ঢাকা ০৪:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

জাপানের ১ কোটি শ্রম ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাপানে ২০৪০ সালের মধ্যে সম্ভাব্য ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে দেশটির শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মী পাঠাতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

gnewsদৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাপানের নাগোয়া শহরের এক মিলনায়তনে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশ-জাপানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ সমৃদ্ধ একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উৎস’ শীর্ষক সেমিনার ও পরবর্তী ম্যাচিং ইভেন্ট।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) ঢাকায় প্রাপ্ত এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, জাপান আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণার্থী ও দক্ষ কর্মী সহযোগিতা সংস্থার (জেআইটিসিও) সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী স্বাগত বক্তব্যে জাপানে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।

সেমিনারে প্রায় ২৫০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এবং জাপানি নিয়োগকারী সংস্থা অংশগ্রহণ করে।

ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া তার বক্তব্যে জাপান ও বাংলাদেশের শ্রমবাজার পরিস্থিতির তুলনামূলক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘২০৪০ সালের মধ্যে জাপানে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশে বর্তমানে অতিরিক্ত ২ কোটি ৫০ লাখ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে। এই প্রবণতা আগামী দুই দশক পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের বিপুল জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে জাপানের শ্রমবাজারের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে।’

তিনি জানান, জাপানের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী প্রস্তুত করতে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ৩৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) নির্ধারণ করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

এ ছাড়া প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি ‘জাপান সেল’ গঠন করা হচ্ছে, যা জাপানি শ্রমবাজারের জন্য সমন্বয় ও যোগাযোগ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।

ড. ভূঁইয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রশিক্ষিত ও দক্ষ কর্মীরা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে সুনাম অর্জন করেছে। জাপানি ভাষা, সংস্কৃতি ও কাজের মান সম্পর্কে দক্ষতা বাড়াতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে।’

তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের ও জাপানের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশই উপকৃত হবে।

জেআইটিসিও’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিগেও মাতসুতোমি সেমিনারে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা এবং জাপানের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশি জনশক্তি প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠান ও জাপানি নিয়োগকারী সংস্থার মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক এবং চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সূত্র: বাসস

ওআ/আপ্র/০৭/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জাপানের ১ কোটি শ্রম ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০৮:৪৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাপানে ২০৪০ সালের মধ্যে সম্ভাব্য ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে দেশটির শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মী পাঠাতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

gnewsদৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাপানের নাগোয়া শহরের এক মিলনায়তনে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশ-জাপানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ সমৃদ্ধ একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উৎস’ শীর্ষক সেমিনার ও পরবর্তী ম্যাচিং ইভেন্ট।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) ঢাকায় প্রাপ্ত এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, জাপান আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণার্থী ও দক্ষ কর্মী সহযোগিতা সংস্থার (জেআইটিসিও) সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী স্বাগত বক্তব্যে জাপানে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।

সেমিনারে প্রায় ২৫০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এবং জাপানি নিয়োগকারী সংস্থা অংশগ্রহণ করে।

ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া তার বক্তব্যে জাপান ও বাংলাদেশের শ্রমবাজার পরিস্থিতির তুলনামূলক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘২০৪০ সালের মধ্যে জাপানে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশে বর্তমানে অতিরিক্ত ২ কোটি ৫০ লাখ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে। এই প্রবণতা আগামী দুই দশক পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের বিপুল জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে জাপানের শ্রমবাজারের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে।’

তিনি জানান, জাপানের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী প্রস্তুত করতে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ৩৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) নির্ধারণ করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

এ ছাড়া প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি ‘জাপান সেল’ গঠন করা হচ্ছে, যা জাপানি শ্রমবাজারের জন্য সমন্বয় ও যোগাযোগ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।

ড. ভূঁইয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রশিক্ষিত ও দক্ষ কর্মীরা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে সুনাম অর্জন করেছে। জাপানি ভাষা, সংস্কৃতি ও কাজের মান সম্পর্কে দক্ষতা বাড়াতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে।’

তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের ও জাপানের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশই উপকৃত হবে।

জেআইটিসিও’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিগেও মাতসুতোমি সেমিনারে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা এবং জাপানের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশি জনশক্তি প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠান ও জাপানি নিয়োগকারী সংস্থার মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক এবং চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সূত্র: বাসস

ওআ/আপ্র/০৭/১১/২০২৫