ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : জুলাই মাসজুড়ে দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফিচার, কলাম ও কনটেন্টের উপর ভিত্তি করে তিনজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ফিচার, কলাম ও কন্টেন্ট রাইটার্স’ প্ল্যাটফর্মটি প্রতিমাসে লেখকদের মধ্য থেকে তিনজনকে নির্বাচন করে।
শিক্ষার্থীদের নিয়মিত লেখায় উৎসাহিত করা এবং তাদের প্রতিভা বিকাশের জন্য প্রতিমাসে সেরা লেখক নির্বাচন করে তাদের পুরস্কৃত করা হয়। জুলাই মাসের সেরা লেখকদের ভাবনা, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি তুলে ধরেছেন প্ল্যাটফর্মটির সংগঠক অনন্য প্রতীক রাউত।
অঙ্কুরিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন এখানেই
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ফিচার, কলাম ও কনটেন্ট রাইটার্স কর্তৃক আয়োজিত জুলাই মাসের সেরা লেখক বাছাইয়ে আমার নাম, প্রথমে অবিশ্বাস্য ছিল। অনেকটা অবাক হয়েছিলাম। তার চেয়েও বেশি খুশি হয়েছিলাম স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখে। এই সেরা লেখক হওয়ার মাধ্যমে নিজের দায়িত্ব যেন বহুগুণ বেড়ে গেলো। ভবিষ্যতে আরও ভালো ভালো লেখা কিভাবে তৈরি করা যায়, সেদিকে লক্ষ রাখবো। প্ল্যাটফর্মটির সঙ্গে যুক্ত এই উদ্যোগটি যারা গ্রহণ করেছেন, তাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আনিকা তাহসিন অর্না, শিক্ষার্থী, ব্যবস্থাপনা বিভাগ
লেখালেখির ক্ষুদ্র প্রাপ্তি পরবর্তী পদক্ষেপের শক্তি
ছোট বেলা থেকেই লিখালেখি খুব পছন্দ ছিল। শখের বশেই শুরু করি গল্প কবিতা লেখা। পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছি খুব বেশি। আমিও ভাবতাম, আমার লেখা প্রত্রিকায় প্রকাশ হবে আর সেই ইচ্ছাটার পূর্ণতা পায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ফিচার কলাম অ্যান্ড কনটেন্ট রাইটার্স গ্রুপ থেকে। এই গ্রুপের সবার এত বেশি সাপোর্ট পেয়েছি যে, লেখালেখি নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জুলাই মাসের শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। প্রথমে মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া। তাছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ফিচার, কলাম অ্যান্ড রাইটার্স গ্রুপকে এবং গ্রুপ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে কৃতজ্ঞ। এভাবে আমার স্বপ্নগুলোকে পূর্ণতা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
সাদিয়া আফরিন মৌরী, শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ
লেখালেখি আমার স্বপ্ন
লেখক হওয়া সাধনা ও নিষ্ঠার ব্যাপার। এর জন্য থাকতে হয় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি। অনেকেই বলতো আমার লেখার হাত নাকি ভালো, তারপরই পরিচিত হলাম প্রিয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ফিচার, কলাম অ্যান্ড কন্টেন্ট রাইটার্স অনলাইন প্লাটফর্মটিতে। এখান থেকেই লেখায় উৎসাহ, সাহস ও প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পেলাম। লেখা অব্যাহত গতিতে চললো, এভাবেই দেখলাম লেখালেখি জীবনের বাঁক বদল করেছে, আমার মাঝেই আমার এক উত্তরণ ঘটেছে।
লেখতে লেখতে আনন্দ আহরণ করা, এ আমার লেখকসত্তার এক অপূর্ব ও অভাবনীয় প্রাপ্তি। সবসময় নিরন্তর ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি এই অনলাইন প্লাটফর্মটিকে, যার কল্যাণে আমার এই অর্জন। সেরা লেখক হবো, এ যেন নিছক কল্পনা। এ পর্যায়ে লেখালেখির অনুভূতি বিচিত্র ও বহুমাত্রিক। লেখালেখির আনন্দ ব্যতিক্রমধর্মী, একথা বলাই বাহুল্য।
সুরাইয়া ইয়াসমিন তিথি, শিক্ষার্থী, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ
জবি ফিচার, কলাম ও কনটেন্টে সেরাদের অনুভূতি
ট্যাগস :
জবি ফিচার
জনপ্রিয় সংবাদ