ঢাকা ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

জন্মদিনে শুভেচ্ছায় সিক্ত সজীব ওয়াজেদ জয়

  • আপডেট সময় : ০২:০৭:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জন্মদিনে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা জয় গত মঙ্গল ৫১ বছর পূর্ণ করলেন। গতকাল বুধবার প্রথম প্রহর থেকেই আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ফেইসবুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তাকে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই অবরুদ্ধ ঢাকায় পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনার প্রথম সন্তান জয়ের জন্ম। বিজয়ের পর তার নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। এরপর মায়ের সঙ্গে ভারতে চলে যান। সেখানেই কাটে শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলো। নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে পড়ালেখার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি নেন জয়। পরে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন জয়। তাদের একটি মেয়ে আছে। জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে, নানা-মায়ের দল আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক সদস্য হয়ে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেওয়া হয় তাকে। বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়। ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে তিনি ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তরুণদের দেশ পরিচালনায় সম্পৃক্ত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে। তার হাত ধরেই সিআরআই আয়োজন করেছে একাধিক লেটস টক, পলিসি ক্যাফের মতো আয়োজন। লেটস টক অনুষ্ঠানে তরুণদের চাওয়া-পাওয়া ও জানা-অজানা অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। তার উদ্যোগে ২০১৫ সালে তৈরি হয় তরুণদের প্ল্যাটফর্ম ‘ইয়ং বাংলা’।
সিআরআই ও ইয়ংবাংলার পক্ষ থেকে তাদের ফেসবুক পেইজে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে সজীব ওয়াজেদ জয়কে। আওয়ামী লীগ কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ফেইসবুক পেইজেও সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে। জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে বিকাল ৪টায় ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে বৃক্ষরোপণ, বাদ আছর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী সব মসজিদে দোয়া ও মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা সভা এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দুপুরে কেক কাটা হয়। এছাড়া সজীব ওয়াজেদ জয়ের সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়ার আয়োজন করা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আবু সাঈদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা

জন্মদিনে শুভেচ্ছায় সিক্ত সজীব ওয়াজেদ জয়

আপডেট সময় : ০২:০৭:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : জন্মদিনে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা জয় গত মঙ্গল ৫১ বছর পূর্ণ করলেন। গতকাল বুধবার প্রথম প্রহর থেকেই আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ফেইসবুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তাকে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই অবরুদ্ধ ঢাকায় পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনার প্রথম সন্তান জয়ের জন্ম। বিজয়ের পর তার নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। এরপর মায়ের সঙ্গে ভারতে চলে যান। সেখানেই কাটে শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলো। নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে পড়ালেখার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি নেন জয়। পরে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন জয়। তাদের একটি মেয়ে আছে। জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে, নানা-মায়ের দল আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক সদস্য হয়ে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেওয়া হয় তাকে। বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়। ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে তিনি ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তরুণদের দেশ পরিচালনায় সম্পৃক্ত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে। তার হাত ধরেই সিআরআই আয়োজন করেছে একাধিক লেটস টক, পলিসি ক্যাফের মতো আয়োজন। লেটস টক অনুষ্ঠানে তরুণদের চাওয়া-পাওয়া ও জানা-অজানা অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। তার উদ্যোগে ২০১৫ সালে তৈরি হয় তরুণদের প্ল্যাটফর্ম ‘ইয়ং বাংলা’।
সিআরআই ও ইয়ংবাংলার পক্ষ থেকে তাদের ফেসবুক পেইজে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে সজীব ওয়াজেদ জয়কে। আওয়ামী লীগ কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ফেইসবুক পেইজেও সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে। জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে বিকাল ৪টায় ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে বৃক্ষরোপণ, বাদ আছর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী সব মসজিদে দোয়া ও মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা সভা এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দুপুরে কেক কাটা হয়। এছাড়া সজীব ওয়াজেদ জয়ের সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়ার আয়োজন করা হয়।