ঢাকা ১১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫

জনসমাজে ইতিবাচক পরিবেশ গড়ে তোলে সৌজন্যতা

  • আপডেট সময় : ০৪:৪৪:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: আপনি কি ‘ধন্যবাদ’ বা ‘প্লিজ’-এর মতো শব্দগুলো ব্যবহার করতে ভুলে যান? তাহলে ২১ মার্চ দিনটি আপনার জন্যই। এদিন ‘কমন কার্টেসি ডে’ বা সাধারণ সৌজন্য দিবস। আমরা আজকাল এতই ব্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, সাধারণ সৌজন্যটুকুও দেখাতে ভুলে যাই। তবে সৌজন্যর গুরুত্ব অনেক। তাই দৈনন্দিন জীবনে সৌজন্য, ভদ্রতা ও পারস্পরিক সম্মানের গুরুত্ব মনে করিয়ে দিতেই পালন করা হয় বিশেষ এই দিবস।

সাধারণ সৌজন্য দিবসের উৎপত্তি কীভাবে, তা জানা যায় না। এর লক্ষ্য হলো মানুষকে তাদের আচরণ সম্পর্কে আরও সচেতন করা এবং অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। সৌজন্য এবং সম্মান সামাজিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি; যা কর্মক্ষেত্র, পরিবার এবং জনসমাজে ইতিবাচক পরিবেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করে। তাই সাধারণ সৌজন্য দিবসে আশপাশের সব মানুষের প্রতি যথাসম্ভব সৌজন্য প্রদর্শন করুন।

দৈনন্দিন জীবনে যেভাবে সৌজন্য দেখাতে পারেন: ছোট-বড় সবার সঙ্গে দেখা হলে হাসি মুখে কুশল বিনিময় করুন। বিশেষ করে গণপরিবহনে বয়োজ্যেষ্ঠ, অসুস্থ, শিশু, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি ও অন্তঃসত্ত্বার জন্য আসন ছেড়ে দিন। কথা বলার সময় আন্তরিকতা দেখানোর চেষ্টা করুন। বাক্য বিনিময়ের সময় ‘ধন্যবাদ’, ‘অনুগ্রহ করে’- এমন শব্দ ব্যবহার করুন। কর্মস্থল বা কোনো অনুষ্ঠানে নতুন কেউ এলে নিজে থেকে পরিচিত হোন। যাওয়া বা আসার সময় সঙ্গের ব্যক্তির জন্য গাড়ি বা ঘরের দরজা খুলে ধরুন। বাড়ির কাজে পরিবারের সদস্যদের সহায়তা করুন। ট্রাফিকে অন্য চালক আপনার লেনে ঢুকতে চাইলে সুযোগ দিন। সময়মতো অ্যাপয়েন্টমেন্ট এবং মিটিংয়ে উপস্থিত হোন।

আকস্মিকভাবে দয়া দেখান: কারো জন্য কফির বিল পরিশোধ করুন বা সহকর্মীকে প্রশংসা করুন। ‘ধন্যবাদ নোট’ লিখুন। শুধু উপহার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় নয়—জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছেন এমন ব্যক্তির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেও নোটটি লিখতে পারেন। মনোযোগী শ্রোতা হতে শিখুন। কথোপকথনের সময় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন। ডিজিটাল জগতে ভদ্রতা বজায় রাখুন। অনলাইনে শিষ্টাচারও গুরুত্বপূর্ণ—ভার্চুয়াল মিটিংয়ে কিছু বলতে চাইলে হাত তুলুন।
সাধারণ সৌজন্য দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, কৃতজ্ঞতা। সৌজন্য প্রকাশের মাধ্যমে পৃথিবী আরও সুন্দর হয়ে উঠতে পারে। হোক তা বড় কোনো উপায়ে বা ছোট ছোট আচরণের মাধ্যমে। মনে রাখতে হবে, কারো মনে স্থান করে নিতে মাঝে মাঝে শুধু ছোট্ট একটা সদয় আচরণই যথেষ্ট!

