ঢাকা ০৫:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আবার হামলা-ভাঙচুর ও আগুন

  • আপডেট সময় : ০১:৩৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফের হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করার পর শুক্রবার রাতে তোলা ছবিটি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কাকরাইলে আবার জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। (৫ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার সন্ধ্যায় এ হামলা হয়। হামলার জন্য গণ অধিকার পরিষদকে দায়ী করেছে জাপা। গণ অধিকার পরিষদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও জাতীয় পার্টি সূত্র জানায়, সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে কাকরাইলে জাপা কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণ অধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাচ্ছিল। সেই মিছিল থেকে কিছু নেতা–কর্মী জাপার কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় তাঁরা কার্যালয়ের নিচতলায় ভাঙচুর করে এবং একপর্যায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, হামলার আগে জাপার কয়েকজন নেতা-কর্মী তাঁদের কার্যালয়ে ছিলেন। গণ অধিকার পরিষদের মিছিল আসতে দেখে তাঁরা সরে যান। মিছিলটি যখন জাপা কার্যালয়ের সামনে আসে, সে সময় সেখানে পুলিশ মোতায়েন ছিল। কিন্তু সংখ্যায় কম থাকায় তারা মিছিলকারীদের বাধা দেয়নি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে জাপা কার্যালয়ের আগুন নেভাতে শুরু করে।

হামলা–ভাঙচুরের সময় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজট দেখা দেয়।

এ বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, হামলাকারীরা জাপা কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে চলে যায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে জলকামান ব্যবহার করে আগুন নেভায়। রাত আটটার দিকে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

হামলার পর রাত আটটার দিকে জাপার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, আগুনে পাঁচতলা ভবনের নিচতলার বিভিন্ন আসবাব ও নথিপত্র পুড়ে গেছে। কার্যালয়ের সামনের দেয়ালে থাকা এরশাদের ছবি ও জাপার লোগো ভাঙচুর করা হয়েছে। রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ছবি। হামলার প্রতিবাদে জাপা নেতা–কর্মীরা কার্যালয়ের সামনে মিছিল করছেন। এ সময় নেতা-কর্মীরা ‘জাতীয় পার্টি জাতীয় পার্টি, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘জি এম কাদের এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে’, ‘কে বলেরে এরশাদ নাই, এরশাদ সারা বাংলায়’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট জাপা ও গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেদিনও জাপার কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছিল। ওই ঘটনার কিছু সময় পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পিটুনিতে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক গুরুতর আহত হন। তিনি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নুরুল হকের ওপর হামলার প্রতিবাদে পরদিন ৩০ আগস্ট সন্ধ্যায় গণ অধিকার পরিষদ বিক্ষোভ মিছিল করে। তখন একদল বিক্ষোভকারী জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করেছেন। বিক্ষোভকারীরা একপর্যায়ে কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে পুলিশ এসে হামলাকারীদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয়।

শুক্রবার হামলার পর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আসেন দলটির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশে মবতন্ত্রের রাজত্ব চলছে। সরকার এর দায় এড়াতে পারে না।’ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় না আনলে দেশজুড়ে আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। হামলাকারীদের বিষয়ে শামীম হায়দার বলেন, ‘আমরা গণ অধিকার পরিষদের ব্যানারে একটি মিছিল নিয়ে এসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করতে দেখেছি। তবে মিছিলে অন্য পরিচয়ের লোকজন থাকতে পারে।’

হামলার আগে কার্যালয়ে ছিলেন জাপার যুগ্ম মহাসচিব যুবের আলম খান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামীকাল ঈদে মিলাদুন্নবী (সা)–এর দোয়া মাহফিলের আয়োজন নিয়ে আমরা কার্যালয়ে সভা করছিলাম। মাগরিবের পর হঠাৎ একটি বড় মিছিল এসে কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। প্রায় আধা ঘণ্টা পর্যন্ত তারা অগ্নিসংযোগ করে।’ এ ঘটনায় তাঁদের অন্তত চারজন নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

জাপার কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর অসংখ্য মানুষ জাপার ওপর ক্ষুব্ধ। অন্তর্বর্তী সরকার ফ্যাসিবাদের দোসর জাপাকে সুযোগ করে দিচ্ছে। বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা জাপা কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। এই বিক্ষুব্ধ মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা গণ অধিকার পরিষদের পক্ষে সম্ভব নয়। এই হামলার সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের কোনো সম্পর্ক নেই।’

এর আগে শুক্রবার বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে নুরুল হকসহ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তিসহ তিন দফা দাবিতে সমাবেশ করে গণ অধিকার অধিকার পরিষদ। তাদের বাকি দাবিগুলো হলো আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের বিচার, নিবন্ধন বাতিল ও রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। এ ছাড়া ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করতে হবে।

ওই সমাবেশ শেষে গণ অধিকার পরিষদের নেতা–কর্মীরা বিজয়নগরের কার্যালয়ে উদ্দেশে মিছিল নিয়ে রওনা হন। সেই মিছিল থেকেই জাপার কার্যালয়ে হামলা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সানা/আপ্র/০৬/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আবার হামলা-ভাঙচুর ও আগুন

আপডেট সময় : ০১:৩৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কাকরাইলে আবার জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। (৫ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার সন্ধ্যায় এ হামলা হয়। হামলার জন্য গণ অধিকার পরিষদকে দায়ী করেছে জাপা। গণ অধিকার পরিষদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও জাতীয় পার্টি সূত্র জানায়, সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে কাকরাইলে জাপা কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণ অধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাচ্ছিল। সেই মিছিল থেকে কিছু নেতা–কর্মী জাপার কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় তাঁরা কার্যালয়ের নিচতলায় ভাঙচুর করে এবং একপর্যায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, হামলার আগে জাপার কয়েকজন নেতা-কর্মী তাঁদের কার্যালয়ে ছিলেন। গণ অধিকার পরিষদের মিছিল আসতে দেখে তাঁরা সরে যান। মিছিলটি যখন জাপা কার্যালয়ের সামনে আসে, সে সময় সেখানে পুলিশ মোতায়েন ছিল। কিন্তু সংখ্যায় কম থাকায় তারা মিছিলকারীদের বাধা দেয়নি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে জাপা কার্যালয়ের আগুন নেভাতে শুরু করে।

হামলা–ভাঙচুরের সময় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজট দেখা দেয়।

এ বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, হামলাকারীরা জাপা কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে চলে যায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে জলকামান ব্যবহার করে আগুন নেভায়। রাত আটটার দিকে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

হামলার পর রাত আটটার দিকে জাপার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, আগুনে পাঁচতলা ভবনের নিচতলার বিভিন্ন আসবাব ও নথিপত্র পুড়ে গেছে। কার্যালয়ের সামনের দেয়ালে থাকা এরশাদের ছবি ও জাপার লোগো ভাঙচুর করা হয়েছে। রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ছবি। হামলার প্রতিবাদে জাপা নেতা–কর্মীরা কার্যালয়ের সামনে মিছিল করছেন। এ সময় নেতা-কর্মীরা ‘জাতীয় পার্টি জাতীয় পার্টি, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘জি এম কাদের এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে’, ‘কে বলেরে এরশাদ নাই, এরশাদ সারা বাংলায়’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট জাপা ও গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেদিনও জাপার কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছিল। ওই ঘটনার কিছু সময় পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পিটুনিতে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক গুরুতর আহত হন। তিনি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নুরুল হকের ওপর হামলার প্রতিবাদে পরদিন ৩০ আগস্ট সন্ধ্যায় গণ অধিকার পরিষদ বিক্ষোভ মিছিল করে। তখন একদল বিক্ষোভকারী জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করেছেন। বিক্ষোভকারীরা একপর্যায়ে কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে পুলিশ এসে হামলাকারীদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয়।

শুক্রবার হামলার পর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আসেন দলটির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশে মবতন্ত্রের রাজত্ব চলছে। সরকার এর দায় এড়াতে পারে না।’ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় না আনলে দেশজুড়ে আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। হামলাকারীদের বিষয়ে শামীম হায়দার বলেন, ‘আমরা গণ অধিকার পরিষদের ব্যানারে একটি মিছিল নিয়ে এসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করতে দেখেছি। তবে মিছিলে অন্য পরিচয়ের লোকজন থাকতে পারে।’

হামলার আগে কার্যালয়ে ছিলেন জাপার যুগ্ম মহাসচিব যুবের আলম খান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামীকাল ঈদে মিলাদুন্নবী (সা)–এর দোয়া মাহফিলের আয়োজন নিয়ে আমরা কার্যালয়ে সভা করছিলাম। মাগরিবের পর হঠাৎ একটি বড় মিছিল এসে কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। প্রায় আধা ঘণ্টা পর্যন্ত তারা অগ্নিসংযোগ করে।’ এ ঘটনায় তাঁদের অন্তত চারজন নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

জাপার কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর অসংখ্য মানুষ জাপার ওপর ক্ষুব্ধ। অন্তর্বর্তী সরকার ফ্যাসিবাদের দোসর জাপাকে সুযোগ করে দিচ্ছে। বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা জাপা কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। এই বিক্ষুব্ধ মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা গণ অধিকার পরিষদের পক্ষে সম্ভব নয়। এই হামলার সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের কোনো সম্পর্ক নেই।’

এর আগে শুক্রবার বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে নুরুল হকসহ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তিসহ তিন দফা দাবিতে সমাবেশ করে গণ অধিকার অধিকার পরিষদ। তাদের বাকি দাবিগুলো হলো আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের বিচার, নিবন্ধন বাতিল ও রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। এ ছাড়া ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করতে হবে।

ওই সমাবেশ শেষে গণ অধিকার পরিষদের নেতা–কর্মীরা বিজয়নগরের কার্যালয়ে উদ্দেশে মিছিল নিয়ে রওনা হন। সেই মিছিল থেকেই জাপার কার্যালয়ে হামলা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সানা/আপ্র/০৬/০৯/২০২৫