ঢাকা ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

জাতীয় দলের ব্যর্থতায় বিরক্ত চীনা ফুটবল সমর্থকেরা টাকা ফেরত চান

  • আপডেট সময় : ১১:০২:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ফুটবলে চীনের সাফল্য কী! এশিয়ার বৃহত্তম রাষ্ট্রের বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতাই মাত্র একবার—২০০২ সালে। এর বাইরে ফুটবলে চীন কোনোভাবেই নিজেদের এশীয় শক্তি হিসেবে দাঁড় করাতে পারেনি। অথচ দৈত্যকায় অর্থনীতি, বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ, প্রতিপত্তি সবই আছে দেশটির। এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এশিয়া অঞ্চলের তৃতীয় রাউন্ডে যাচ্ছেতাই ফল চীনের। নিজেদের গ্রুপে (বি) ৬ দলের মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে চীন। ‘বি’ গ্রুপে শীর্ষ তিন স্থানে আছে সৌদি আরব, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। ‘এ’ গ্রুপে শীর্ষ দুই দল ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়া এরই মধ্যে কাতার বিশ্বকাপে স্থান করে নিয়েছে। চীনের গ্রুপে সৌদি আরব, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও আছে ওমান ও ভিয়েতনাম। অন্য গ্রুপে ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়া অন্য দলগুলো ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, লেবানন ও সিরিয়া।
চীন আট ম্যাচ খেলে জিতেছে মাত্র একটিতে। দুটি ড্রয়ের পাশাপাশি হেরেছে পাঁচ ম্যাচ—চীনের সমর্থকদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় মঙ্গলবার ভিয়েতনামের কাছে ৩-১ গোলে হেরে যাওয়ার পর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। এমনকি চীনের ম্যাচগুলোর টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ারও দাবি উঠেছে। ফুটবল নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের স্বপ্ন বেশ উচ্চাভিলাষীই। তিনি চান চীনের মাটিতে বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে। একদিন বিশ্বকাপ জেতারও স্বপ্ন দেখেন তিনি। বড় লক্ষ্য নিয়েই চীনা সুপার লিগে চলছে অর্থের ছড়াছড়ি। বিশ্বের অনেক নামী খেলোয়াড় ও কোচ এখন চীনা সুপার লিগের অংশ। তবে জাতীয় ফুটবল দলের ফল ক্রমেই হতাশায় ডোবাচ্ছে চীনাদের। চীনা টুইটার হিসেবে পরিচিত উইবুতে হ্যাশট্যাগ সৃষ্টি করেই চলছে জনমত গঠন—‘জাতীয় দল কেন সব সময় খারাপ খেলে’, ‘আমরা কবে জিততে শিখব’, ‘জাতীয় দল আমাদের টাকা ফেরত দাও’ ইত্যাদি হ্যাশট্যাগের অধীন চীনারা জাতীয় ফুটবল দলের ফলাফলকে ‘লজ্জাকর’ বলছেন। তাঁরা এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চীনের ম্যাচগুলোর টাকা সমর্থকদের ফেরত দেওয়ারও জোর দাবি জানিয়েছেন।
২০১৩ সালে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৫-১ গোলে উড়ে গিয়েছিল চীন। সে সময়ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চীনা ফুটবল দল নিয়ে অনেক কথা হয়েছিল। সে সময় চীনের সাবেক ফুটবল তারকা ফান ঝি ইয়ের একটি সাক্ষাৎকার ভিয়েতনামের বিপক্ষে হারের পর ভাইরাল হয়েছে। সে সময় ঝি ই বলেছিলেন, ‘থাইল্যান্ডের বিপক্ষে হারার পর আমরা ভিয়েতনামের কাছে হারব, এরপর হারব মিয়ানমারের কাছে। এরপর আর আমাদের হারানোর কেউই থাকবে না ফুটবল দুনিয়ায়।’ ঝি ইয়ের সতর্কবার্তা সত্যি হয়েছে। চীন এবার হেরেছে ভিয়েতনামের কাছে। ব্যাপারটি কাকতালীয়ই বটে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জাতীয় দলের ব্যর্থতায় বিরক্ত চীনা ফুটবল সমর্থকেরা টাকা ফেরত চান

