ঢাকা ০১:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

জরিফ শেখের ‘অভিনব’ স্বাদের পটল মিষ্টি

  • আপডেট সময় : ০১:৫১:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩
  • ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক:বাঙালির ভোজ কিংবা উৎসবে মিষ্টি ছাড়া চলে না। কালোজাম, রসমালাই, মালাইকারী, চমচম, রসগোল্লা মিষ্টির বাহারী সব নাম! এগুলো স্বাদেও ভিন্ন। এই নমগুলোর সঙ্গে কমবেশি সবাই পরিচিত। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয় পটলের মিষ্টি খেয়েছেন কি? ভাবছেন এ আবার কেমন মিষ্টি? শুধু কি নামেমাত্র পটল? তা নয়। এই মিষ্টি বানানো হয় পটল দিয়ে।
পটলের মতো একটি সবজি দিয়ে মিষ্টি বানিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন গাইবান্ধার ব্যবসায়ী জরিফ শেখ। তিনি এই রেসিপির উদ্ভাবক। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর এলাকায় শেখ দই ঘরে দেখা মিলবে এই পটল মিষ্টির। এই মিষ্টি বানানোর জন্য প্রথমে পটল ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। পটলের ভেতরে থাকা বিচি ফেলে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর পুরো পটলের শরীর কাটা চামচ দিয়ে ছিদ্র করে চুলায় সেদ্ধ করতে হবে। এবার পটলগুলো চিনির সিরায় জ্বাল দিতে হবে। সবশেষে সিরা থেকে তুলে পটলের ভেতরে গুজে দিতে হবে মিষ্টির বিভিন্ন উপকরণ। দুধের ছানা, ভাজা মাওয়া, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম, কাঠ বাদামসহ অন্যান্য উপকরণের মিশ্রণও দিতে পারেন। ব্যস হয়ে গেল পটল মিষ্টি।

জরিফ শেখ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রথমে পরিবারের বাচ্চাদের জন্য বানিয়েছিলাম। সবাই খেয়ে প্রশংসা করলে দোকানে বিক্রি শুরু করি। দিন দিন পটল মিষ্টির চাহিদা বাড়ছে। জেলার মানুষ তো বটেই এখন বিভিন্ন জায়গা থেকে খেতে আসছেন অনেকেই।
মিষ্টি খেতে আসা আরিফ বলেন, আমরা খবর শুনে এই মিষ্টি খেতে এসেছি-ভালোই লাগছে। অন্যান্য মিষ্টির চেয়ে স্বাদে আলাদা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই মিষ্টি খেয়ে গৌতম নামে একজন লিখেছেন, ‘সাদুল্লাপুরের শেখ দই ঘর। পটল দিয়ে মিষ্টি তৈরি করেছে, যার স্বাদ অসাধারণ। আজ সুযোগ হলো স্বাদ নেওয়ার।’ জরিফের শেখ দই ঘরে পটল মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জরিফ শেখের ‘অভিনব’ স্বাদের পটল মিষ্টি

আপডেট সময় : ০১:৫১:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক:বাঙালির ভোজ কিংবা উৎসবে মিষ্টি ছাড়া চলে না। কালোজাম, রসমালাই, মালাইকারী, চমচম, রসগোল্লা মিষ্টির বাহারী সব নাম! এগুলো স্বাদেও ভিন্ন। এই নমগুলোর সঙ্গে কমবেশি সবাই পরিচিত। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয় পটলের মিষ্টি খেয়েছেন কি? ভাবছেন এ আবার কেমন মিষ্টি? শুধু কি নামেমাত্র পটল? তা নয়। এই মিষ্টি বানানো হয় পটল দিয়ে।
পটলের মতো একটি সবজি দিয়ে মিষ্টি বানিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন গাইবান্ধার ব্যবসায়ী জরিফ শেখ। তিনি এই রেসিপির উদ্ভাবক। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর এলাকায় শেখ দই ঘরে দেখা মিলবে এই পটল মিষ্টির। এই মিষ্টি বানানোর জন্য প্রথমে পটল ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। পটলের ভেতরে থাকা বিচি ফেলে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর পুরো পটলের শরীর কাটা চামচ দিয়ে ছিদ্র করে চুলায় সেদ্ধ করতে হবে। এবার পটলগুলো চিনির সিরায় জ্বাল দিতে হবে। সবশেষে সিরা থেকে তুলে পটলের ভেতরে গুজে দিতে হবে মিষ্টির বিভিন্ন উপকরণ। দুধের ছানা, ভাজা মাওয়া, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম, কাঠ বাদামসহ অন্যান্য উপকরণের মিশ্রণও দিতে পারেন। ব্যস হয়ে গেল পটল মিষ্টি।

জরিফ শেখ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রথমে পরিবারের বাচ্চাদের জন্য বানিয়েছিলাম। সবাই খেয়ে প্রশংসা করলে দোকানে বিক্রি শুরু করি। দিন দিন পটল মিষ্টির চাহিদা বাড়ছে। জেলার মানুষ তো বটেই এখন বিভিন্ন জায়গা থেকে খেতে আসছেন অনেকেই।
মিষ্টি খেতে আসা আরিফ বলেন, আমরা খবর শুনে এই মিষ্টি খেতে এসেছি-ভালোই লাগছে। অন্যান্য মিষ্টির চেয়ে স্বাদে আলাদা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই মিষ্টি খেয়ে গৌতম নামে একজন লিখেছেন, ‘সাদুল্লাপুরের শেখ দই ঘর। পটল দিয়ে মিষ্টি তৈরি করেছে, যার স্বাদ অসাধারণ। আজ সুযোগ হলো স্বাদ নেওয়ার।’ জরিফের শেখ দই ঘরে পটল মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি।