচ্ছে যে আশেপাশের কোনো কিছুই দেখা যাচ্ছে না। ঝড়টি রোববার সন্ধ্যা নাগাদ কিউশুতে আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরপর এটি উত্তরপূর্ব দিকে গিয়ে বুধবার সকাল নাগাদ জাপানের মূল ভূখন্ড পাড়ি দেবে বলে আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে। রয়টার্স বলছে, ইউএস নৌবাহিনীর যৌথ টাইফুন সতর্কীকরণ কেন্দ্র নানমাডলকে সুপার টাইফুন হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। এটি জাপানে চলতি মৌসুমের ১৪ তম টাইফুন। জেএমএ বলেছে, টাইফুন আছড়ে পড়ার সাথে সাথে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে করে নদী উপচে পড়া এবং ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে বলেও সতর্কতা জারি করেছে সংস্থাটি। জেএমএ’র পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রোববার দক্ষিণ কিউশুতে ৫০০ মিমি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এমনকি টাইফুনের প্রভাবে ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার (ঘণ্টায় ১৫৫ মাইল) বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় টোকাই অঞ্চলে ৩০০ মিমি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। রয়টার্স বলছে, বিদ্যমান আবহাওয়ার কারণে রেলওয়ে অপারেটররা এই অঞ্চলে ট্রেন বাতিল করেছে। এছাড়া কনভেনিয়েন্স স্টোর চেইন সেভেন-ইলেভেন জাপান সাময়িকভাবে প্রায় ৯৫০ টি স্টোর বন্ধ করে দিয়েছে।