আপডেট সময় : ১১:০২:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : ফুটবলে চীনের সাফল্য কী! এশিয়ার বৃহত্তম রাষ্ট্রের বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতাই মাত্র একবার—২০০২ সালে। এর বাইরে ফুটবলে চীন কোনোভাবেই নিজেদের এশীয় শক্তি হিসেবে দাঁড় করাতে পারেনি। অথচ দৈত্যকায় অর্থনীতি, বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ, প্রতিপত্তি সবই আছে দেশটির। এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এশিয়া অঞ্চলের তৃতীয় রাউন্ডে যাচ্ছেতাই ফল চীনের। নিজেদের গ্রুপে (বি) ৬ দলের মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে চীন। ‘বি’ গ্রুপে শীর্ষ তিন স্থানে আছে সৌদি আরব, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। ‘এ’ গ্রুপে শীর্ষ দুই দল ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়া এরই মধ্যে কাতার বিশ্বকাপে স্থান করে নিয়েছে। চীনের গ্রুপে সৌদি আরব, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও আছে ওমান ও ভিয়েতনাম। অন্য গ্রুপে ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়া অন্য দলগুলো ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, লেবানন ও সিরিয়া।
চীন আট ম্যাচ খেলে জিতেছে মাত্র একটিতে। দুটি ড্রয়ের পাশাপাশি হেরেছে পাঁচ ম্যাচ—চীনের সমর্থকদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় মঙ্গলবার ভিয়েতনামের কাছে ৩-১ গোলে হেরে যাওয়ার পর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। এমনকি চীনের ম্যাচগুলোর টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ারও দাবি উঠেছে। ফুটবল নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের স্বপ্ন বেশ উচ্চাভিলাষীই। তিনি চান চীনের মাটিতে বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে। একদিন বিশ্বকাপ জেতারও স্বপ্ন দেখেন তিনি। বড় লক্ষ্য নিয়েই চীনা সুপার লিগে চলছে অর্থের ছড়াছড়ি। বিশ্বের অনেক নামী খেলোয়াড় ও কোচ এখন চীনা সুপার লিগের অংশ। তবে জাতীয় ফুটবল দলের ফল ক্রমেই হতাশায় ডোবাচ্ছে চীনাদের। চীনা টুইটার হিসেবে পরিচিত উইবুতে হ্যাশট্যাগ সৃষ্টি করেই চলছে জনমত গঠন—‘জাতীয় দল কেন সব সময় খারাপ খেলে’, ‘আমরা কবে জিততে শিখব’, ‘জাতীয় দল আমাদের টাকা ফেরত দাও’ ইত্যাদি হ্যাশট্যাগের অধীন চীনারা জাতীয় ফুটবল দলের ফলাফলকে ‘লজ্জাকর’ বলছেন। তাঁরা এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চীনের ম্যাচগুলোর টাকা সমর্থকদের ফেরত দেওয়ারও জোর দাবি জানিয়েছেন।
২০১৩ সালে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৫-১ গোলে উড়ে গিয়েছিল চীন। সে সময়ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চীনা ফুটবল দল নিয়ে অনেক কথা হয়েছিল। সে সময় চীনের সাবেক ফুটবল তারকা ফান ঝি ইয়ের একটি সাক্ষাৎকার ভিয়েতনামের বিপক্ষে হারের পর ভাইরাল হয়েছে। সে সময় ঝি ই বলেছিলেন, ‘থাইল্যান্ডের বিপক্ষে হারার পর আমরা ভিয়েতনামের কাছে হারব, এরপর হারব মিয়ানমারের কাছে। এরপর আর আমাদের হারানোর কেউই থাকবে না ফুটবল দুনিয়ায়।’ ঝি ইয়ের সতর্কবার্তা সত্যি হয়েছে। চীন এবার হেরেছে ভিয়েতনামের কাছে। ব্যাপারটি কাকতালীয়ই বটে।