ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় দলে আর ফিরবেন না, আফ্রিদিকে জানালেন তামিম

  • আপডেট সময় : ০৮:১২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি চিটাগং কিংসের মেন্টর। বিপিএলে দুইজনই উঠেছেন একই হোটেলে। সেখানেই আফ্রিদির সঙ্গে আলাপকালে তামিম জানিয়ে দিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর ফিরবেন না তিনি। ২০২৩ সালে সিরিজের মাঝে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম। এরপর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে ফিরে এসেছিলেন। এরপর দুটি ওয়ানডে খেললেও বিতর্কের কারণে আর বিশ্বকাপে খেলা হয়নি। তারপরও মাঝেমধ্যেই তামিমের জাতীয় দলে ফেরা কিংবা বিসিবির কর্মকর্তা হওয়ার গুঞ্জন উঠে। দেশের ক্রিকেটে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন- তামিম কি আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবেন? বহু জল ঘোলা হলেও এই প্রশ্নের জবাব মেলেনি। একই হোটেলে থাকায় নিয়মিত আড্ডা হচ্ছে তামিম-আফ্রিদির। তেমনই এক আড্ডার ভিডিও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক।

সেখানেই উঠে এসেছে তামিম ও আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীর অবসর প্রসঙ্গ। দুজনের কাছেই তাদের ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চান আফ্রিদি।
নবী জানান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে হয়তো বিদায় নেবেন তিনি। এসময় তামিমকে আফ্রিদি উর্দুতে জিজ্ঞেস করেন, ‘তাহলে তামিম তুমি অবসরে?’ জবাবে তামিম বলেন, ‘জাতীয় দল থেকে (অবসরে)।’ এরপর হাত ক্রস করে জানান ‘শেষ’। ২০২৩ সালে আফগানিস্তান সিরিজ চলাকালীন তখনকার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের একটি মন্তব্যের পর আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন তামিম। পরে অবশ্য মাশরাফি মুর্তজার হস্তক্ষেপে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে ফিরে এসেছিলেন। দুই ম্যাচ খেলে এরপর আর কখনোই ফেরেননি জাতীয় দলে। ভবিষ্যতে ফেরার কোনও সম্ভবনা নেই।

আর একটি আড্ডাতে উঠে আসে আফ্রিদির রাজনীতি করার বিষয়টি। আফ্রিদিকে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম প্রশ্ন করেন, তার (আফ্রিদির) রাজনীতিতে আসার কোনও সম্ভাবনা আছে কি না!

জবাবে পাক কিংবদন্তি মজা করে বলেছেন, ‘আরে তোমাদের অবস্থা তো দেখছি, আমি (রাজনীতিতে) আসছি না।’ তখন সবাই সমস্বরে হেসে ওঠেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জাতীয় দলে আর ফিরবেন না, আফ্রিদিকে জানালেন তামিম

আপডেট সময় : ০৮:১২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি চিটাগং কিংসের মেন্টর। বিপিএলে দুইজনই উঠেছেন একই হোটেলে। সেখানেই আফ্রিদির সঙ্গে আলাপকালে তামিম জানিয়ে দিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর ফিরবেন না তিনি। ২০২৩ সালে সিরিজের মাঝে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম। এরপর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে ফিরে এসেছিলেন। এরপর দুটি ওয়ানডে খেললেও বিতর্কের কারণে আর বিশ্বকাপে খেলা হয়নি। তারপরও মাঝেমধ্যেই তামিমের জাতীয় দলে ফেরা কিংবা বিসিবির কর্মকর্তা হওয়ার গুঞ্জন উঠে। দেশের ক্রিকেটে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন- তামিম কি আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবেন? বহু জল ঘোলা হলেও এই প্রশ্নের জবাব মেলেনি। একই হোটেলে থাকায় নিয়মিত আড্ডা হচ্ছে তামিম-আফ্রিদির। তেমনই এক আড্ডার ভিডিও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক।

সেখানেই উঠে এসেছে তামিম ও আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীর অবসর প্রসঙ্গ। দুজনের কাছেই তাদের ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চান আফ্রিদি।
নবী জানান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে হয়তো বিদায় নেবেন তিনি। এসময় তামিমকে আফ্রিদি উর্দুতে জিজ্ঞেস করেন, ‘তাহলে তামিম তুমি অবসরে?’ জবাবে তামিম বলেন, ‘জাতীয় দল থেকে (অবসরে)।’ এরপর হাত ক্রস করে জানান ‘শেষ’। ২০২৩ সালে আফগানিস্তান সিরিজ চলাকালীন তখনকার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের একটি মন্তব্যের পর আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন তামিম। পরে অবশ্য মাশরাফি মুর্তজার হস্তক্ষেপে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে ফিরে এসেছিলেন। দুই ম্যাচ খেলে এরপর আর কখনোই ফেরেননি জাতীয় দলে। ভবিষ্যতে ফেরার কোনও সম্ভবনা নেই।

আর একটি আড্ডাতে উঠে আসে আফ্রিদির রাজনীতি করার বিষয়টি। আফ্রিদিকে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম প্রশ্ন করেন, তার (আফ্রিদির) রাজনীতিতে আসার কোনও সম্ভাবনা আছে কি না!

জবাবে পাক কিংবদন্তি মজা করে বলেছেন, ‘আরে তোমাদের অবস্থা তো দেখছি, আমি (রাজনীতিতে) আসছি না।’ তখন সবাই সমস্বরে হেসে ওঠেন।