ঢাকা ০৪:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

জান্তা সরকারের টার্গেটে মিয়ানমারের বিশ্ববিদ্যালয়, বহিষ্কার ১১ হাজার

  • আপডেট সময় : ১২:২৩:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মে ২০২১
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সেনা শাসনের প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন করায় মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার ১১ হাজারের বেশি অ্যাকাডেমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মীকে বহিষ্কার করেছে। দেশটির শিক্ষকদের একটি গ্রুপ এই তথ্য জানিয়েছে বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে এক বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি মিয়ানমারের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হয়। তবে গত ১ ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থানের বিরোধিতায় নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী ও শিক্ষার্থীরা। এরপরই হাজার হাজার অ্যাকাডেমিক ও কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ বছর বয়সী এক রেক্টর বলেন, ‘আমার এতো ভালোবাসার একটা কাজ ছেড়ে দিতে হচ্ছে বলে খারাপ লাগছে কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে পেরে গর্ব অনুভব করছি।’ তিনি বলেন, ‘আজ আমাকে আমার বিভাগ তলব করেছিলো। আমি যাচ্ছি না। আমরা মিলিটারি কাউন্সিলের আদেশ মানবো না।’
যুক্তরাষ্ট্রে ফেলোশিপে থাকা এক প্রফেসর জানিয়েছেন তাকে বলা হয়েছে যে ধর্মঘটের বিরোধিতার ঘোষণা দিতে হবে, না হলে তাকে চাকরি হারাতে হবে। তার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব স্কলারকে জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের প্রত্যেককেই তদারকি করা হবে এবং এর মধ্য থেকে যেকোনও একটি বেছে নিতে বলা হবে।
মিয়ানমার টিচার’স ফেডারেশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার পর্যন্ত ১১ হাজার অ্যাকাডেমিক এবং বিভিন্ন কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারের বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ছিলো। মিয়ানমারের প্রায় অর্ধ শতাব্দির সেনা শাসনের বিরোধিতায় সামনের কাতারে ছিলো শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। গত ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধেও জোরালো ভূমিকা রাখছে তারা। নাগরিক অসহযোগ আন্দোলনে যুক্ত হয়ে বহু শিক্ষক ও সরকারি কর্মচারি কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় অচল হয়ে পড়েছে মিয়ানমার। বিক্ষোভ বাড়তে থাকায় নিরাপত্তা বাহিনী ইয়াঙ্গুনসহ বড় বড় শহরের ক্যাম্পাসগুলো দখল করে নেয়।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জান্তা সরকারের টার্গেটে মিয়ানমারের বিশ্ববিদ্যালয়, বহিষ্কার ১১ হাজার

আপডেট সময় : ১২:২৩:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মে ২০২১


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সেনা শাসনের প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন করায় মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার ১১ হাজারের বেশি অ্যাকাডেমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মীকে বহিষ্কার করেছে। দেশটির শিক্ষকদের একটি গ্রুপ এই তথ্য জানিয়েছে বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে এক বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি মিয়ানমারের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হয়। তবে গত ১ ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থানের বিরোধিতায় নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী ও শিক্ষার্থীরা। এরপরই হাজার হাজার অ্যাকাডেমিক ও কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ বছর বয়সী এক রেক্টর বলেন, ‘আমার এতো ভালোবাসার একটা কাজ ছেড়ে দিতে হচ্ছে বলে খারাপ লাগছে কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে পেরে গর্ব অনুভব করছি।’ তিনি বলেন, ‘আজ আমাকে আমার বিভাগ তলব করেছিলো। আমি যাচ্ছি না। আমরা মিলিটারি কাউন্সিলের আদেশ মানবো না।’
যুক্তরাষ্ট্রে ফেলোশিপে থাকা এক প্রফেসর জানিয়েছেন তাকে বলা হয়েছে যে ধর্মঘটের বিরোধিতার ঘোষণা দিতে হবে, না হলে তাকে চাকরি হারাতে হবে। তার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব স্কলারকে জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের প্রত্যেককেই তদারকি করা হবে এবং এর মধ্য থেকে যেকোনও একটি বেছে নিতে বলা হবে।
মিয়ানমার টিচার’স ফেডারেশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার পর্যন্ত ১১ হাজার অ্যাকাডেমিক এবং বিভিন্ন কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারের বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ছিলো। মিয়ানমারের প্রায় অর্ধ শতাব্দির সেনা শাসনের বিরোধিতায় সামনের কাতারে ছিলো শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। গত ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধেও জোরালো ভূমিকা রাখছে তারা। নাগরিক অসহযোগ আন্দোলনে যুক্ত হয়ে বহু শিক্ষক ও সরকারি কর্মচারি কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় অচল হয়ে পড়েছে মিয়ানমার। বিক্ষোভ বাড়তে থাকায় নিরাপত্তা বাহিনী ইয়াঙ্গুনসহ বড় বড় শহরের ক্যাম্পাসগুলো দখল করে নেয়।