নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্র সংস্কার উদ্যোগের অংশ হিসেবে গঠিত ১১ কমিশনের মধ্যে আরো দুই কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে প্রতিবেদন তুলে দেন।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দেয় নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ এবং সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন। সব মিলিয়ে মোট ছয়টি কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গণতান্ত্রিক উত্তরণে রাষ্ট্রের ছয়টি খাত সংস্কারে এসব কমিশন গঠন করে। পরে নভেম্বরে দ্বিতীয় ধাপে আরো পাঁচটি কমিশন গঠন করা হয়, যাদের প্রতিবেদন এ মাসেই জমা পড়ার কথা। সব কমিশনের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
![](https://ajkerprottasha.com/wp-content/uploads/2025/02/reform-commission-report.jpg)
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রথম দফার ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হবে। সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ও সুপারিশমালা পরে রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির কাছে পাঠানো হবে। এরপর রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সব শক্তির সঙ্গে আলোচনা এবং সমঝোতাক্রমে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বসবে বলে আশা করছি। তারিখ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠেয় ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রধান ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এসব বৈঠকে রাজনৈতিক দল, আন্দোলনের পক্ষের শক্তি এবং ছয় সংস্কার কমিশন প্রধানেরা উপস্থিত থাকবেন।
এ আলোচনা মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে, রাজনৈতিক দলগুলো রাজি থাকলে রোজার মধ্যেও চালু থাকবে। যত দ্রুত সম্ভব সংস্কারের ক্ষেত্রে করণীয় কী তা ঠিক করা হবে। কারণ এ ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছিল সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন ও জরুরি কিছু রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্ন মীমাংসা করার জন্য।