ক্রীড়া প্রতিবেদক : পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে। শীর্ষে ভারত এবং তৃতীয় স্থানে নেপাল। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার দুয়ার খোলা তিন দলের সামনে। তবে শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষের বিবেচনায় ভারত ও নেপালের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও মানছেন তা। তবে ড্র যথেষ্ট হলেও তার মনোযোগ পুরো ৩ পয়েন্ট পাওয়ার দিকে। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাউন্ড রবিন লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে ভূটানের। একই দিন লড়বে ভারত ও নেপাল। প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-২০ বছর বয়সী মেয়েদের নিয়ে আয়োজিত এ আসরে ভূটানকে ১২-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। উদ্বোধনী দিনে নেপালের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত-বাংলাদেশ করে গোলশূন্য ড্র। ভুটানকে ৪-০ গোলে হারায় নেপাল। দুই রাউন্ড শেষে ভারত ও বাংলাদেশের পয়েন্ট ৪ করে। গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকে শীর্ষে ভারত। ৩ পয়েন্ট নেপালের। টানা দুই হারে এরই মধ্যে ছিটকে গেছে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ‘দুর্বল’ দল ভূটান। রাউন্ড রবিন লিগে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পাওয়া দুই দল আগামী ৯ ফেব্রুয়ারির ফাইনালে মুখোমুখি হবে।
ভারতের জামশেদপুরে গত বছর অনুর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সীদের নিয়ে হওয়া এ আসরে লড়াই জমেছিল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে। সমান ৯ করে পয়েন্ট নিয়ে রাউন্ড রবিন লিগ শেষ করেছিল দুই দল। ফাইনাল না থাকায় রাউন্ড রবিন লিগের পয়েন্ট সমান হলেও গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত; রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ। গত আসরে চার ম্যাচের সবগুলো হেরেছিল নেপাল। কিন্তু এবার দলটি অতটা দূর্বল নয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে হারলেও ভূটানের বিপক্ষে জিতে আশা বাঁচিয়ে রেখেছে তারা। তবে তৃতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ ভারত হওয়ায় ফাইনালের পথটা ‘হিমালয়ের কন্যা’দের জন্য কঠিনই। সে তুলনায় শামসুন্নাহার-আকলিমাদের আসছে ম্যাচের প্রতিপক্ষ দুই ম্যাচে ১৬ গোল হজম করা ভূটান। এ ম্যাচে ড্র করলেই ফাইনাল খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের। হেরে গেলেও সুযোগ থাকবে ছোটনের দলের। তবে তার চাওয়া জয়ের সুবাস মেখে ফাইনালের মঞ্চে ওঠার। “যদিও ভূটান টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে, দুই ম্যাচে অনেক গোল (১৬টি) খেয়েছে, কিন্তু ওদেরকে আমরা হালকাভাবে নিচ্ছি না। ফুটবলে যে কোনো কিছুই হতে পারে। তাই এ ম্যাচটিও আমরা গুরুত্ব দিয়ে নিচ্ছি।” “শুরুতেই আমরা দুটি কঠিন ম্যাচ (নেপাল ও ভারত) খেলে ফেলেছি। যদিও ভূটানের বিপক্ষে ১ পয়েন্ট পেলে আমরা ফাইনালে উঠব, কিন্তু আমরা চাই এ ম্যাচ জিততে। গত দুই ম্যাচে মেয়েরা ভালো পারফর্ম করেছে। এবার চাওয়া জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে ফাইনালে ওঠা।” অন্যদিকে নেপালের বিপক্ষে ড্র যথেষ্ঠ ভারতের জন্যও। ফাইনালের মঞ্চে উঠতে নেপালের সামনে জয়ের বিকল্প নেই। এই দুই দলের ম্যাচে নেপালের ভালো সম্ভাবনাও দেখছেন ছোটন। “জামশেদপুরে নেপালের যে দলটি খেলেছিল, তার চেয়ে বর্তমান দলটি বেশ ভালো। প্রীতি রায়, মানমায়া দেমাই-ওরা আগের চেয়ে আরও পরিণত হয়েছে। ভারত এগিয়ে থাকবে, কিন্তু নেপালের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।” “তবে ভারত-নেপাল ম্যাচ নয়, আমাদের ভাবনা নিজেদের ম্যাচ নিয়ে। দলে কারো বড় কোনো চোট সমস্যা নেই, এটা আমাদের জন্য ভালো দিক। গত দুই ম্যাচের মতো মেয়েরা আশা করি ভূটানের বিপক্ষেও সহজাত খেলা খেলবে এবং ভালো ফল নিয়ে রাউন্ড রবিন লিগ শেষ করবে। এরপর ফাইনাল নিয়ে ভাবব আমরা।”
জয়ই লক্ষ্য বাংলাদেশের
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