ঢাকা ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

জর্জিয়াকে উড়িয়ে জয়ে ফিরল স্পেন

  • আপডেট সময় : ১০:৫৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ২৮ বছর পর হারের তেতো অভিজ্ঞতা হয়েছিল আগের ম্যাচে। তা ভুলতেই যেন তলানির দল জর্জিয়ার ওপর চড়াও হলো স্পেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষের ওপর ছড়ি ঘোরাল তারা। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জয়ে ফেরার সঙ্গে গ্রুপে শীর্ষেও ফিরল লুইস এনরিকের দল। নিজেদের মাঠ নুয়েভো ভিভেরোয় রোববার রাতে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ৪-০ গোলে জিতেছে স্পেন। ৫ ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে উঠে এসেছে ২০১০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। স্পেন জিতলেও গ্রুপ পেরিয়ে সরাসরি কাতার বিশ্বকাপে যাওয়ার দৌড়ে ভালো অবস্থায় আছে সুইডেনও। তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে সুইডিশরা। আগের ম্যাচে সুইডেনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রায় তিন দশক পর প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছিল স্পেন, ২-১ গোলে হেরেছিল তারা। প্রথমার্ধে ৭৬ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে ১১টি শট নেয় স্পেন। যার ছয়টি ছিল লক্ষ্যে। এর মধ্যে তিনটি থেকে গোল পায় তারা। আরও একবার বল জালে জড়ালেও হ্যান্ডবলের কারণে হয়নি গোল।
চতুর্দশ মিনিটে এগিয়ে যায় স্পেন। ভালেন্সিয়ার ডিফেন্ডার হোসে গায়ার বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে অনেকটা দিক পাল্টে জালে জড়ায়। জর্জিয়ার রক্ষণে বারবার হানা দেওয়া স্পেন ২৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা মার্কোস ইয়োরেন্তে বাইলাইন থেকে কাট ব্যাক করেন। নিখুঁত টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন পেছনে থাকা কার্লোস সলের। এ নিয়ে স্পেনের হয়ে দুই ম্যাচেই গোল পেলেন সলের। সুইডেনের বিপক্ষে হেরে যাওয়া ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল ভালেন্সিয়ার এই মিডফিল্ডারের। গোল পেলেও অভিষেকটা জয়ের রঙে রাঙাতে পারেননি তিনি। ৩৩তম মিনিটে সতীর্থের আড়াআড়ি ক্রস থেকে গায়া ভলিতে আবারও জাল খুঁজে নেন। কিন্তু হ্যান্ডবলের কারণে গোল হয়নি। তবে প্রথমার্ধের শেষ দিক ফেররান তরেসের গোলে ঠিকই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ মুঠোয় নেয় স্পেন। প্রথমার্ধে প্রায় পুরোটা খেলা হয় জর্জিয়ার অর্ধে। বিরতির পর প্রায় একই ধারায় চলতে থাকে ম্যাচ। তবে স্পেনের খেলার গতি ও আক্রমণের ধার কমে কিছুটা। গোলের জন্যও তেমন একটা মরিয়া দেখা যায়নি তাদের। এরই মধ্যে ৬৩তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান পাবলো সারাবিয়া। পাবলো ফোরনালসের বাড়ানো বলে পিএসজি ফরোয়ার্ডের নিখুঁত কোনাকুনি শট চোখের পলকে জালে জড়ায়। জর্জিয়া গোলরক্ষকের কিছু করার ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে সারাবারি আবারও লক্ষ্যভেদের উদযাপনে মেতেছিলেন। কিন্তু ভিএআরে অফসাইড ধরা পড়ায় গোল হয়নি। তবে ঠিকই সারাবিয়া-গায়ারা কোচের কথা রেখেছেন। সুইডেনের কাছে হারের পর স্পেন কোচ এনরিকে বলেছিলেন বিশ্বকাপ ভাগ্য এখনও তাদের হাতেই রয়েছে। জর্জিয়াকে উড়িয়ে কিছুটা হলেও তা নিজেদের হাতেই রাখল তারা। বাছাইপর্বে প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দলই কেবল সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল সুযোগ পাবে প্লে-অফ উতরে কাতারে যাওয়ার। এই পথ অবশ্য মোটেও সহজ হবে না। গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে ১০ দলের সঙ্গে যুক্ত হবে নেশন্স লিগের দুই সেরা দল। এই ১২ দলের কেবল তিনটি যাবে চূড়ান্ত পর্বে। গ্রুপের অন্য ম্যাচে কসোভো ও গ্রিস ১-১ ড্র করেছে। ৩ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রিস চতুর্থ এবং এক ম্যাচ বেশি খেলা কসোভো ৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জর্জিয়াকে উড়িয়ে জয়ে ফিরল স্পেন

