ঢাকা ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের ট্যাব কিনতে রিটেন্ডারের সিদ্ধান্ত

  • আপডেট সময় : ০১:৫৮:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের আওতায় ট্যাব কেনার বিষয়টিতে ত্রুটি ধরা পড়েছে। এজন্য এটি বাতিল করে পুনরায় দরপত্র আহবানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) উদ্যোগে বেশি দামে ৪ লাখ ট্যাব কেনার বিষয়টি নজরে এলে সরকার ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি তা অনুমোদন না করে পুনরায় দরপত্র আহবানের সিদ্ধান্ত দিয়ে প্রস্তাবটি ফেরত পাঠানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের আওতায় ট্যাব কেনার বিষয়টিতে ত্রুটি ধরা পড়েছে। এজন্য এটি বাতিল করে রিটেন্ডারের জন্য সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের কাছ থেকে ট্যাব কিনতে সুপারিশ করেছিল বিবিএস-এর মূল্যায়ন কমিটি। যার ফলে সভায় ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। বাকি আরেকটি কোম্পানির বিষয়ে কোনও কিছু জানানো হয়নি। টেন্ডারে অংশগ্রহণ করা দুটি কোম্পানির ব্যয়ের পার্থক্য কত- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব ওই ব্যাখ্যা দেন।
উল্লেখ্য, জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ডিজিটাল জনশুমারির জন্য ৩ লাখ ৯৫ হাজার ট্যাব ও ৭২টি এসি কিনতে টেন্ডার আহ্বান করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। এই টেন্ডার আহ্বানের পক্ষে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেছিল। ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ৫৪৮ কোটি ৭৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৭০ টাকায় এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৪০২ কোটি টাকায় টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেছিল। জিপির নিয়ম অনুযায়ী সর্বনি¤œ দরদাতা কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে। কিন্তু বিবিএস ১৪৬ কোটি টাকা বেশি দরদাতা ‘ফেয়ার ইলেকট্রনিকস লিমিটেড’কে কাজ দিতে চেয়েছিল। ক্রয় কমিটির সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এক নারীকে দুই ভাই বিয়ে করে বললেন- আমরা গর্বিত

জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের ট্যাব কিনতে রিটেন্ডারের সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় : ০১:৫৮:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের আওতায় ট্যাব কেনার বিষয়টিতে ত্রুটি ধরা পড়েছে। এজন্য এটি বাতিল করে পুনরায় দরপত্র আহবানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) উদ্যোগে বেশি দামে ৪ লাখ ট্যাব কেনার বিষয়টি নজরে এলে সরকার ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি তা অনুমোদন না করে পুনরায় দরপত্র আহবানের সিদ্ধান্ত দিয়ে প্রস্তাবটি ফেরত পাঠানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের আওতায় ট্যাব কেনার বিষয়টিতে ত্রুটি ধরা পড়েছে। এজন্য এটি বাতিল করে রিটেন্ডারের জন্য সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের কাছ থেকে ট্যাব কিনতে সুপারিশ করেছিল বিবিএস-এর মূল্যায়ন কমিটি। যার ফলে সভায় ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। বাকি আরেকটি কোম্পানির বিষয়ে কোনও কিছু জানানো হয়নি। টেন্ডারে অংশগ্রহণ করা দুটি কোম্পানির ব্যয়ের পার্থক্য কত- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব ওই ব্যাখ্যা দেন।
উল্লেখ্য, জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ডিজিটাল জনশুমারির জন্য ৩ লাখ ৯৫ হাজার ট্যাব ও ৭২টি এসি কিনতে টেন্ডার আহ্বান করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। এই টেন্ডার আহ্বানের পক্ষে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেছিল। ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ৫৪৮ কোটি ৭৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৭০ টাকায় এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৪০২ কোটি টাকায় টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেছিল। জিপির নিয়ম অনুযায়ী সর্বনি¤œ দরদাতা কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে। কিন্তু বিবিএস ১৪৬ কোটি টাকা বেশি দরদাতা ‘ফেয়ার ইলেকট্রনিকস লিমিটেড’কে কাজ দিতে চেয়েছিল। ক্রয় কমিটির সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন।