ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

জমে উঠছে খুলনার ঈদবাজার

  • আপডেট সময় : ১২:০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

খুলনা সংবাদদাতা : পবিত্র মাহে রমজানের মধ্যদশক চলছে। গত ১৫ দিনে খুলনার বিপণী বিতানগুলোতে ঈদের আমেজ বোঝা যায়নি। তবে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ছুটির দিনে ঈদের আমেজ ফিরে আসে খুলনার বিপণী বিতানগুলোতে। মহান স্বাধীনতা দিবসের ছুটিতে প্রচ- খরতাপের মধ্যেই শপিংয়ে ছোটেন ক্রেতারা। তীব্র গরমের মধ্যেও ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় হাসিমুখে সামলে চলেছেন বিক্রেতারা। ক্রেতার মুখে কষ্টের ছাপ থাকলেও বিক্রেতার মুখে তার লেশমাত্র নেই। মঙ্গলবার খুলনা মহানগরীর বড় বাজার এলাকার ডাকবাংলো মোড়ের খাজা খানজাহান আলী হকার্স মার্কেট, মশিউর রহমান বিতান, রব সুপার মার্কেট, সোহরাওয়ার্দী বিপণীবিতান, নিক্সন মার্কেট, জলিল টাওয়ার মার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সবগুলো মার্কেটে ক্রেতার উপচেপড়া ভিড়। তৈরি পোশাক ও ছিট-কাপড়ের দোকানগুলো তিল ধারণেরও ঠাঁই ছিল না এদিন। নগরীর মশিউর রহমান মার্কেটের ছিট-কাপড়ের দোকানগুলোতে দেখা যায় প্রচ- ভিড়। বিক্রেতারা খুব খুশিমনে চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছেন ক্রেতাদের। এক কাপড় একাধিকবার দেখতে চাইলেও একটুও বিরক্তিবোধ নেই কোনো বিক্রেতার। মার্কেটে কাপড় কিনতে আসা কলেজছাত্রী রাফিয়া বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটির দিন। স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ দেখে মাকে নিয়ে বাজারে চলে এসেছি। মনে করেছিলাম আজ বাজার ফাঁকা পাওয়া যাবে, কিন্তু সেই ধারণা ভুল। বাজারে পা রাখার জায়গাও নেই। একই বাজারের দোকানী আবুল হোসেন বলেন, গত ১৪ দিনে যে বেচাকেনা হয়েছে, আজ তার চেয়ে বেশি হয়েছে। এখন থেকে ঈদের বেচাকেনা বাড়তে থাকবে। খুলনা শপিং কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় সেখানেও ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। কৃষি মার্কেট শীতোতাপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় খরতাপে থাকা ক্রেতারা একটু শীতল হওয়ার জন্য ঢুকছেন এই মার্কেটে। আর ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার জন্য এই মার্কেটের প্রায় সব দোকানেই আকর্ষণীয় পোশাকগুলো প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে। এদিকে ডাকবাংলা মোড়ের জুতার দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। ডাকবাংলা মোড়ের জুতার দোকানে জুতা কিনতে এসেছেন গৃহবধূ মোসলেমা বেগম ও তার দুই ছেলে। মোসলেমা বেগম বলেন, দুই ছেলের লেখাপড়ার মাঝখানে একদিন ছুটি পাওয়া গেছে। ছুটি কাজে লাগানোর জন্যই তাদেরকে নিয়ে জুতা কিনতে এসেছি। তিনি আরও বলেন, জুতা কেনা হলে আমরা একটু বড় বাজারের দিকে যাবো, সেখান থেকে ঈদের জন্য কিছু কেনাকাটা করবো।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

জমে উঠছে খুলনার ঈদবাজার

আপডেট সময় : ১২:০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

খুলনা সংবাদদাতা : পবিত্র মাহে রমজানের মধ্যদশক চলছে। গত ১৫ দিনে খুলনার বিপণী বিতানগুলোতে ঈদের আমেজ বোঝা যায়নি। তবে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ছুটির দিনে ঈদের আমেজ ফিরে আসে খুলনার বিপণী বিতানগুলোতে। মহান স্বাধীনতা দিবসের ছুটিতে প্রচ- খরতাপের মধ্যেই শপিংয়ে ছোটেন ক্রেতারা। তীব্র গরমের মধ্যেও ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় হাসিমুখে সামলে চলেছেন বিক্রেতারা। ক্রেতার মুখে কষ্টের ছাপ থাকলেও বিক্রেতার মুখে তার লেশমাত্র নেই। মঙ্গলবার খুলনা মহানগরীর বড় বাজার এলাকার ডাকবাংলো মোড়ের খাজা খানজাহান আলী হকার্স মার্কেট, মশিউর রহমান বিতান, রব সুপার মার্কেট, সোহরাওয়ার্দী বিপণীবিতান, নিক্সন মার্কেট, জলিল টাওয়ার মার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সবগুলো মার্কেটে ক্রেতার উপচেপড়া ভিড়। তৈরি পোশাক ও ছিট-কাপড়ের দোকানগুলো তিল ধারণেরও ঠাঁই ছিল না এদিন। নগরীর মশিউর রহমান মার্কেটের ছিট-কাপড়ের দোকানগুলোতে দেখা যায় প্রচ- ভিড়। বিক্রেতারা খুব খুশিমনে চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছেন ক্রেতাদের। এক কাপড় একাধিকবার দেখতে চাইলেও একটুও বিরক্তিবোধ নেই কোনো বিক্রেতার। মার্কেটে কাপড় কিনতে আসা কলেজছাত্রী রাফিয়া বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটির দিন। স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ দেখে মাকে নিয়ে বাজারে চলে এসেছি। মনে করেছিলাম আজ বাজার ফাঁকা পাওয়া যাবে, কিন্তু সেই ধারণা ভুল। বাজারে পা রাখার জায়গাও নেই। একই বাজারের দোকানী আবুল হোসেন বলেন, গত ১৪ দিনে যে বেচাকেনা হয়েছে, আজ তার চেয়ে বেশি হয়েছে। এখন থেকে ঈদের বেচাকেনা বাড়তে থাকবে। খুলনা শপিং কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় সেখানেও ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। কৃষি মার্কেট শীতোতাপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় খরতাপে থাকা ক্রেতারা একটু শীতল হওয়ার জন্য ঢুকছেন এই মার্কেটে। আর ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার জন্য এই মার্কেটের প্রায় সব দোকানেই আকর্ষণীয় পোশাকগুলো প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে। এদিকে ডাকবাংলা মোড়ের জুতার দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। ডাকবাংলা মোড়ের জুতার দোকানে জুতা কিনতে এসেছেন গৃহবধূ মোসলেমা বেগম ও তার দুই ছেলে। মোসলেমা বেগম বলেন, দুই ছেলের লেখাপড়ার মাঝখানে একদিন ছুটি পাওয়া গেছে। ছুটি কাজে লাগানোর জন্যই তাদেরকে নিয়ে জুতা কিনতে এসেছি। তিনি আরও বলেন, জুতা কেনা হলে আমরা একটু বড় বাজারের দিকে যাবো, সেখান থেকে ঈদের জন্য কিছু কেনাকাটা করবো।