প্রযুক্তি ডেস্ক : প্রতিবন্ধী ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণ, জীবনমান উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, ইনক্লুসিভ শিক্ষা বাস্তবায়ন ও সামাজিক সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য জাতীয় মানবকল্যাণ পদক-২০২১ অর্জন করলো এটুআই (এসপায়ার টু ইনোভেট)। গত সোমবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের সমাজসেবা অধিদফতর মিলনায়তনে জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৩ ও মানবকল্যাণ পদক বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের কাছে থেকে এটুআই প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এই পদক গ্রহণ করেন।
এটুআই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে সরকারের সব ওয়েবসাইট গড়ে ৭০ শতাংশ অভিগম্যতা (একসেস) নিশ্চিত করতে কারিগরি সহযোগিতা করেছে। এছাড়া মাল্টিমিডিয়া টকিং বুক ও অভিগম্য ডিকশনারি তৈরির পাশাপাশি ইনক্লুসিভ ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠায় কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘জনকল্যাণে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবতার সেবায় কাজ করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ ক্যাটাগিরতে প্রতি বছর মানবকল্যাণ পদক প্রদান করা হবে। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্মার্ট প্রযুক্তির সূচনা হয়েছে। এক কোটিরও অধিক ভাতাভোগী এবং পাঁচ কোটিরও অধিক উপকারভোগী সরাসরি এ মন্ত্রণালয়ের সেবার আওতাভুক্ত। ভবিষ্যতে এ বিশাল সংখ্যক মানুষ দারিদ্রসীমা থেকে বেরিয়ে আসবে।’
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশে সর্বপ্রথম সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ চালু করেছিলেন। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি টালমাটাল। এমন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের জন্য সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ সহায়ক হবে।’
উল্লেখ্য, ২০২০ ও ২০২১ সালের জন্য ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ পদক পেয়েছেন। করোনার কারণে ২০২০ সালে দেওয়া সম্ভব না হলেও এবার একসঙ্গে ২০২০ ও ২০২১ সালের জন্য নির্বাচিতদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পদকের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রত্যেকে পেয়েছেন ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণ দিয়ে তৈরি পদক, জাতীয় মানবকল্যাণ পদকের রেপ্লিকা, ব্যক্তি পর্যায়ে ২ লাখ টাকা, দফতর বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ২ লাখ টাকা এবং একটি সম্মাননা সনদ। পদকপ্রাপ্ত অন্যান্যের মধ্যে প্রান্তিক ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় আব্দুল জব্বার জলিল, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কল্যাণে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ্ব আল-মামুন সরকার, মানবকল্যাণে ইতিবাচক কার্যক্রমে খুলনার জেলা প্রশাসন মানবকল্যাণ পদক ২০২০ গ্রহণ করে। বয়স্ক-বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতার কল্যাণে বিশ্ব মানবসেবা সংঘ (বৃদ্ধাশ্রম), প্রান্তিক ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মাজেদা শওকত আলী, আইনের সংঘাতে জড়িত শিশু-নিরাশ্রয় ব্যক্তির কল্যাণে আকবরিয়া লিমিটেড, মানবকল্যাণে ইতিবাচক কার্যক্রমে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন মানবকল্যাণ পদক ২০২১ গ্রহণ করে।
জাতীয় মানবকল্যাণ পদক পেলো এটুআই
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