ঢাকা ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

জবাবদিহি নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবাধ তথ্যপ্রবাহের আহ্বান

  • আপডেট সময় : ০১:১১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একইসঙ্গে তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থাপনা জোরদার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করারও কথা বলা হয়েছে।
গতকাল রোববার ইউজিসি আয়োজিত তথ্য অধিকার বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিশনের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম এ আহ্বান জানান।
ইউজিসি’র জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. একেএম শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সচিব ড. ফেরদৌস জামান। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক দিল আফরোজা বলেন, ‘দেশের মালিক জনগণ। রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয়ে জনগণের তথ্য জানার অধিকার রয়েছে। এটি তার সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার। জনগণকে সংবিধান ও বিদ্যমান আইনের আওতায় চাওয়া তথ্য দিতে হবে।’ ইউজিসি ও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি অবাধ তথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা হলে রাষ্ট্রের সব স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি পাবে। তথ্যের অবাধ প্রবাহ না থাকলে সমাজে গুজব জন্ম নেয়। তথ্য অধিকার আইন কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি হ্রাস ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা পাবে বলে তিনি দৃঢ় মত পোষণ করেন।’
ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘একটি প্রতিষ্ঠানে কি কি কাজ হয়, কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা বা সেবা দিচ্ছে এসব বিষয়ে জানতে তথ্য অধিকার আইন নাগরিককে সহায়তা করছে। দিনকে দিন এই আইনের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনগণ এর সুফল পাওয়া শুরু করেছে।’
ড. একেএম শামসুল আরেফিন বলেন, ‘একটা সময়ে দাফতরিক গোপনীয়তার অজুহাতে সরকারি দফতরে নাগরিকদের চাহিদামতো তথ্য দেওয়া হতো না। কিন্তু তথ্য অধিকার আইন নাগরিকের তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত ও শক্তিশালী করেছে।’ ইউজিসি’র জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করেন গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম যোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক ও তথ্য অধিকার বিশেষজ্ঞ ড. মো. অলিউর রহমান। প্রশিক্ষণে কমিশনের ৩২ জন উপপরিচালকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বার্ন ইউনিটে ৩৩ জন ভর্তি, ৩ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন

জবাবদিহি নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবাধ তথ্যপ্রবাহের আহ্বান

আপডেট সময় : ০১:১১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একইসঙ্গে তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থাপনা জোরদার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করারও কথা বলা হয়েছে।
গতকাল রোববার ইউজিসি আয়োজিত তথ্য অধিকার বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিশনের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম এ আহ্বান জানান।
ইউজিসি’র জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. একেএম শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সচিব ড. ফেরদৌস জামান। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক দিল আফরোজা বলেন, ‘দেশের মালিক জনগণ। রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয়ে জনগণের তথ্য জানার অধিকার রয়েছে। এটি তার সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার। জনগণকে সংবিধান ও বিদ্যমান আইনের আওতায় চাওয়া তথ্য দিতে হবে।’ ইউজিসি ও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি অবাধ তথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা হলে রাষ্ট্রের সব স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি পাবে। তথ্যের অবাধ প্রবাহ না থাকলে সমাজে গুজব জন্ম নেয়। তথ্য অধিকার আইন কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি হ্রাস ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা পাবে বলে তিনি দৃঢ় মত পোষণ করেন।’
ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘একটি প্রতিষ্ঠানে কি কি কাজ হয়, কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা বা সেবা দিচ্ছে এসব বিষয়ে জানতে তথ্য অধিকার আইন নাগরিককে সহায়তা করছে। দিনকে দিন এই আইনের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনগণ এর সুফল পাওয়া শুরু করেছে।’
ড. একেএম শামসুল আরেফিন বলেন, ‘একটা সময়ে দাফতরিক গোপনীয়তার অজুহাতে সরকারি দফতরে নাগরিকদের চাহিদামতো তথ্য দেওয়া হতো না। কিন্তু তথ্য অধিকার আইন নাগরিকের তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত ও শক্তিশালী করেছে।’ ইউজিসি’র জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করেন গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম যোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক ও তথ্য অধিকার বিশেষজ্ঞ ড. মো. অলিউর রহমান। প্রশিক্ষণে কমিশনের ৩২ জন উপপরিচালকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।