ঢাকা ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫

জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নসহ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চান হকাররা

  • আপডেট সময় : ০১:১৮:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : হকারদের জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন, রেশন কার্ড চালু, গণপরিবহনে অবাধ কাজের সুযোগ দেওয়া, হয়রানি-নির্যাতন বন্ধ করা, রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে পরিবহন ও ভ্রাম্যমাণ হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, পরিবহন হকারদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ বেশকিছু দাবি তুলে ধরেছে বাংলাদেশ ভ্রাম্যমাণ হকার্স শ্রমিক ঐক্য ফোরাম। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক হকার্স দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব দাবি করে সংগঠনটি। সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা জীবিকার তাগিদে হকার হয়েছি। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন পড়ালেখা করেও চাকরি না পেয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করে হকার হয়েছেন। তাদের ওপর পরিবারের অনেকেই নির্ভরশীল। হকার মাহফুজুর রহমান বলেন, আমি উচ্চমাধ্যমিক পাস করে এসেছি একটি স্বাধীন পেশায়। আমার পেশার স্বীকৃতি নেই। আমরা চুরি করি না, ডাকাতি করি না। শরীরের ঘাম পায়ে ফেলে রুটি-রুজির জন্য কাজ করি। আজ আমরা আমার পেশার স্বীকৃতি পাই না। যখন-তখন তুলে দেয়। বাংলাদেশ ভ্রাম্যমাণ হকার্স শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মো. ইউসুফ আলী সিকদার বলেন, হকারদের জন্য একটি নীতিমালা চাই। সরকারিভাবে হকার্স দিবস ঘোষণা করা হোক, বিনাসুদে ঋণ দেওয়া হোক, প্রতি গাড়িতে হকারদের জন্য একটি করে সিট দেওয়া হোক। প্রতিবন্ধীদের বিনা জামানাতে একটি করে দোকান দেওয়া হোক। সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক আফজাল হোসেন বলেন, দেশে পরিবহন ও ভ্রাম্যমাণ হকার রয়েছেন ১০ লাখ। আমাদের পরিচয় নেই বলে করোনার সময় কোনো সহযোগিতা পাইনি অথচ সব ব্যবসায়ী সহযোগিতা পেয়েছে। পরিচয় থাকলে আমরা সরকারকে কর দিতে পারতাম। সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হতে চাই। সরকার তাতে কয়েক কোটি টাকা পেতো। সমাবেশে বাংলাদেশ ভ্রাম্যমাণ হকার্স শ্রমিক ঐক্য ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান, বাংলাদেশ হকার সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, কার্যকরী সভাপতি কামাল সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইজুদ্দিন মিয়া, সহ-সভাপতি আরিফ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক এম এ খায়ের, কেন্দ্রীয় নেতা তাজুল ইসলাম, খায়রুল বাশারসহ ফোরামের বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নসহ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চান হকাররা

আপডেট সময় : ০১:১৮:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : হকারদের জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন, রেশন কার্ড চালু, গণপরিবহনে অবাধ কাজের সুযোগ দেওয়া, হয়রানি-নির্যাতন বন্ধ করা, রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে পরিবহন ও ভ্রাম্যমাণ হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, পরিবহন হকারদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ বেশকিছু দাবি তুলে ধরেছে বাংলাদেশ ভ্রাম্যমাণ হকার্স শ্রমিক ঐক্য ফোরাম। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক হকার্স দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব দাবি করে সংগঠনটি। সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা জীবিকার তাগিদে হকার হয়েছি। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন পড়ালেখা করেও চাকরি না পেয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করে হকার হয়েছেন। তাদের ওপর পরিবারের অনেকেই নির্ভরশীল। হকার মাহফুজুর রহমান বলেন, আমি উচ্চমাধ্যমিক পাস করে এসেছি একটি স্বাধীন পেশায়। আমার পেশার স্বীকৃতি নেই। আমরা চুরি করি না, ডাকাতি করি না। শরীরের ঘাম পায়ে ফেলে রুটি-রুজির জন্য কাজ করি। আজ আমরা আমার পেশার স্বীকৃতি পাই না। যখন-তখন তুলে দেয়। বাংলাদেশ ভ্রাম্যমাণ হকার্স শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মো. ইউসুফ আলী সিকদার বলেন, হকারদের জন্য একটি নীতিমালা চাই। সরকারিভাবে হকার্স দিবস ঘোষণা করা হোক, বিনাসুদে ঋণ দেওয়া হোক, প্রতি গাড়িতে হকারদের জন্য একটি করে সিট দেওয়া হোক। প্রতিবন্ধীদের বিনা জামানাতে একটি করে দোকান দেওয়া হোক। সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক আফজাল হোসেন বলেন, দেশে পরিবহন ও ভ্রাম্যমাণ হকার রয়েছেন ১০ লাখ। আমাদের পরিচয় নেই বলে করোনার সময় কোনো সহযোগিতা পাইনি অথচ সব ব্যবসায়ী সহযোগিতা পেয়েছে। পরিচয় থাকলে আমরা সরকারকে কর দিতে পারতাম। সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হতে চাই। সরকার তাতে কয়েক কোটি টাকা পেতো। সমাবেশে বাংলাদেশ ভ্রাম্যমাণ হকার্স শ্রমিক ঐক্য ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান, বাংলাদেশ হকার সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, কার্যকরী সভাপতি কামাল সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইজুদ্দিন মিয়া, সহ-সভাপতি আরিফ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক এম এ খায়ের, কেন্দ্রীয় নেতা তাজুল ইসলাম, খায়রুল বাশারসহ ফোরামের বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।