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনসমাজে ইতিবাচক পরিবেশ গড়ে তোলে সৌজন্যতা

আপডেট সময় : ০৪:৪৪:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

লাইফস্টাইল ডেস্ক: আপনি কি ‘ধন্যবাদ’ বা ‘প্লিজ’-এর মতো শব্দগুলো ব্যবহার করতে ভুলে যান? তাহলে ২১ মার্চ দিনটি আপনার জন্যই। এদিন ‘কমন কার্টেসি ডে’ বা সাধারণ সৌজন্য দিবস। আমরা আজকাল এতই ব্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, সাধারণ সৌজন্যটুকুও দেখাতে ভুলে যাই। তবে সৌজন্যর গুরুত্ব অনেক। তাই দৈনন্দিন জীবনে সৌজন্য, ভদ্রতা ও পারস্পরিক সম্মানের গুরুত্ব মনে করিয়ে দিতেই পালন করা হয় বিশেষ এই দিবস।

সাধারণ সৌজন্য দিবসের উৎপত্তি কীভাবে, তা জানা যায় না। এর লক্ষ্য হলো মানুষকে তাদের আচরণ সম্পর্কে আরও সচেতন করা এবং অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। সৌজন্য এবং সম্মান সামাজিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি; যা কর্মক্ষেত্র, পরিবার এবং জনসমাজে ইতিবাচক পরিবেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করে। তাই সাধারণ সৌজন্য দিবসে আশপাশের সব মানুষের প্রতি যথাসম্ভব সৌজন্য প্রদর্শন করুন।

দৈনন্দিন জীবনে যেভাবে সৌজন্য দেখাতে পারেন: ছোট-বড় সবার সঙ্গে দেখা হলে হাসি মুখে কুশল বিনিময় করুন। বিশেষ করে গণপরিবহনে বয়োজ্যেষ্ঠ, অসুস্থ, শিশু, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি ও অন্তঃসত্ত্বার জন্য আসন ছেড়ে দিন। কথা বলার সময় আন্তরিকতা দেখানোর চেষ্টা করুন। বাক্য বিনিময়ের সময় ‘ধন্যবাদ’, ‘অনুগ্রহ করে’- এমন শব্দ ব্যবহার করুন। কর্মস্থল বা কোনো অনুষ্ঠানে নতুন কেউ এলে নিজে থেকে পরিচিত হোন। যাওয়া বা আসার সময় সঙ্গের ব্যক্তির জন্য গাড়ি বা ঘরের দরজা খুলে ধরুন। বাড়ির কাজে পরিবারের সদস্যদের সহায়তা করুন। ট্রাফিকে অন্য চালক আপনার লেনে ঢুকতে চাইলে সুযোগ দিন। সময়মতো অ্যাপয়েন্টমেন্ট এবং মিটিংয়ে উপস্থিত হোন।

আকস্মিকভাবে দয়া দেখান: কারো জন্য কফির বিল পরিশোধ করুন বা সহকর্মীকে প্রশংসা করুন। ‘ধন্যবাদ নোট’ লিখুন। শুধু উপহার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় নয়—জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছেন এমন ব্যক্তির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেও নোটটি লিখতে পারেন। মনোযোগী শ্রোতা হতে শিখুন। কথোপকথনের সময় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন। ডিজিটাল জগতে ভদ্রতা বজায় রাখুন। অনলাইনে শিষ্টাচারও গুরুত্বপূর্ণ—ভার্চুয়াল মিটিংয়ে কিছু বলতে চাইলে হাত তুলুন।
সাধারণ সৌজন্য দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, কৃতজ্ঞতা। সৌজন্য প্রকাশের মাধ্যমে পৃথিবী আরও সুন্দর হয়ে উঠতে পারে। হোক তা বড় কোনো উপায়ে বা ছোট ছোট আচরণের মাধ্যমে। মনে রাখতে হবে, কারো মনে স্থান করে নিতে মাঝে মাঝে শুধু ছোট্ট একটা সদয় আচরণই যথেষ্ট!