ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

জন্মদিনে দিলদারকে মনে রাখেননি কেউ !

  • আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই চলচ্চিত্রের তুমুল জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা ছিলেন দিলদার। পর্দায় তার উপস্থিতি দর্শকদের হাসির খোঁড়াক যোগাতো।
সিনেমায় নায়ক-নায়িকা ছাড়াও তিনি থাকতেন অন্যতম আকর্ষণ। দিলদারের মৃত্যুর পর ঢালিউডে এখন পর্যন্ত সেই মানের কোনো কৌতুক অভিনেতার আবির্ভাব ঘটেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল দিলদারের ৭৭তম জন্মদিন। ১৯৪৫ সালের এই দিনে চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু তার জন্মদিনকে ঘিরে কোথাও তেমন কোনো আয়োজন দেখা যাচ্ছে না। মৃত্যুর দুই দশক পার না হতেই সিনেমা পাড়ার মানুষরা যেন তাকে ভুলতে বসেছেন!
দিলদার এসএসসি পাস করার পর পড়াশোনা বাদ দিয়ে দেন। ১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ নামের সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। সেই শুরু, এরপর দেশিয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে দিলদার বারবার ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকেই।
দিলদারের জনপ্রিয়তা দেখে তাকে নায়ক করে নির্মাণ করা হয়েছিল ‘আব্দুল্লাহ’ নামের একটি সিনেমা। এটি দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এতে দিলদারের নায়িকা ছিলেন নূতন।
চলচ্চিত্রে সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি উপহার দিয়ে গেছেন- ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘শুধু তুমি’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘অজান্তে’, ‘প্রিয়জন’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘নাচনেওয়ালী’সহ আরও অনেক জনপ্রিয় সিনেমা।
দিলদার সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ‘তুমি শুধু আমার’ সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সম্মানিত হন।
২০০৩ সালের ১৩ জুলাই ৫৮ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন এই কৌতুক অভিনেতা। তবে এখনো ভক্তদের হৃদয়ে লালিত হচ্ছেন দিলদার।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জন্মদিনে দিলদারকে মনে রাখেননি কেউ !

আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২

বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই চলচ্চিত্রের তুমুল জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা ছিলেন দিলদার। পর্দায় তার উপস্থিতি দর্শকদের হাসির খোঁড়াক যোগাতো।
সিনেমায় নায়ক-নায়িকা ছাড়াও তিনি থাকতেন অন্যতম আকর্ষণ। দিলদারের মৃত্যুর পর ঢালিউডে এখন পর্যন্ত সেই মানের কোনো কৌতুক অভিনেতার আবির্ভাব ঘটেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল দিলদারের ৭৭তম জন্মদিন। ১৯৪৫ সালের এই দিনে চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু তার জন্মদিনকে ঘিরে কোথাও তেমন কোনো আয়োজন দেখা যাচ্ছে না। মৃত্যুর দুই দশক পার না হতেই সিনেমা পাড়ার মানুষরা যেন তাকে ভুলতে বসেছেন!
দিলদার এসএসসি পাস করার পর পড়াশোনা বাদ দিয়ে দেন। ১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ নামের সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। সেই শুরু, এরপর দেশিয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে দিলদার বারবার ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকেই।
দিলদারের জনপ্রিয়তা দেখে তাকে নায়ক করে নির্মাণ করা হয়েছিল ‘আব্দুল্লাহ’ নামের একটি সিনেমা। এটি দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এতে দিলদারের নায়িকা ছিলেন নূতন।
চলচ্চিত্রে সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি উপহার দিয়ে গেছেন- ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘শুধু তুমি’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘অজান্তে’, ‘প্রিয়জন’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘নাচনেওয়ালী’সহ আরও অনেক জনপ্রিয় সিনেমা।
দিলদার সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ‘তুমি শুধু আমার’ সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সম্মানিত হন।
২০০৩ সালের ১৩ জুলাই ৫৮ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন এই কৌতুক অভিনেতা। তবে এখনো ভক্তদের হৃদয়ে লালিত হচ্ছেন দিলদার।