আপডেট সময় : ১০:৫৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ২৮ বছর পর হারের তেতো অভিজ্ঞতা হয়েছিল আগের ম্যাচে। তা ভুলতেই যেন তলানির দল জর্জিয়ার ওপর চড়াও হলো স্পেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষের ওপর ছড়ি ঘোরাল তারা। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জয়ে ফেরার সঙ্গে গ্রুপে শীর্ষেও ফিরল লুইস এনরিকের দল। নিজেদের মাঠ নুয়েভো ভিভেরোয় রোববার রাতে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ৪-০ গোলে জিতেছে স্পেন। ৫ ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে উঠে এসেছে ২০১০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। স্পেন জিতলেও গ্রুপ পেরিয়ে সরাসরি কাতার বিশ্বকাপে যাওয়ার দৌড়ে ভালো অবস্থায় আছে সুইডেনও। তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে সুইডিশরা। আগের ম্যাচে সুইডেনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রায় তিন দশক পর প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছিল স্পেন, ২-১ গোলে হেরেছিল তারা। প্রথমার্ধে ৭৬ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে ১১টি শট নেয় স্পেন। যার ছয়টি ছিল লক্ষ্যে। এর মধ্যে তিনটি থেকে গোল পায় তারা। আরও একবার বল জালে জড়ালেও হ্যান্ডবলের কারণে হয়নি গোল।
চতুর্দশ মিনিটে এগিয়ে যায় স্পেন। ভালেন্সিয়ার ডিফেন্ডার হোসে গায়ার বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে অনেকটা দিক পাল্টে জালে জড়ায়। জর্জিয়ার রক্ষণে বারবার হানা দেওয়া স্পেন ২৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা মার্কোস ইয়োরেন্তে বাইলাইন থেকে কাট ব্যাক করেন। নিখুঁত টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন পেছনে থাকা কার্লোস সলের। এ নিয়ে স্পেনের হয়ে দুই ম্যাচেই গোল পেলেন সলের। সুইডেনের বিপক্ষে হেরে যাওয়া ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল ভালেন্সিয়ার এই মিডফিল্ডারের। গোল পেলেও অভিষেকটা জয়ের রঙে রাঙাতে পারেননি তিনি। ৩৩তম মিনিটে সতীর্থের আড়াআড়ি ক্রস থেকে গায়া ভলিতে আবারও জাল খুঁজে নেন। কিন্তু হ্যান্ডবলের কারণে গোল হয়নি। তবে প্রথমার্ধের শেষ দিক ফেররান তরেসের গোলে ঠিকই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ মুঠোয় নেয় স্পেন। প্রথমার্ধে প্রায় পুরোটা খেলা হয় জর্জিয়ার অর্ধে। বিরতির পর প্রায় একই ধারায় চলতে থাকে ম্যাচ। তবে স্পেনের খেলার গতি ও আক্রমণের ধার কমে কিছুটা। গোলের জন্যও তেমন একটা মরিয়া দেখা যায়নি তাদের। এরই মধ্যে ৬৩তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান পাবলো সারাবিয়া। পাবলো ফোরনালসের বাড়ানো বলে পিএসজি ফরোয়ার্ডের নিখুঁত কোনাকুনি শট চোখের পলকে জালে জড়ায়। জর্জিয়া গোলরক্ষকের কিছু করার ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে সারাবারি আবারও লক্ষ্যভেদের উদযাপনে মেতেছিলেন। কিন্তু ভিএআরে অফসাইড ধরা পড়ায় গোল হয়নি। তবে ঠিকই সারাবিয়া-গায়ারা কোচের কথা রেখেছেন। সুইডেনের কাছে হারের পর স্পেন কোচ এনরিকে বলেছিলেন বিশ্বকাপ ভাগ্য এখনও তাদের হাতেই রয়েছে। জর্জিয়াকে উড়িয়ে কিছুটা হলেও তা নিজেদের হাতেই রাখল তারা। বাছাইপর্বে প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দলই কেবল সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল সুযোগ পাবে প্লে-অফ উতরে কাতারে যাওয়ার। এই পথ অবশ্য মোটেও সহজ হবে না। গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে ১০ দলের সঙ্গে যুক্ত হবে নেশন্স লিগের দুই সেরা দল। এই ১২ দলের কেবল তিনটি যাবে চূড়ান্ত পর্বে। গ্রুপের অন্য ম্যাচে কসোভো ও গ্রিস ১-১ ড্র করেছে। ৩ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রিস চতুর্থ এবং এক ম্যাচ বেশি খেলা কসোভো ৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে।