ঢাকা ০২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫

জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশ :দেশের স্টার্টআপগুলো ৪৫৯ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পেয়েছে

  • আপডেট সময় : ১০:১৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট (এসইএআর) প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। গত মঙ্গলবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে সংস্থাটির এশিয়া প্রশান্তমহাসগরীয় অঞ্চলের ইকোনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন (ইউএনইএসসিএপি) এবং হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের যৌথ অংশীদারিত্বে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি, বর্তমান পরিস্থিতি এবং দেশে স্টার্ট-আপ সংস্কৃতিবান্ধব নীতি ও বাংলাদেশের ডিজিটাল ভবিষ্যতের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনার বিশ্লেষণ ও পূর্ণাঙ্গ ধারণা প্রকাশ পেয়েছে। প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমে সরকারি ও বেসরকারি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে একাধিক সংলাপ, বিস্তৃত তথ্য পর্যালোচনা, সাক্ষাৎকার এবং বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ অর্থনীতিতে প্রধান অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমের এই ব্যাপক মূল্যায়ন পরিচালনা করেছে ইএসসিএপি (স্ক্যাপ)। বিদ্যমান পরিস্থিতির মধ্যে যে শূন্যতা রয়েছে তা বিশ্লেষণ করে প্রাসঙ্গিক সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তাগুলো মূল্যায়ন করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের স্টার্টআপগুলো ৪৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ প্রাপ্তিকে স্বাভাবিক ফল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে জেন্ডার লেন্স ইনভেস্টমেন্ট (জিএলআই) সম্পর্কে একটি বিশেষ অনুসন্ধানও রয়েছে।

নারী স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠাতা এবং উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জের ওপর আলোকপাত করার অপরিহার্যতা তুলে ধরে তাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি এবং ব্যবসায়িক অনুশীলনের প্রয়োজনীয়তা ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নকে অবিস্মণীয় উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির অসাধারণ সাফল্যের পর এবার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নিজেদের মানিয়ে নিতে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প গ্রহণ করেছি। এই রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশে একটি প্রাণবন্ত স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা হচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ আয়ের ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপকল্প বাস্তবায়িত হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের উদ্যোক্তারা ইকোসিস্টেমে দেশেই উদ্ভাবনী সমাধান এবং সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে হাজার হাজার স্টার্টআপ গড়ে তুলবে। যা মানুষের জীবনে অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে। এর ফলশ্রুতিতে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে অন্তত পাঁচটি ইউনিকর্ন দেখতে আশাবাদী।

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল এবং নির্বাহী সেক্রেটারি আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাহবানা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে উদ্ভাবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে স্টার্টআপ। যেহেতু বাংলাদেশের স্টার্টআপ সম্প্রদায় বিভিন্ন সেক্টরে অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধির অভিজ্ঞতা অর্জন করছে, তাই এই বৃদ্ধিকে টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে সমর্থন করার জন্য সামগ্রিক ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার এখনই সঠিক সময়।

থাইল্যান্ডের ইউএনইএসসিএপি অফিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ইউএনইএসসিএপি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশ :দেশের স্টার্টআপগুলো ৪৫৯ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পেয়েছে

আপডেট সময় : ১০:১৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক : বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট (এসইএআর) প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। গত মঙ্গলবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে সংস্থাটির এশিয়া প্রশান্তমহাসগরীয় অঞ্চলের ইকোনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন (ইউএনইএসসিএপি) এবং হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের যৌথ অংশীদারিত্বে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি, বর্তমান পরিস্থিতি এবং দেশে স্টার্ট-আপ সংস্কৃতিবান্ধব নীতি ও বাংলাদেশের ডিজিটাল ভবিষ্যতের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনার বিশ্লেষণ ও পূর্ণাঙ্গ ধারণা প্রকাশ পেয়েছে। প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমে সরকারি ও বেসরকারি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে একাধিক সংলাপ, বিস্তৃত তথ্য পর্যালোচনা, সাক্ষাৎকার এবং বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ অর্থনীতিতে প্রধান অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমের এই ব্যাপক মূল্যায়ন পরিচালনা করেছে ইএসসিএপি (স্ক্যাপ)। বিদ্যমান পরিস্থিতির মধ্যে যে শূন্যতা রয়েছে তা বিশ্লেষণ করে প্রাসঙ্গিক সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তাগুলো মূল্যায়ন করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের স্টার্টআপগুলো ৪৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ প্রাপ্তিকে স্বাভাবিক ফল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে জেন্ডার লেন্স ইনভেস্টমেন্ট (জিএলআই) সম্পর্কে একটি বিশেষ অনুসন্ধানও রয়েছে।

নারী স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠাতা এবং উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জের ওপর আলোকপাত করার অপরিহার্যতা তুলে ধরে তাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি এবং ব্যবসায়িক অনুশীলনের প্রয়োজনীয়তা ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নকে অবিস্মণীয় উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির অসাধারণ সাফল্যের পর এবার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নিজেদের মানিয়ে নিতে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প গ্রহণ করেছি। এই রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশে একটি প্রাণবন্ত স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা হচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ আয়ের ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপকল্প বাস্তবায়িত হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের উদ্যোক্তারা ইকোসিস্টেমে দেশেই উদ্ভাবনী সমাধান এবং সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে হাজার হাজার স্টার্টআপ গড়ে তুলবে। যা মানুষের জীবনে অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে। এর ফলশ্রুতিতে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে অন্তত পাঁচটি ইউনিকর্ন দেখতে আশাবাদী।

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল এবং নির্বাহী সেক্রেটারি আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাহবানা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে উদ্ভাবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে স্টার্টআপ। যেহেতু বাংলাদেশের স্টার্টআপ সম্প্রদায় বিভিন্ন সেক্টরে অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধির অভিজ্ঞতা অর্জন করছে, তাই এই বৃদ্ধিকে টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে সমর্থন করার জন্য সামগ্রিক ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার এখনই সঠিক সময়।

থাইল্যান্ডের ইউএনইএসসিএপি অফিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ইউএনইএসসিএপি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।