ঢাকা ০৭:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয় দিয়ে বিপিএল শুরু বরিশালের

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক: ইয়াসির আলী রাব্বির ৪৭ বলে খেলা ৯৪ রানের দুর্দান্ত স্কোর ম্লান হয়ে গেলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং ফাহিম আশরাফের ঝড়ের সামনে। বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের সামনে ১৯৮ রানের বিশাল লক্ষ্য বেধে দিয়েছিলো নবাগত দূর্বার রাজশাহী। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে কোনঠাসা ছিল ফরচুন বরিশাল। দলের দুই সেরা ব্যাটার, ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তামিম ইকবাল চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিলেও সপ্তম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং পাকিস্তানি রিক্রুট ফাহিম আশরাফের দুটি ঝোড়ো ফিফটিতে ১১ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বরিশাল।
১৯তম ওভারের প্রথম বলে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েই বরিশালের ৪ উইকেটে জয় নিশ্চিত করেন ফাহিম আশরাফ। ২১ বলে ১ বাউন্ডারি এবং ৭ ছক্কায় ৫৪ রান করেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২৬ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় করেন ৫৬ রান। ফাহিম আশরাফ শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক ছক্কা হাঁকান। ১৭তম ওভারে শ্রীলঙ্কান বোলার লাহিরু সামারাকুনের কাছ থেকে ২৫ রান নেয় বরিশাল। এর মধ্যে ২৪ রানই আসে আশরাফের ব্যাট থেকে।

এর আগের ওভারেই মৃত্যুঝঞ্জয় চৌধুরীকে পিটিয়ে ১৯ রান নেন রিয়াদ এবং ফাহিম। যার মধ্যে ১৬ রানই ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন বরিশালের জয়ে দুর্দান্ত অবদান রাখায় ম্যাচ সেরার পুরস্কার দেয়া হয় মাহমুদউল্লাহকেই। ১৯৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর প্রথম বলেই এলবিডব্লিউর শিকার হন নাজমুল হোসেন শান্ত। দীর্ঘদিন ইনজুরিতে থাকার পর এনসিএল দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন শান্ত। যেখানে দুটি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংসও খেলেছিলেন তিনি; কিন্তু বিপিএলের প্রথম ম্যাচে প্রথম বলেই জিসান আলমের শিকার হয়ে গোল্ডেন ডাক মারলেন তিনি।
অধিনায়ক তামিম ইকবালের আত্মবিশাস ছিল এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ভালো খেলার কারণে; আজও তিনি ব্যাট করতে নেমে একটি ছক্কা হাঁকান; কিন্তু ৬ বল খেলার পরই সপ্তম বলে গিয়ে তাসকিন আহমেদের বলে লেগ বিফোর হয়ে গেলেন।

ক্যারিবীয় ব্যাটার কাইল মায়ার্সও দিলেন ব্যর্থতার পরিচয়। ৫ বলে ৬ রান করে তাসকিনের বলে আউট হয়ে যান। ৩০ রান পড়লো ৩ উইকেট। এরপর মুশফিকুর রহিম এবং তাওহিদ হৃদয় মিলে দায়িত্ব নেন বরিশালের ইনিংস গড়ার। কিন্তু দলীয় ৫১ রানে বিদায় নেন মুশফিকুর রহিমের মত অভিজ্ঞ ব্যাটারও। ১১ বলে ১৩ রান করেন তিনি। তাওহিদ হৃদয় ২৩ বলে ৩২ রান করে আউট হন দলীয় ৬১ রানের মাথায়।

এরপর হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং শাহিন শাহ আফ্রিদি। দু’জন মিলে বরিশালের স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৬১ রান। শাহিন শাহ আফ্রিদি গুরুত্বপূর্ণ একটি জুটি গড়ে দিয়ে যান। ১৭ বলে ২৭ রান করে আউট হন তিনি। এরপরের কাজটা করে ফেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং ফাহিম আশরাফ। দূর্বার রাজশাহীর তাসকিন আহমেদ ৩ উইকেট নিলেও দলকে জেতাতে পারলেন না।

হাসান মুরাদ নেন ২ উইকেট। লঙ্কান বোলার লাহিরু সামারাকুন ৪ ওভারে ১৬ রান করে দেন ৬৪ রান। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইয়াসির আলী রাব্বির ৪৭ বলে অপরাজিত ৯৪ এবং এনামুল হক বিজয়ের ৬৫ রানের ওপর ভর করে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান সংগ্রহ করেছিলো দূর্বার রাজশাহী।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জয় দিয়ে বিপিএল শুরু বরিশালের

আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

ক্রীড়া প্রতিবেদক: ইয়াসির আলী রাব্বির ৪৭ বলে খেলা ৯৪ রানের দুর্দান্ত স্কোর ম্লান হয়ে গেলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং ফাহিম আশরাফের ঝড়ের সামনে। বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের সামনে ১৯৮ রানের বিশাল লক্ষ্য বেধে দিয়েছিলো নবাগত দূর্বার রাজশাহী। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে কোনঠাসা ছিল ফরচুন বরিশাল। দলের দুই সেরা ব্যাটার, ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তামিম ইকবাল চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিলেও সপ্তম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং পাকিস্তানি রিক্রুট ফাহিম আশরাফের দুটি ঝোড়ো ফিফটিতে ১১ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বরিশাল।
১৯তম ওভারের প্রথম বলে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েই বরিশালের ৪ উইকেটে জয় নিশ্চিত করেন ফাহিম আশরাফ। ২১ বলে ১ বাউন্ডারি এবং ৭ ছক্কায় ৫৪ রান করেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২৬ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় করেন ৫৬ রান। ফাহিম আশরাফ শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক ছক্কা হাঁকান। ১৭তম ওভারে শ্রীলঙ্কান বোলার লাহিরু সামারাকুনের কাছ থেকে ২৫ রান নেয় বরিশাল। এর মধ্যে ২৪ রানই আসে আশরাফের ব্যাট থেকে।

এর আগের ওভারেই মৃত্যুঝঞ্জয় চৌধুরীকে পিটিয়ে ১৯ রান নেন রিয়াদ এবং ফাহিম। যার মধ্যে ১৬ রানই ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন বরিশালের জয়ে দুর্দান্ত অবদান রাখায় ম্যাচ সেরার পুরস্কার দেয়া হয় মাহমুদউল্লাহকেই। ১৯৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর প্রথম বলেই এলবিডব্লিউর শিকার হন নাজমুল হোসেন শান্ত। দীর্ঘদিন ইনজুরিতে থাকার পর এনসিএল দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন শান্ত। যেখানে দুটি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংসও খেলেছিলেন তিনি; কিন্তু বিপিএলের প্রথম ম্যাচে প্রথম বলেই জিসান আলমের শিকার হয়ে গোল্ডেন ডাক মারলেন তিনি।
অধিনায়ক তামিম ইকবালের আত্মবিশাস ছিল এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ভালো খেলার কারণে; আজও তিনি ব্যাট করতে নেমে একটি ছক্কা হাঁকান; কিন্তু ৬ বল খেলার পরই সপ্তম বলে গিয়ে তাসকিন আহমেদের বলে লেগ বিফোর হয়ে গেলেন।

ক্যারিবীয় ব্যাটার কাইল মায়ার্সও দিলেন ব্যর্থতার পরিচয়। ৫ বলে ৬ রান করে তাসকিনের বলে আউট হয়ে যান। ৩০ রান পড়লো ৩ উইকেট। এরপর মুশফিকুর রহিম এবং তাওহিদ হৃদয় মিলে দায়িত্ব নেন বরিশালের ইনিংস গড়ার। কিন্তু দলীয় ৫১ রানে বিদায় নেন মুশফিকুর রহিমের মত অভিজ্ঞ ব্যাটারও। ১১ বলে ১৩ রান করেন তিনি। তাওহিদ হৃদয় ২৩ বলে ৩২ রান করে আউট হন দলীয় ৬১ রানের মাথায়।

এরপর হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং শাহিন শাহ আফ্রিদি। দু’জন মিলে বরিশালের স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৬১ রান। শাহিন শাহ আফ্রিদি গুরুত্বপূর্ণ একটি জুটি গড়ে দিয়ে যান। ১৭ বলে ২৭ রান করে আউট হন তিনি। এরপরের কাজটা করে ফেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং ফাহিম আশরাফ। দূর্বার রাজশাহীর তাসকিন আহমেদ ৩ উইকেট নিলেও দলকে জেতাতে পারলেন না।

হাসান মুরাদ নেন ২ উইকেট। লঙ্কান বোলার লাহিরু সামারাকুন ৪ ওভারে ১৬ রান করে দেন ৬৪ রান। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইয়াসির আলী রাব্বির ৪৭ বলে অপরাজিত ৯৪ এবং এনামুল হক বিজয়ের ৬৫ রানের ওপর ভর করে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান সংগ্রহ করেছিলো দূর্বার রাজশাহী।