ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
জন্মষ্টমী শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান

জাতি-ধর্মে ভেদাভেদ থাকবে না, এই দেশ সবার

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৪:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

শনিবার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে জন্মষ্টমী শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান -ছবি বাসস

নিজস্ব প্রতিবেদক: সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, এই দেশ সবার। সম্প্রীতির এই বাংলাদেশে শত শত বছর ধরে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড়ি, বাঙালি, উপজাতি সবাই মিলে অত্যন্ত শান্তিতে আমরা বসবাস করে যাচ্ছি। সবাই একসঙ্গে এই দেশে সুন্দরভাবে ও শান্তিতে বসবাস করবো। এখানে কোনো জাতি-ধর্মে ভেদাভেদ থাকবে না। সবাই আমরা এ দেশের নাগরিক। সবার অধিকার এ দেশে আছে। সেভাবেই আমরা ভবিষ্যতে আমাদের সোনালী দিনগুলো দেখতে চাই।

শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে জন্মষ্টমী জন্মষ্টমী শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আজকের এই আনন্দঘন শ্রীকৃষ্ণের হাজার হাজার ভক্ত এখানে উপস্থিত আছেন। এখানে বাদ্য বাজছে। এই আনন্দে আমাদের সঙ্গে নেওয়ায় সাধুবাদ জানাই। এই ঐতিহাসিক শুভ জন্মাষ্টমীর কেন্দ্রীয় মিছিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ করায় সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার হবে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ আমরা সব সময় বজায় রাখবো। এই দেশ সবার। অনুষ্ঠানে নৌ ও বিমান বাহিনীপ্রধানও আছেন। নবম পদাতিক ডিভিশন আছে। আমরা সবাই মিলে সব সময় আপনাদের পাশে থাকবো।

সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, সারা বাংলাদেশে সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন আছে। সশস্ত্রবাহিনী আপনাদের সঙ্গে কাজ করে যাবে। আপনারা নিশ্চিন্তে দেশে বসবাস করবেন। ধর্মীয় সব পর্ব বা অনুষ্ঠান উদযাপন করবেন। আনন্দ উদযাপন করবেন। আমরা একসঙ্গে এই আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবো। তিনি আরো বলেন, আজকের এই জন্মাষ্টমীতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের যে আদর্শ, সেই আদর্শ এখান থেকে সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ুক। এই আদর্শের ভিত্তিতে আমরা সুন্দরভাবে একসঙ্গে বাস করবো। এই আনন্দ মিছিল ১৯ ও ২০ শতকে একসময় হতো। তারপর এটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আবার শুরু হয়েছে। আশা করি এই উৎসব ও মিছিল সব সময় জারি থাকবে। সশস্ত্রবাহিনীর পক্ষ থেকে যত ধরনের সাহায্য সহযোগিতা চান, সেটা আমরা দেবো। পরে মোমবাতি জ্বালিয়ে তিন বাহিনীর প্রধান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জন্মষ্টমী শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান

জাতি-ধর্মে ভেদাভেদ থাকবে না, এই দেশ সবার

আপডেট সময় : ০৯:৩৪:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, এই দেশ সবার। সম্প্রীতির এই বাংলাদেশে শত শত বছর ধরে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড়ি, বাঙালি, উপজাতি সবাই মিলে অত্যন্ত শান্তিতে আমরা বসবাস করে যাচ্ছি। সবাই একসঙ্গে এই দেশে সুন্দরভাবে ও শান্তিতে বসবাস করবো। এখানে কোনো জাতি-ধর্মে ভেদাভেদ থাকবে না। সবাই আমরা এ দেশের নাগরিক। সবার অধিকার এ দেশে আছে। সেভাবেই আমরা ভবিষ্যতে আমাদের সোনালী দিনগুলো দেখতে চাই।

শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে জন্মষ্টমী জন্মষ্টমী শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আজকের এই আনন্দঘন শ্রীকৃষ্ণের হাজার হাজার ভক্ত এখানে উপস্থিত আছেন। এখানে বাদ্য বাজছে। এই আনন্দে আমাদের সঙ্গে নেওয়ায় সাধুবাদ জানাই। এই ঐতিহাসিক শুভ জন্মাষ্টমীর কেন্দ্রীয় মিছিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ করায় সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার হবে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ আমরা সব সময় বজায় রাখবো। এই দেশ সবার। অনুষ্ঠানে নৌ ও বিমান বাহিনীপ্রধানও আছেন। নবম পদাতিক ডিভিশন আছে। আমরা সবাই মিলে সব সময় আপনাদের পাশে থাকবো।

সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, সারা বাংলাদেশে সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন আছে। সশস্ত্রবাহিনী আপনাদের সঙ্গে কাজ করে যাবে। আপনারা নিশ্চিন্তে দেশে বসবাস করবেন। ধর্মীয় সব পর্ব বা অনুষ্ঠান উদযাপন করবেন। আনন্দ উদযাপন করবেন। আমরা একসঙ্গে এই আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবো। তিনি আরো বলেন, আজকের এই জন্মাষ্টমীতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের যে আদর্শ, সেই আদর্শ এখান থেকে সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ুক। এই আদর্শের ভিত্তিতে আমরা সুন্দরভাবে একসঙ্গে বাস করবো। এই আনন্দ মিছিল ১৯ ও ২০ শতকে একসময় হতো। তারপর এটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আবার শুরু হয়েছে। আশা করি এই উৎসব ও মিছিল সব সময় জারি থাকবে। সশস্ত্রবাহিনীর পক্ষ থেকে যত ধরনের সাহায্য সহযোগিতা চান, সেটা আমরা দেবো। পরে মোমবাতি জ্বালিয়ে তিন বাহিনীর প্রধান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।